মেয়র পদ ফিরে পাওয়া নিয়ে সমালোচনা, জবাব দিলেন ইশরাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মেয়র পদ ফিরে পাওয়া নিয়ে সমালোচনা, জবাব দিলেন ইশরাক
সংগৃহীত ছবি

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা আসার পর থেকে বিভিন্ন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলের নির্বাচনকে ‘ভুয়া’ দাবি করে আসা ইশরাক কি মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন? যদিও গতকালই এই প্রশ্নের উত্তর দেন ইশরাক। তিনি বলেন, ‘শপথ নেব কি না সেটি দলের সিদ্ধান্ত।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিষয়গুলো স্পষ্ট করেছেন ইশরাক হোসেন। তার দাবি, ভোটে তিনি হারেননি, তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এদিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা-ভ্যান ও অটোচালকদের মধ্যে ঈদ উপহার দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটি। এ সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র হিসেবে ঘোষণা পাওয়ার বিষয়ে ইশরাক বলেন, আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরই আইন মেনে তিনি মামলা করেছিলাম। দীর্ঘ পাঁচ বছর আইনি লড়াইয়ের পর এখন ন্যায়বিচার পেয়েছি।

একটি মহল তার আদালতের মেয়র ঘোষণার রায় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইশরাক হোসেন বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই আদালতে গিয়েছিলাম, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এ রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসনের দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইশরাক নির্বাচন নিয়ে মামলা করেছেন, এমন দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি স্পষ্ট করে ইশরাক বলেন, ‘অনেকেই হয়তো মনে করছে যে ৫ আগস্টের পর এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বা আমরা হয়তো এরপর এসে (২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর) এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ করতে হয় এবং সেই ৩০ দিনের মধ্যেই মামলাটি করা হয়েছিল।

পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আইনি বিধান থাকলেও বিগত ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের আমলে এটিকে বাধাগ্রস্ত করা হয়।’

শপথ নেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, ‘এখন আমি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রায়টি পেয়েছি। রায় পাওয়ার পর গতকালও বলেছি এটা দলের সর্বোচ্চ ফোরাম সিদ্ধান্ত নেবে। সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী আমি আমার পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : খালেদা জিয়া

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : খালেদা জিয়া
বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সোমবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রেখে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বক্তব্য রাখার অনুরোধ করেন।

সবার উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আপনাদের এত ত্যাগ ও সংগ্রাম বৃথা যায়নি এবং যাবে না। দেশবাসীর ভোটাধিকার সবাই মিলে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। দীর্ঘদিন পর সবাইকে এভাবে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় আগামীর পথচলায় দেশবাসীর দোয়া ও আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আরো অংশগ্রহণ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম ফজলুল হক মিলন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আহ্বায়ক আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

মন্তব্য

৩ এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছে এনসিপি : নাহিদ ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৩ এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছে এনসিপি : নাহিদ ইসলাম
সংগৃহীত ছবি

তিনটি এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এর মধ্যে দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা প্রধান এজেন্ডা বলে জানান তিনি।

সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপি কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পার্টি ঘোষণার পরই পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম সেভাবে গতি পায়নি। সামনে পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।’

তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদ কয়েকটি দিক থেকে আলাদা। প্রথমত স্বৈরাচারমুক্ত প্রথম ঈদ পালন করছেন দেশবাসী।

আশা করছি, এই সম্প্রীতি সারা বছর বহাল থাকবে। অনেক শহীদ পরিবার তাদের সদস্যদের ছাড়া ঈদ পালন করছে, যা তাদের জন্য খুব কষ্টের। আমরা সেই পরিবারগুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এবারের ঈদ রাজনৈতিকভাবেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা তিনটি এজেন্ডা—বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে এগোচ্ছি। দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা এর মধ্যে প্রধান। আগামীতে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। আমরা সারা দেশ সফর করব এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান করব। আমাদের যে তিনটি এজেন্ডা সেটি বাস্তবায়নে জনমত তৈরি করব।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে : জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে : জামায়াত আমির
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ ‘নিষিদ্ধ হয়ে গেছে’। এখন বিচার হলো তাদের পাওনা।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের নামাজ শেষে রাজধানীতে গণ-অভ্যুত্থানের সময় নিহত কয়েকজনের বাসায় পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ আল্লাহই করে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জনগণের মনে তারা নিষিদ্ধ হয়েই গেছে।

নিষিদ্ধ সংগঠন না হলে সব পালায়ে গেছে কেন?’

আন্দোলনে ‘গণহত্যার’ বিচার সম্পর্কে জামায়াতের আমির বলেন, ‘বিচার হলো তাদের পাওনা। বিচার হলো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একদম জেনুইন পাওনা। এটা পেতেই হবে তাদের। আসল বিচার আদালতে আরাধ্য কিন্তু দুনিয়ার বিচার তাদের পাওনা, এটা হবে।

এর আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদের নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঈদ হলেও বাংলাদেশের অনেকের ঘরেই ঈদের আনন্দ নেই। অনেক মা তার সন্তানের জন্য কান্না করছেন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার হতেই হবে। যে বিচারটা দেখলে ভবিষ্যতে আর কোনো খুনি মানুষের জীবন নিয়ে আর কোনো ছিনিমিনি খেলবে না, সে রকম বিচার বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায়।

মন্তব্য

শহীদ মুগ্ধর বাড়িতে রিজভী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শহীদ মুগ্ধর বাড়িতে রিজভী
সংগৃহীত ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আলোচিত শহীদ মীর মুগ্ধর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী।

সোমবার ঈদুল ফিতরের নামাজের পর তিনি শহীদ মীর মুগ্ধর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

আরো পড়ুন
জামায়াত আমিরের ঈদ কাটল শহীদ পরিবারের সঙ্গে

জামায়াত আমিরের ঈদ কাটল শহীদ পরিবারের সঙ্গে

 

এ সময় শহীদ মুগ্ধর বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে মুগ্ধর জীবনের বিনিময়ে ম্যাডাম খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন। ম্যাডামের ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে এটাই আমার সার্থকতা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীকে নিজ বাসায় পেয়ে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন মীর মুগ্ধর বাবা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ