রাত জেগে প্রোগ্রামিং করছিলাম। মাঝেমধ্যে চোখ রাখছিলাম ফেসবুকে। রাত ২টার দিকে ফেসবুকে মাইক্রোসফটের একটি অফিশিয়াল গ্রুপ ইয়ুথস্পার্কে (মাইক্রোসফটের তরুণদের কাজ করার প্ল্যাটফর্ম) একটি ভিডিও আপলোড করা হলো। দেখতে দেখতে চোখ আটকে গেল।
সিয়াটলে আমাদের দিন
১৫ হাজারেরও বেশি তরুণের অংশগ্রহণে গত ২৩ এপ্রিল যুক

'উই ডে' এমন একটি অনুষ্ঠান, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণরা জড়ো হবে। এমন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে খুবই রোমাঞ্চিত বোধ করছিলাম।
গত ২০ এপ্রিল রওনা হলাম। টানা বিমানযাত্রার ক্লান্তি কাটল সিয়াটলের হোটেল স্পেস নিডলের বিছানায় গা এলিয়ে।
বেছে বেছে কিছু পানির বোতল, মগ, মাইক্রোসফটের কিছু প্রোডাক্টের রিবন, চাবির রিং, স্টিকার, টি-শার্ট, কলম ও ছাতা নিলাম। বিকেলে মাইক্রোসফট ইউনিভার্সিটি টিমের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আরেক চমক। আমাদের জন্য তারা উপহারের প্যাকেট নিয়ে অপেক্ষা করছিল। খুলে দেখি মাইক্রোসফটের একটি এআরসি মাউস, এআরসি কিবোর্ড ও একটি অফিশিয়াল টি-শার্ট। এরপর সিয়াটল সিটি দেখার জন্য আধা ঘণ্টার বিরতি। সেখান থেকে সোজা মাইক্রোসফট স্টোর। সেখানে 'ইয়ুথস্পার্ক' অ্যাডভোকেটরা 'উই ডে' অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলবেন। আমরা ৯ জনসহ আরো ৭০ জন আমেরিকান অ্যাডভোকেট যোগ দিই।
২৩ এপ্রিল সকাল ৯টায় শুরু হলো 'উই ডে'। তরুণদের উৎসাহ দিতে যোগ দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই, নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি কেকু ম্যান্ডেলা, বক্সার লায়লা আলীর মতো ব্যক্তিত্বরা। নতুন পৃথিবী গড়তে সারা দুনিয়া থেকে আসা তরুণ-তরুণীদের জন্য বড় পাওয়া ছিল এসব বিখ্যাত মানুষের বক্তব্য। বিকেলে আমাদের ৯ জনকে সিয়াটল সিটি ঘুরিয়ে দেখানো হলো। হোটেলে ফিরতে ফিরতে রাত ১১টা। সম্মেলনের বড় পাওয়া ছিল অন্য দেশের অ্যাডভোকেটদের সঙ্গে বন্ধুত্ব। আগে ফেসবুক, টুইটার বা ই-মেইলে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, তাঁদের সঙ্গে সরাসরি দেখা হলো।
অনুলিখন : নাদিম মজিদ
সম্পর্কিত খবর