ঢাকা, বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫
১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫
১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার পদে চাকরির সুযোগ

  • গত দুই মাসে অর্ধশতাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজারেরও বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ পদের আবেদনপ্রক্রিয়া এখনো চলমান। এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শক রবিউল আলম লুইপা
শেয়ার
অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার পদে চাকরির সুযোগ

কোথায় কেমন সুযোগ-সুবিধা

চলমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তো আছেই। সামনে আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীরা কাজের ধরন, একাডেমিক বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যতার চেয়েও কাজের পরিবেশ এবং সুযোগ-সুবিধাকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনেকে এমন বিষয় মাথায় রেখে বেছে বেছে আবেদন করেন।

এরই মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত আছেন, এমন প্রার্থীরাও নতুন আবেদনের সময় প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধাকে গুরুত্ব দেন। যাঁদের আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতি ভালো, তাঁরা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন, জীবন বীমা করপোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানের ৯ম ও ১০ম গ্রেডের পদগুলোতে আবেদন করতে পারেন।

 

কোন পদে আবেদন করবেন

অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার পদে চাকরির সুযোগঅনেক প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে আবেদন করা যায় না অথবা সব পদের পরীক্ষা একই সময়ে হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের পদগুলোর মধ্যে ঠিক কোনটিতে আবেদন করা উচিত, এ নিয়ে প্রার্থীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন।

এখানে দুটো বিষয় বিবেচনা করা উচিত। ১. প্রার্থীর ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ৯ম বা ১০ম গ্রেড, নাকি ১১ থেকে ১৭তম গ্রেড। ২. প্রার্থীর চাকরির প্রস্তুতি কেমন। প্রস্তুতি ভালো থাকলে ১ম ও ২য় শ্রেণির পদগুলোতে চেষ্টা করা উচিত।
তবে এটা ঠিক,  বর্তমানে ১১ থেকে ১৭ গ্রেডের চাকরিতে তুমুল প্রতিযোগিতা। চাকরি পেতে খুব ভালো প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই যেকোনো পদের ক্ষেত্রে টিকতে হলে ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পছন্দ ও সক্ষমতা বিবেচনা করে সিদ্ধান্তটি নিন।

 

পরীক্ষা কবে হতে পারে

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জীবন বীমা করপোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কার্যক্রম খুব দ্রুত হয়।

এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তাদের নিয়োগ কার্যক্রমও দ্রুত হবে। চলতি বছরের মধ্যেই এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হতে পারে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা হতে ৬ মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানে আবেদনের পর চাকরিপ্রার্থীরা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন। পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়ের কথা মাথায় রেখে রুটিন করে নিয়মিত প্রস্তুতি নিন।

 

পরীক্ষা পদ্ধতি

সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৯ম ও ১০ম গ্রেডের পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রিলি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মতো কিছু প্রতিষ্ঠানে ‘কম্পিউটার দক্ষতা’র পরীক্ষাও নেওয়া হয়। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মতো কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রথমে এমসিকিউ, এরপর সরাসরি মৌখিক পরীক্ষা হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন অধিদপ্তরের ১৩ থেকে ১৭তম গ্রেডের পদগুলোর পরীক্ষায় লিখিত (সংক্ষিপ্ত) ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই লিখিত পরীক্ষায় বাংলা বানান ও বাক্য শুদ্ধিকরণ, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, ইংরেজি বাক্য রূপান্তর, চযধত্ধংব ধহফ রফরড়সং,, সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ভিত্তিক কম্পোজিশন ইত্যাদি পাঠ থেকে প্রশ্ন করা হয়।

 

নিয়োগ প্রস্তুতি

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত দুই ধরনের প্রশ্ন করা হয়। ১. বিসিএস ধাঁচের প্রশ্ন। এখানে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য, বর্ণনামূলক গণিত, সাধারণ জ্ঞান (ইতিহাস, অর্থনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা) প্রভৃতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২. ব্যাংক ধাঁচের প্রশ্ন। এখানে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা (জিম্যাটের মতো), শর্টকাট গণিত, সাধারণ জ্ঞান (সাম্প্রতিক)-এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোনো চাকরিপ্রার্থী এই দুই ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার পর তাঁকে আর আলাদা করে কোনো প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে না। অর্থাৎ প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি ভালো করতে পারবেন। অন্যদিকে যাঁরা মূল বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি না নিয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রস্তুতি নেন, তাঁদের মধ্যে খুব কমসংখ্যক প্রার্থীই পরীক্ষায় ভালো করেন! বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, খাদ্য অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন, পল্লী উন্নয়ন বোর্ড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে বিসিএস ধাঁচের প্রশ্ন এবং বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জীবন বীমা করপোরেশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে ব্যাংক ধাঁচের প্রশ্ন করা হতে পারে। নিয়োগ প্রস্তুতির জন্য বাজারে প্রচলিত বিসিএস ও ব্যাংকের বিষয়ভিত্তিক গাইড বই থেকে প্রস্তুতি নিতে পারেন। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখলে প্রশ্নপত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এসব প্রশ্ন অনুশীলন করলে প্রস্তুতিও ভালো হবে।

 

বি. দ্র. চলমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোর মধ্যে বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে পদসংখ্যা ১০০ থেকে ১৭৯১টি। তুলনামূলক কম পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোর মধ্যে আছে—জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া (৬৬), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৬৩), ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (৭৫), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (৫৫), বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড (৫০), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (৫০), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (৫৩), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (২৬), অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় (২৮), সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর (১৭), রুরাল পাওয়ার কম্পানি (১২) এবং আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগ (৩৮)। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (১৩), জেলা প্রশাসকের কার্যালয়—মাগুরা (১৪), ঝালকাঠি (১৮), গোপালগঞ্জ (২০) এবং  বিভিন্ন জেলা জজের কার্যালয়ে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান। সম্প্রতি আবেদনের সময় শেষ হয়েছে, এগুলোর মধ্যে আছে—সরকারি কর্ম কমিশন (১৮২৫), পরিসংখ্যান ব্যুরো, পানি উন্নয়ন বোর্ড (২৭৭), বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (১০৪), বিয়াম ফাউন্ডেশন (৬৭), কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (১০২), পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (৫৪), ডাক জীবন বীমা, পূর্বাঞ্চল (৩০), জীবন বীমা করপোরেশন (৫৯) এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা (২৯)।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীন অধিদপ্তরে চাকরি পাবেন ২৫৫ জন

শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীন অধিদপ্তরে চাকরি পাবেন ২৫৫ জন
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

১৩ ধরনের পদে ২৫৫ জন নিয়োগ দেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের অধীনস্থ একটি অধিদপ্তর। নবম থেকে বিশতম গ্রেডে নেওয়া হবে জনবল। আবেদন করতে হবে আগামীকালের (২০ এপ্রিল ২০২৫) মধ্যেই।

 

নিয়োগ পরীক্ষার ধরন

নিয়োগ পরীক্ষার ধরন ও বিষয়াবলি উল্লেখ না থাকলেও সরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার মতোই এই অধিদপ্তরের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগবিধি অনুসারে সবগুলো পদের ক্ষেত্রেই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। টেকনিক্যাল পদ ও কম্পিউটার ব্যবহার রয়েছে এমন পদের ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক পরীক্ষাও নেওয়া হতে পারে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা ও পদভেদে ব্যাবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে প্রার্থী বাছাই করা হবে।

 

নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি ও প্রস্তুতি

পদভেদে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে নবম ও দশম গ্রেডের পদগুলোর জন্য অন্যান্য অধিদপ্তরের ১ম শ্রেণির চাকরির পরীক্ষার মতোই প্রস্তুতি নিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে ব্যাংক বা বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষার সিলেবাস অনুসারে করা যেতে পারে। ১৩তম থেকে ১৬তম গ্রেডের পদগুলোর জন্য তৃতীয় শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষার ধরন অনুসারে প্রস্তুতি নিতে হবে। এতে নবম-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোর ক্ষেত্রে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই অনুসারে প্রস্তুতি রাখতে হবে। এ ছাড়া সব পদের ক্ষেত্রেই সমসাময়িক প্রকাশিত সাধারণ জ্ঞানের বই, সংবাদপত্র ও বিগত পরীক্ষার গ্রেডভিত্তিক প্রশ্নপত্রসহ নিয়োগ সহায়ক বই পড়া যেতে পারে।

 

পদের সংখ্যা ও যোগ্যতা

সহকারী পরিচালক পদ ২৬টি; প্রথম শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর অথবা কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা। টেলিফোন ইঞ্জিনিয়ার—১টি; টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি। ফিল্ড অফিসার—১৭টি; দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি। উচ্চতা পুরুষ প্রার্থী ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থী কমপক্ষে ৫ ফুট। বুকের মাপ পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ (সম্প্রসারিত)।

সাঁটলিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর—৫টি; কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতাসহ প্রয়োজনীয় সাঁটলিপি ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি। সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর—১৪টি; কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতাসহ প্রয়োজনীয় সাঁটলিপি ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি। ওয়্যারলেস অপারেটর—২০টি; এইচএসসি বা সমমানের পাস এবং সংশ্লিষ্ট কারিগরি কাজে দক্ষ। অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট ২টি—এইচএসসি বা সমমান পাস এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষ। অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ২০টি—২য় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস এবং প্রয়োজনীয় টাইপিং স্পিড। গাড়িচালক—১০টি; জেএসসি বা সমমান পাস এবং হালকা গাড়ি চালনার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স। গাড়ি চালনায় অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার। রিসিপশনিস্ট—১টি; এইচএসসি পাস এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষ। উচ্চতা পুরুষ প্রার্থী ন্যূনতম ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থী কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। বুকের মাপ পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ (সম্প্রসারিত)। ফিল্ড স্টাফ—১০৯টি; এসএসসি পাস। উচ্চতা পুরুষ প্রার্থী ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থী কমপক্ষে ৫ ফুট। বুকের মাপ পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ (সম্প্রসারিত)। টেলিফোন লাইনম্যান—৩টি; এসএসসি পাস এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেড কোর্স উত্তীর্ণ। অফিস সহায়ক—২৪টি; এসএসসি বা সমমান পাস। ১ মার্চ ২০২৫ অনুযায়ী প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর।

 

বেতন-ভাতা

নিয়োগপ্রাপ্তদের জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুসারে ও পদভিত্তিক নির্ধারিত স্কেলে গ্রেড অনুসারে মাসিক বেতন এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।

 

আবেদনের লিংক

http://ndr.teletalk.com.bd

 

♦ মো. সাজিদ

মন্তব্য
ভাইভা অভিজ্ঞতা

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তোমার জেলার অবদান কী?

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন তৌহিদ হোসেন। ৪১তম বিসিএসে আনসার ক্যাডারে মেধাক্রমে চতুর্থ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয়ে সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট। ভাইভা হয়েছিল ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতা শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ
শেয়ার
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তোমার জেলার অবদান কী?
তৌহিদ হোসেন

অনুমতি নিয়ে ভাইভা রুমে ঢুকে সালাম দিলাম। আমাকে বসতে বললেন। ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম।

 

চেয়ারম্যান : আচ্ছা তুমি তো ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে পড়ালেখা করেছ।

তার মানে তুমি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিষয়ে এক্সপার্ট!

(কিছু না বলে মুচকি হাসি দিলাম।)

আচ্ছা বলো তো, ওভার ইনভয়েস ও আন্ডার ইনভয়েস কী? 

—স্যার, ওভার ইনভয়েস হলো আমদানীকৃত পণ্যের পরিমাণ এবং মূল্য বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ বিদেশে পাচারের একটা অবৈধ পন্থা। আর আন্ডার ইনভয়েস হলো রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের পরিমাণ এবং মূল্য কম দেখিয়ে দেশে কম অর্থ নিয়ে আসা এবং অতিরিক্ত অর্থ বিদেশে জমা রাখার অবৈধ পন্থা।

 

এখন বলো, ট্যাক্স বা কর কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণ দাও।

—স্যার, ট্যাক্স বা কর মূলত দুই প্রকার। প্রত্যক্ষ কর ও পরোক্ষ কর। আয়কর, জমির খাজনা—এগুলো হলো প্রত্যক্ষ কর। আর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট হলো পরোক্ষ কর।

 

এক্সটার্নাল-১ : আচ্ছা, এটা তোমার কততম বিসিএস?

—স্যার, এটা আমার দ্বিতীয় বিসিএস।

প্রথম বিসিএসের কী অবস্থা?

—স্যার, প্রথম বিসিএসে (৪০তম) প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হইনি।

তাহলে দ্বিতীয় বিসিএসে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করে ভাইভা দিচ্ছ? বাহ! আচ্ছা বলো, স্মার্ট বাংলাদেশের স্তম্ভ কয়টি ও কী কী?

—স্যার, স্মার্ট বাংলাদেশের স্তম্ভ ৪টি। যেমন—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট।

স্মার্ট সিটিজেন বলতে তুমি কী বুঝো?

—স্যার, স্মার্ট সিটিজেন হলো প্রযুক্তিতে দক্ষতাসম্পন্ন জনগণ, যারা দক্ষতার মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে শহর ও গ্রামের ব্যবধান দূর করবে।

দৈনন্দিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা তাদের কাজকে সহজ করে তুলবে।

ঠিক আছে, ভাষা আন্দোলন তো আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বলো তো, ভাষা আন্দোলনের ফলে বাঙালিদের মধ্যে কী জাগ্রত হয়েছিল।

—স্যার, ভাষা আন্দোলনের ফলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ জাগ্রত হয়েছিল। বাঙালির মুক্তির আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছিল। আর এর মাধ্যমে ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ’৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ সালের ছয় দফা, ’৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০ সালের নির্বাচন হয়। সবশেষে ’৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি শোষণ থেকে মুক্তি পেয়েছে।

 

এক্সটার্নাল-২ : স্মার্ট বাংলাদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এর ইতিবাচক প্রভাব কী হবে?

—স্যার, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এর প্রভাব অনেক। যেমন—রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, বিদেশি বিনিয়োগকে আকর্ষণ করবে,

বাণিজ্য কার্যক্রম সহজ হবে। অর্থাৎ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বাণিজ্য প্রক্রিয়া দ্রুত ও স্বচ্ছ হবে।

তোমার জেলা কোনটি? আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তোমার জেলার অবদান কী?

—স্যার, আমার জেলা সাতক্ষীরা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমার জেলার অবদান অনেক। আমার জেলায় প্রচুর চিংড়ি উৎপাদিত হয়, যা বিদেশেও রপ্তানি হয়। প্রতিবছর সুস্বাদু আম্রপালি আম এবং টালি বিদেশে রপ্তানি হয়। এর ফলে উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।

 

চেয়ারম্যান : ঠিক আছে, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। তোমার ভাইভা শেষ।

 

 

মন্তব্য

দারিদ্র্য জয় করে ছোটন এখন ম্যাজিস্ট্রেট

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন ছোটন মিয়া। আর্থিক সংকটের মধ্যে বড় হলেও লক্ষ্য পূরণে ছিলেন অটল। তার ফলও পেলেন। ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় সহকারী জজ বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর জীবনসংগ্রাম ও ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার গল্প শুনেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
শেয়ার
দারিদ্র্য জয় করে ছোটন এখন ম্যাজিস্ট্রেট
ছোটন মিয়া

জন্ম কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হোসনাবাদে। শৈশব থেকেই তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। আমার বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর, অন্যের জমিতে কাজ করতেন। সংসার চালাতেই তিনি হিমশিম খেতেন।

তাই পড়াশোনার খরচ জোগাতে আমিও বাবার সঙ্গে অন্যের জমিতে কাজ করতাম। পড়াশোনা, চাকরির প্রস্তুতি—সবই করেছি নিজের আগ্রহে।

নবম শ্রেণিতে ওঠার পর স্কুল শিক্ষকরা পরামর্শ দেন বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে। কিন্তু বিজ্ঞানে ভালো করতে প্রাইভেট পড়তে হয়! চিন্তায় পড়ে গেলাম।

চাপ কমাতে অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে উচ্চতর গণিত না নিয়ে কৃষি নিই। বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। রাতে হারিকেন জ্বালিয়ে পড়লে খরচ হয় বলে দিনে পড়তে হতো। এসএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস পেলাম।
ভর্তি হই কুমিল্লা সরকারি কলেজে। দূরে থেকে পড়াশোনার খরচের সামর্থ্য না থাকায় দুই মাস পর ভর্তি বাতিল করে গ্রামে চলে আসি।

গ্রামের একটি কলেজে ভর্তি হই। ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিই। কোচিং করতে পারিনি।

এক কলেজবন্ধু আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুতির জন্য ৩টি সহায়ক বই উপহার দেয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিই। ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিষয়ে ১০২তম হই। পরে মাইগ্রেশন করে আইন বিভাগে ভর্তি হই। খরচ জোগাতাম টিউশনি করে। টিউশনি করলে বেসিক অনেক বিষয় চর্চায় থাকে, যা চাকরির প্রস্তুতিতেও কাজে আসে।

২০২০ সালে হঠাৎ বাবা মারা যান। মনে মনে ভাবলাম, পরিবারের জন্য হলেও ক্যারিয়ারে সফল হতে হবে। আমি যখন ৪র্থ বর্ষে পড়ি তখন থেকেই মূলত চাকরির প্রস্তুতি শুরু করি। লক্ষ্য নির্ধারণ করলাম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হব! করোনার সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করতাম। আমার মেন্টর হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র এক ভাই। শুরুটা কিভাবে করতে হবে, কোন কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে, সেই বিষয়গুলোতে তিনি আমাকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন।

শুরু থেকেই প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার জন্য একসঙ্গে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার কোনো নোট করার অভ্যাস ছিল না। তাই প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা বই সংগ্রহ করে বিস্তারিত বুঝে পড়তাম। বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো দাগিয়ে টুকে রাখতাম।

যে বিষয়গুলোতে নম্বর তোলা সহজ, সেগুলোর ওপরই আমি বাড়তি জোর দিয়েছি। গণিত ও বিজ্ঞানে উত্তর ঠিকঠাক হলে বেশি নম্বর তোলা যায়। তাই বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হওয়ায় এই দুই বিষয়ের ওপর ভালোই দখল ছিল। তা ছাড়া প্রস্তুতির সময় মুসলিম আইন ও বিশেষ আইনের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ এই বিষয়গুলোতে ‘সমস্যা’সংক্রান্ত প্রশ্ন বেশি থাকে। কিন্তু সঠিক উত্তর দিতে পারলে গণিতের মতো পুরো নম্বর তোলা যায়।

২০২০ সালে অনার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে শেষ হয় এক বছর পর। অনার্স শেষে প্রথমবারের মতো ১৫তম বিজেএস পরীক্ষায় অংশ নিই। সেই পরীক্ষায় আমি প্রিলিমিনারি থেকেই বাদ পড়ে যাই। ভালো প্রস্তুতি থাকার পরও প্রিলিমিনারিতে না টিকে কিছুটা হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু হাল না ছেড়ে ১৬তম বিজেএস পরীক্ষায় অংশ নিই। এই বিজেএসে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভাইভায় পাস করতে পারিনি। তারপর মানসিকভাবে তৈরি হয়েও আবারও প্রস্তুতি নিই। অবশেষে ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় অংশ নিই। সব ধাপে ভালো করে সহকারী জজ/জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হই।

 

মন্তব্য

৫৪০ কর্মী নেবে জীবন বীমা করপোরেশন

    তিন ধরনের পদে মোট ৫৪০ জন নিয়োগ দেবে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশন। পদগুলো হলো—উচ্চমান সহকারী (১৭৬), অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (১৬৫) ও অফিস সহায়ক (১৯৯)। আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ মে ২০২৫। নিয়োগ পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
৫৪০ কর্মী নেবে জীবন বীমা করপোরেশন
ছবি : এআই দিয়ে তৈরি

কেমন হবে নিয়োগ পরীক্ষা

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্ধারিত নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা (লিখিত, মৌখিক ও ব্যাবহারিক) নেওয়া হবে। সব পদের ক্ষেত্রেই এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। তবে উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কম্পিউটারের ওপর ব্যাবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। অফিস সহায়ক পদের ক্ষেত্রে শুধু সংক্ষিপ্ত পদ্ধতির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

বিগত নিয়োগ পরীক্ষা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদগুলোতে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এবারও একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা হতে পারে।

 

বিগত পরীক্ষা কেমন ছিল

২০২১ সালের উচ্চমান সহকারী পদের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষায় দেখা গেছে, মোট ৮০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রে বাংলায় ২০, গণিতে ২০, ইংরেজিতে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে ২০ নম্বর বরাদ্দ ছিল।

একই বছরের অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় (এমসিকিউ) ৮০ নম্বরের প্রশ্ন ছিল। এই পদের প্রশ্নেও বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন একই ছিল। তবে অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষা (২০২১) হয়েছিল সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে ৪০ নম্বরে। এখানে নম্বর বণ্টন ছিল—বাংলায় ১০, গণিতে ১০, ইংরেজিতে ১০ এবং সাধারণ জ্ঞানে ১০।
প্রার্থীরা এই প্রশ্ন কাঠামো বা পদ্ধতি অনুসরণ করেই প্রস্তুতি নিতে পারেন। 

 

পরীক্ষার প্রস্তুতি

লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর। উচ্চমান সহকারী এবং অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের প্রস্তুতি নিতে হবে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই থেকে। অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিত এবং নবম-দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবইয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু ও অধ্যায় ভালো ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। অফিস সহায়ক পদে সাধারণত পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে প্রশ্ন করা হয়।

প্রস্তুতি নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় কম থাকলে এসব পদের জন্য নির্ধারিত সহায়ক বই সংগ্রহ করতে পারেন। পরীক্ষার সহজ প্রস্তুতির জন্য খুব ভালো উৎস হতে পারে বইগুলো। এ ছাড়া ইউটিউব ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিগত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও নমুনা প্রশ্ন দেখে বাসায় নিজে নিজে মডেল টেস্ট দিতে পারেন। সাধারণ জ্ঞানের সমসাময়িক বিষয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতেও খোঁজখবর রাখতে হবে।

 

বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিক

বাংলা : বাক্য রচনা, সমাস, কারক, ভাষা, সন্ধি বিচ্ছেদ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন। গদ্য ও পদ্য থেকে প্রশ্ন কম থাকে।

ইংরেজি : Transformation of verbs, Phrases and idioms, Translation, Fill in the blanks, Sentence making, Correction, Narration, Voice & Sprats of speech|

গণিত : পাটিগণিত, বীজগণিত এই দুটো অংশ থেকে প্রশ্ন আসে। প্রশ্ন আসে জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি থেকেও। অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই (পাটিগণিত) থেকে—লসাগু, গসাগু, শতাংশ, গড় নির্ণয়, শতকরা, সুদকষা, অনুপাত ও সমানুপাত। নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই (বীজগণিত) থেকে—উৎপাদক, মাননির্ণয় ও জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি।

সাধারণ জ্ঞান : সাম্প্রতিক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা তথ্যের (বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ও বিশ্ব) পাশাপাশি বিজ্ঞান, অর্থনীতি, কম্পিউটার, ইতিহাস, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ের ওপর প্রস্তুতি রাখতে হবে। এ ছাড়া জীবন বীমা সম্পর্কিত সাধারণ তথ্য থেকেও প্রশ্ন থাকে।

 

পদভিত্তিক যোগ্যতা

উচ্চমান সহকারী—স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস হতে হবে। অফিস সহকারী-কাম- কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক—এইচএসসি বা সমমানের পাসসহ কম্পিউটারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ এবং ইংরেজিতে ২৮ শব্দের গতি থাকতে হবে।

অফিস সহায়ক—অষ্টম বা সমমানের যোগ্যতা থাকলেই আবেদন করা যাবে। অফিস সহায়ক পদে আবেদনের ক্ষেত্রে করপোরেশনে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মরতদের বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রার্থীর বয়সসীমা হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে)। চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

 

বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা

প্রার্থীরা জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন। উচ্চমান সহকারী পদে ১৩তম গ্রেডে ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ১৬তম গ্রেডে ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা এবং অফিস সহায়ক পদে ২০তম গ্রেডে ৮,২৫০-২০০১০ টাকা স্কেলে মাসিক বেতন। এ ছাড়া অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা তো থাকছেই।

 

আবেদন যেভাবে

আবেদন করতে হবে অনলাইনে (http://jbc.teletalk.com.bd)। যাঁরা ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ইতোপূর্বে আবেদন করেছেন, তাঁদের পুনরায় আবেদন করতে হবে না।

 

 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ