<p>সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় বাদীর ব্যক্তিগত খরচে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।</p> <p>আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ আদেশ দেন। আইনজীবীরা হলেন শিশির মনির, মুজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক, মোস্তফা জামাল, আবু রাসেল, মহিউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ইকবাল হোসেন, মোত্তাকিন হোসাইন।</p> <p>এর আগে গতকাল সোমবার মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলী রোমান আদালতে এ আবেদন করেন। পরে আদালত বাদীর উপস্থিতিতে এ বিষয় শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="একটি ফোন কল যেভাবে বদলে দিয়েছে ড. ইউনূসের জীবনের গতিপথ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/01/1727770012-824d4caca810ed7865f82b6c46a3c733.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>একটি ফোন কল যেভাবে বদলে দিয়েছে ড. ইউনূসের জীবনের গতিপথ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/01/1430740" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আইনজীবী নিয়োগের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার ভিকটিম সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। মামলাটি দীর্ঘ ১২ বছর তদন্ত চলমান থাকলেও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মামলায় কোনো প্রকার অগ্রগতি নেই। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহায়তার জন্য বাদীপক্ষে নিজ খরচে আইনজীবী নিয়োগ করা আবশ্যক।</p> <p>২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলানগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। </p> <p>প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। </p> <p>এ মামলার আসামিরা হলেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান। তাদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছেন।</p>