<p>সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম (৮১) মারা গেছেন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৫টায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইসড হাসপাতালে তিনি মারা যান।</p> <p>সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তা ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরাম-এর পক্ষ থেকেও গভীর শোকা জানানো হয়।</p> <p>সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানিয়েছে, আজ দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি ফজলুল করিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।</p> <p>বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা আহমদ কবির ও মা সুনিয়া আরা বেগম। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের বংশধর।</p> <p>মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে লিঙ্কনস ইন থেকে বার করেন। ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম জজকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। এরপর ১৯৭০ সালে ঢাকা হাইকোর্ট এবং ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।</p> <p>মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৮২ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এবং ২০০১ সালের ১৫ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হিসাবে উন্নীত হন। তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইস্যুতে বিচার বিভাগীয় শিক্ষা’ বিষয়ক দিল্লিভিত্তিক এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাডভাইজরি ফোরামের সদস্য। বিচার বিভাগীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আদালত প্রশাসন ও আদালত ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের চেয়ারম্যান এবং মধ্যস্থতা ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির পরিকল্পনার সদস্য ছিলেন।</p> <p>বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।</p>