<p>যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানজুড়ে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটি আরো বিস্তার লাভ করতে পারে। দেশটিতে শরণার্থীশিবির ও বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায়গুলো বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘ সমর্থিত মূল্যায়নে মঙ্গলবার এসব কথা বলা হয়েছে।</p> <p>জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর ব্যবহার করা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) পর্যালোচনাতে বলা হয়েছে, দুর্ভিক্ষ ইতিমধ্যে সুদানের পশ্চিমাংশের দুটি বাস্তুচ্যুত শিবির ও দক্ষিণের কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়েছে।</p> <p>সুদান ২০ মাস ধরে সেনাবাহিনী ও প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদের নেতৃত্বে আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের মধ্যে চলমান সংঘাতে জর্জরিত, ফলে একটি ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে চলা এই যুদ্ধের ফলে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছে এবং এক কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা জাতিসংঘ বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি সংকট হিসেবে অভিহিত করেছে।</p> <p>মঙ্গলবার প্রকাশিত আইপিসির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ছয় লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মহাসংকটজনক পর্যায়ের ক্ষুধার সম্মুখীন, আর আরো ৮১ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের প্রান্তে রয়েছে।</p> <p>আইপিসি জানিয়েছে, উত্তর দারফুরের তিনটি শিবিরে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে—আগস্টে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা জামজাম শিবিরে, নুবা পর্বতমালার বাসিন্দা ও বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় কোরদোফানে। এ ছাড়া ডিসেম্বর থেকে মে পর্যন্ত দুই কোটি ৪৬ লাখ মানুষ ‘তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার উচ্চ স্তরের’ সম্মুখীন হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা সুদানের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। পাশাপাশি ‘খাদ্য ও পুষ্টি সংকটের অভূতপূর্ব গভীরতা ও বিস্তার চিহ্নিত’ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।</p> <p>জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, ‘তীব্র সংঘাতপূর্ণ এলাকা, যেমন খারতুম ও আলজাজিরার কিছু অংশ ইতিমধ্যে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে’। তবে তথ্যের অভাবের কারণে আনুষ্ঠানিক শ্রেণিবিন্যাস করা সম্ভব হয়নি।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>