৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলনে আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর অভিযোগে সাবেক এক সংসদ সদস্য ও চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রসিকিউশনের আবেদনে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই পরোয়ানা দেন। 

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদ, এস এম মইনুল করিম, শাইখ মাহদী।

আরো পড়ুন
১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএ‌ফ

১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএ‌ফ

 

অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির এবং আগামী ২৬ জানুয়ারি এদের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

এর আগে গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় নিহত সবুরের ভাই এবং সজলের মায়ের আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেছিলেন।

আরো পড়ুন
শেখ হাসিনা পরিবারের আর্থিক লেনদেনের নথি তলব

শেখ হাসিনা পরিবারের আর্থিক লেনদেনের নথি তলব

 

অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর আনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সকল পুলিশ সদস্য এবং ঢাকা ডিবি উত্তরের সদস্যরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের আদেশে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার হীন উদ্দেশ্যে বিজয় উল্লাসরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে 
আস-সাবুর, আবদুল মান্নান, মিজানুর রহমান, তানজিল মাহমুদ সুজয়, সাজ্জাদ হোসেন সজল ও বায়েজিদকে হত্যা করে এবং আশুলিয়া থানার সামনেই পুলিশ ভ্যানে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দেয়।

অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অপরাধ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরো ৬০ দিন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরো ৬০ দিন
সংগৃহীত ছবি

সশস্ত্র বাহিনীকে দেওয়া বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস বা ৬০ দিন (১৫ মার্চ থেকে পরবর্তী ৬০ দিন) বাড়িয়েছে সরকার। সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু-এর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশের কথা বলা হয়।

আরো পড়ুন
সামরিক বাহিনীর ঐক্য বিনষ্টে ষড়যন্ত্র ও সাম্প্রতিক দৃশ্যপট

সামরিক বাহিনীর ঐক্য বিনষ্টে ষড়যন্ত্র ও সাম্প্রতিক দৃশ্যপট

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে অর্থাৎ সারাদেশে ও সময়কালে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং কোস্টগার্ডে প্রেষণে নিয়োজিত সমমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) সারা দেশে ফৌজধারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তারা কার্যক্রম চালাতে পারবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

আরো পড়ুন
ভারতে ইসরায়েলের পর এবার ব্রিটিশ তরুণীকে ধর্ষণ

ভারতে ইসরায়েলের পর এবার ব্রিটিশ তরুণীকে ধর্ষণ

 

এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সারা দেশে মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দুই মাস বা ৬০ দিনের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

আর গত ১৫ নভেম্বর ও ১২ জানুয়ারি দুই দফায় সশস্ত্র বাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া ক্ষমতা দুই মাস করে বাড়িয়েছিল সরকার।

মন্তব্য

মাগুরার সেই শিশুর জীবন সংকটাপন্ন, দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মাগুরার সেই শিশুর জীবন সংকটাপন্ন, দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’
সংগৃহীত ছবি

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটির অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) আরো দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আজ বেলা সোয়া ১১টায় শিশুটির শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ এ তথ্য জানান। গতকাল বুধবার (১২ মার্চ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়।

ডেপুটি প্রেস সচিব জানান, শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন; আজ আরো দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে; দ্বিতীয়বার প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পর রিভার্স করেছে। ব্রেন ফাংশন করছে না; জিসিএস (কোমা) লেভেল ৩। রক্তচাপ ও অক্সিজেন লেভেল অনেক কম।

আরো পড়ুন
চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় ভাই-বোনসহ ৩ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় ভাই-বোনসহ ৩ জনের মৃত্যু

 

গত বুধবার (৫ মার্চ) আট বছরের শিশুটি বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়।

তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি না হলে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
অবস্থার আরো অবনতি হলে শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

মন্তব্য

মাগুরার শিশুটির ব্রেনফাংশন করছে না, জানা গেল সর্বশেষ অবস্থা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মাগুরার শিশুটির ব্রেনফাংশন করছে না, জানা গেল সর্বশেষ অবস্থা
ফাইল ছবি

যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া মাগুরার শিশুটির শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এক বার্তায় প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, আজ আরো দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে আট বছর বয়সী শিশুটির। তার ব্রেনফাংশন করছে না; জিসিএস (কোমা) লেভেল ৩। রক্তচাপ ও অক্সিজেন লেভেলও অনেক কম।

শিশুটি বর্তমানে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের শিশু আইসিইউতে আছে। গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিএমএইচে আনা হয়।

গতকাল বুধবার শিশুটির চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় বলে জানা গেছে সেনাবাহিনীর এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়।

গত ৫ মার্চ শিশুটি মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়।

ওই ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলা দায়েরের পর শিশুটির বোনের স্বামী, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা রিমান্ডে আছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পাবেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পাবেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
সংগৃহীত ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন। সেই সঙ্গে এসব শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে হবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন।

এর আগে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেড করাসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ক্ষেত্রেই প্রবেশ পদে বেতন স্কেল দশম গ্রেড করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে প্রধান‌ শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে উন্নীতের পথে বাধা সৃষ্টি হয়।

এরপর বারবার চেষ্টা করেও আওয়ামী শাসন‌ আমলে মামলাটির শুনানি করতে ব্যর্থ হন আইনজীবী। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ। এদিকে, এই রায়ে সন্তুোষ প্রকাশ করেছেন রিটকারী প্রধান শিক্ষকেরা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ