শেষ হতে চলেছে ২০২৪ সাল। অনেক আলোচিত ও নাটকীয় ঘটনাবহুল ছিল বছরটা। বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও সোশ্যাল মিডিয়া ছিল অসংখ্য ঘটনার স্বাক্ষী। একের পর এক ভাইরাল কন্টেন্টে বিনোদনে মজে ছিলেন মানুষ।
শেষ হতে চলেছে ২০২৪ সাল। অনেক আলোচিত ও নাটকীয় ঘটনাবহুল ছিল বছরটা। বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও সোশ্যাল মিডিয়া ছিল অসংখ্য ঘটনার স্বাক্ষী। একের পর এক ভাইরাল কন্টেন্টে বিনোদনে মজে ছিলেন মানুষ।
হাউন আংকেল
চলতি বছর একটি সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় বিনোদন জগতের জনপ্রিয় তারকা সিমরিন লুবাবারও একটি ডায়ালগ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়। ডিবি প্রধান হারুণকে তিনি ‘হাউন’ উচ্চারন করায় নেটপাড়ায় বেশ ট্রলের সম্মুখীন হন এ শিশু তারকা। ২০২৩ সালে তার ‘কেন্দে দিয়েছি’ ডায়ালগটিও নেটপাড়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছিল।
উহু মুরুব্বি
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তোলে মাওলানা মোস্তাক ফয়েজীর একটি বক্তব্য। একটি ওয়াজ মাহফিলে বয়ান দিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ সে মাহফিল ছেড়ে একজন উঠে চলে যেতে চাইলে মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী তার বয়ানের মাঝেই বলেন, মুরুব্বি, উহু উহু। তার ‘এই সোনামণি, বসো, উহু উহু’ ডায়ালগটিও ব্যাপক ভাইরাল হয় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই ওয়েট ওয়েট
দেশে কোটা আন্দোলনের সময় ভাইরাল হন শিক্ষার্থী ফারজানা সিঁথি।
শেখ হাসিনা পালায় না
ছাত্র জনতার আন্দোলন চলার সময় থেকেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন বক্তব্য নেটপাড়ায় বেশ ভাইরাল হতে শুরু করে। আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে তিনি যখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তার ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ ডায়ালগ।আশেপাশের কনসার্টের টিকিট
পালাব না, কোথায় পালাবো
শেখ হাসিনার মতো ওবায়দুল কাদেরের ‘পালাব না, কোথায় পালাবো’ ডায়ালগও বেশ ভাইরাল হয় এ বছর। নেটিজেনদের অনেকেই তাকে মজা করে ‘কাউকা কাদের’, কাক্কু বলে মজা পান। তার আরও কিছু ভাইরাল ডায়ালগ হলো সি হেজ মেইড আস, একটু অপেক্ষা করা যায় না, একটু বলবো না একটা শব্দও বলবো না, মাসুদ তুমি কি কোনো দিনই ভালো হবে না ইত্যাদি।
এই মেয়ে চুপ করো
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বেশকিছু ভিডিও নেটপাড়ায় ভাইরাল হয় এ বছরই। এসব ভাইরাল ভিডিওর বেশিরভাগ ডায়ালগই টিকটকার লুফে নেন তাদের ভিডিও তৈরি করার জন্য। যার মধ্যে অন্যতম ‘এই মেয়ে চুপ করো’। ‘এই যে মহিলা এখন মুখটা বন্ধ কেন’ এ ডায়ালগটিও লোকমুখে বেশ জনপ্রিয় ছিল।
প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেও
গ্রামের এক শিশুর ‘প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেও’ ডায়ালগটিও চলতি বছর ছিল ব্যাপক জনপ্রিয়। এ বক্তব্য এতই জনপ্রিয় হয়েছিল অনেকে এ ডায়ালগকে ডিজে গান বানিয়ে নেচে ভিডিও তৈরি করেছিলেন।
আমার আবেগ কাজ করেছে, বিবেক কাজ করেনি
চট্টগ্রামে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার মো. হাসানের হত্যার তদন্তে বেরিয়ে আসে শ্বশুরকে খুন করেন তার পুত্রবধূ (অভিযুক্ত নারী আসামি) আনার কলি। সংবাদমাধ্যমে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আনার কলি বলেন, ‘আমি দোষী, আমি কি আপনাদের একবারও বলেছি আমি নির্দোষ। তখন আমার আবেগ কাজ করেছে, বিবেক কাজ করেনি।’ চলতি বছর খুনির এ ডায়ালগও সারা বছর নেটপাড়া ও লোকমুখে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল।
নাইস অ্যান্ড এট্রাক্টিভ
চলতি বছর সোশ্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ভাইরাল ডায়ালগ ছিল এটি। দেশের ২২তম এ রাষ্ট্রপতি চলতি বছর সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে সাংবাদিক ও গায়িকা নবণীতা চৌধুরীর একটি ছবির নিচে নাইস অ্যান্ড এট্রাক্টিভ লেখেন। এরপর থেকেই দেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ছবির কমেন্ট বক্সে, কথাবার্তার মাঝপথে ব্যবহার করতে শুরু করে রাষ্ট্রপতির এ ডায়ালগ।
আপনি প্লিজ উত্তেজিত হবেন না
এ বছরই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয় মেট্রো টু দ্য পয়েন্ট নামের একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও ক্লিপ। যেখানে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী ও বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বাকবিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়েন। এক সময় বিচারপতি মানিক দীপ্তির উদ্দেশে বলেন, আপনি কথা বলবেন না। প্রতি উত্তরে দীপ্তি বলেন, আপনি প্লিজ উত্তেজিত হবেন না।
এছাড়া নাটক কম করো পিও, একটু নিচে পিও, সিঙ্গেল সিঙ্গেল আমি সিঙ্গেল, স্বজন হারানোর বেদনার মতো আরও অনেক সংলাপই সাধারন মানুষের মুখে মুখে ছিল ২০২৪ সালে।
সম্পর্কিত খবর
‘হাতে তিন-চারটি সিনেমা আছে, এগুলো শেষ করতে করতেই বেশ সময় চলে যাবে। এরপর আমি আর নতুন কোনো সিনেমা করতে চাই না।’ এভাবেই এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দেন চিত্র নায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এরপর আর সিনেমা করাটাও সুন্দর দেখায় না।
জানা যায়, ২০১০ সালে ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আফিয়া নুসরাত বর্ষার।
বর্ষা বলেন, ‘আমি খুব বাস্তববাদী মানুষ। ফলে আমি বাস্তবতা মাথায় রেখে চিন্তা করি। আমার মনে হয় নায়িকাদের একটা বয়স পর্যন্ত স্ক্রিনে ভালো লাগে। তত দিনই কাজ করা উচিত। আমার ক্ষেত্রেও তাই।
এ সময় অনন্ত জলিল বলেন, ‘এখন যারা আমাদের দেশে নায়িকা হিসেবে কাজ করছেন তাদের অনেকের চেয়ে বর্ষার বয়স কম। তা-ও সে এ কথা বলছে।’
এরপর বর্ষা বলেন, ‘আমার বড় ছেলের বয়স ১০, ছোট ছেলের ৭। কয়েক বছর পরই বড় ছেলের ১৪-১৫ বছর হয়ে যাবে। তখন সে যদি দেখে মা সিনেমার নায়িকা, তখন কি ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অনন্ত জলিলের অভিনয় অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনন্ত চাইলে কাজ করে যেতে পারে। কারণ আমি জানি তাকে নারীদের ভিড়ে ছেড়ে দিয়ে এলেও সে ঠিকই তার কাজটা শেষ করে ঘরেই ফিরবে। অন্য নারীদের দিকে তাকাবেও না।’
তিনি বলিউড খিলাড়ি। নিজের সোনালি সময়ে ভক্ত অনুরাগীদের কাছে যেমন ছিলেন প্রত্যাশিত, তেমনি নায়িকাদের হৃদয়েও ঝড় তুলেছেন বারবার। সহ-অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর, রাভিনা ট্যান্ডন থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশকের হিট নায়িকা শিল্পা শেঠিদের হৃদয়ের পুরুষ ছিলেন। তবে সেই অক্ষয় কুমার কিনা মাঝরাতে প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে যান আরেক নায়িকার বাড়িতে।
নব্বইয়ের দশকে জুটি বেঁধে অনেক সিনেমা করেছেন অক্ষয় কুমার ও আয়েশা জুলকা। মিষ্টি নায়িকা আয়েশা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বলিউডের প্রযোজকদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন। ঋষি কাপুর, অক্ষয় কুমার, মিঠুন চক্রবর্তী, আমির খান- বলিউডের তাবড় তাবড় নায়কদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। শুধুই তাই নয়, নীতিশ ভরদ্বাজ, বিবেক মুসরান, কামাল সাদানার মতো নতুন হিরোদের সঙ্গে জুটি বেঁধেও একের পর এক হিট দিয়েছেন আয়েশা।
শোনা যায়, আয়েশাকে নাকি দারুণ পছন্দ ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। গুঞ্জন রটেছিল ‘দালাল’ সিনেমার পর আয়েশাও নাকি মিঠুনের দিকে ঝুঁকেছিলেন। ঠিক এই সময়ই এন্ট্রি নেন অক্ষয়। ‘খিলাড়ি’ সিনেমায় আয়েশার সঙ্গে জুটি বাধার পরই শুটিংয়ের বাইরে অক্ষয়ের প্রেম শুরু!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টিভি নাইন বাংলা’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময় এক বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক খবর নিয়ে বলিউডে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল।
জানা গেছে, আয়েশার ঘরে ঢুকে নাকি প্রেমের প্রস্তাব দেন বলিউডের খিলাড়ি কুমার। তবে তৎক্ষণাৎ সেই প্রস্তাবকে নাকচ করেন আয়েশা। কেননা, অক্ষয়ের স্বভাবের কথা তিনি জানতেন।
অক্ষয় ও আয়েশা বেশ কিছু হিট সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ‘খিলাড়ি’, ‘ওয়াখত হামারা হ্যায়’, ‘জয় কিষান’, ‘বারুদ’-এর মতো সিনেমা। বর্তমানে অক্ষয় বলিউডের শীর্ষস্থানীয় নায়ক হলেও আয়েশা রয়েছেন বলিউড থেকে অনেকটাই আড়ালে।
বিশ্ব এখন প্রযুক্তিনির্ভর। মানুষের দিন শুরু হয় প্রযুক্তি দিয়ে। জীবনযাপনের বেশিরভাগ অংশজুড়েই প্রযুক্তির ছোঁয়া। তবে প্রযুক্তিময় পৃথিবীতে ব্যতিক্রমী কিছু মানুষও রয়েছেন যারা নিজেদের রেখেছেন এই যান্ত্রিকতার বাইরে।
সালমা হায়েক বলেন, তিনি যতটা সম্ভব প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন।
ম্যারি ক্লেয়ার ম্যাগাজিনকে সালমা হায়েক বলেন, ‘এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) মানুষের বুদ্ধিমত্তা কমিয়ে দেয়, কারণ এতে মস্তিষ্ক অলস হয়ে পড়ে। আমি সবকিছু হাতে লিখি।
সালমা হায়েকের আরো কিছু ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
হায়েক আরও জানান, তিনি বেশ কয়েকটি লাভজনক প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন, এবং তার স্বামী তার এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেন। তবে অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন যে, প্রচুর অর্থ থাকা সত্ত্বেও তিনি অর্থ নিয়ে আলোচনা পছন্দ করেন না, বিশেষ করে অন্য ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে।
ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত হলিউড অভিনেত্রী গাল গ্যাডট জায়গা পেয়েছেন হলিউডের সম্মানসূচক ‘ওয়াক অব ফেম’-এ। বিশ্বের কিংবদন্তি সব হলিউড তারকাদের সঙ্গে নাম জুড়ল অভিনেত্রীর। হলিউডের অন্যতম মর্যাদাসূচক এ সম্মাননায় উচ্ছ্বসিত ‘ওয়ান্ডারওম্যান’ অভিনেত্রী।
তবে এই অর্জনকে কেন্দ্র করেই ঘটল বিশৃঙ্খলা।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গাল গ্যাডট কেবল ইসরায়েলি অভিনেত্রীই নন, দেশটির সামরিক বাহিনীতেও বছর দুয়েক ছিলেন। নিজের দেশের পক্ষে তিনি সব সময় সরব।
প্রতিবেদন অনুসারে, ওয়াক অব ফেমের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রীর সমর্থনে হাজির হয়েছিলেন ইসরায়েলপন্থীরা। অন্যদিকে ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ও যুদ্ধবিরতির দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মুখোমুখি বিক্ষোভ শুরু হতেই লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। যদিও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিছু লোককে আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি গাল গ্যাডট।