আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
সংগৃহীত ছবি

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই’ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্যের পর মধ্যরাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘সাঈদ-ওয়াসিম-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ধরি ধরি ধরি না, ধরলে কিন্তু ছাড়ি না’, ‘আওয়ামী লীগের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৭১

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৭১

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (২২ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২২ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে চার ঘণ্টাব্যাপী মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকা, গোটগাট, লাউতলা, জেনেভা ক্যাম্প ও তাজমহল রোডে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আদাবর থানা সূত্রে জানা যায়, একই সময়ে আদাবর থানাধীন শেখেরটেক, শ্যামলী হাউজিং প্রকল্প, আদাবর, সুনিবিড় হাউজিং ও মেহেদীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

উভয় থানার অভিযানে গ্রেপ্তারদের মধ্যে চিহ্নিত মাদক কারবারি, পেশাদার ছিনতাইকারী, চোর, চাঁদাবাজ ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা রয়েছেন। 

অভিযানে নেতৃত্ব দেন তেজগাঁও ও মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জসহ থানার চৌকস টিম।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রাজধানীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাজধানীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত

রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নুর ইসলাম (৫৬) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ মার্চ) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কিসমত আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মবিউল্লাহর ছেলে নুর ইসলাম। 

সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ হাসান বলেন, ট্রিপল নাইনে সংবাদ পেয়ে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

 

আরো পড়ুন
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ৬ স্থানে উচ্ছেদে নামছে পুলিশ

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ৬ স্থানে উচ্ছেদে নামছে পুলিশ

 

উদ্ধারকারী রিকশাচালকের বরাদ দিয়ে তিনি বলেন, বিকেল আনুমানিক পৌনে ৩টার দিকে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় দ্রুত গতির মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এক রিকশাচালক তাকে উদ্ধার করে পাশের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে ওই হাসপাতাল থেকে ট্রিপল নাইনে মাধ্যমে আমাদের সংবাদ দেন।

রিকশাচালকের কথা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  

সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের মাধ্যমে নিহতের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

রাজধানীতে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর আত্মহনন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাজধানীতে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর আত্মহনন
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বংশালে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী ইয়াসিন আরাফাত বাপ্পি (৩০)। নিহত ইয়াসিন আরাফাত ইন্টারনেটের ব্যবসা করতেন।শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় ইয়াসিনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

আরো পড়ুন
‘OK’ শব্দটির পূর্ণরূপ কী? জানেন না অনেকেই

‘OK’ শব্দটির পূর্ণরূপ কী? জানেন না অনেকেই

 

সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো ফারুক বলেন, ‘মৃতদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’ 

বংশালের আগা মাছি লেনের মো. জাবেদের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত বাপ্পি। 

মৃতের বাবা জাবেদ জানিয়েছেন, মৃত ইয়াসিন তার স্ত্রী রুপার সঙ্গে মনমালিন্য হয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন।

তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

মন্তব্য
বিক্ষোভ সমাবেশে ঘোষণা

পাওনা পরিশোধ না করলে প্রধান উপদেষ্টার বাসায় যাবেন স্টাইল ক্রাফট গার্মেন্ট শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পাওনা পরিশোধ না করলে প্রধান উপদেষ্টার বাসায় যাবেন স্টাইল ক্রাফট গার্মেন্ট শ্রমিকরা
সংগৃহীত ছবি

শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করলে ঈদের দিন প্রধান উপদেষ্টার বাসায় যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট গার্মেন্টের শ্রমিকরা। শ্রমিক নেতারা বলেছেন, রবিবার থেকে পাওনা আদায়ে বিক্ষোভসহ আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। শনিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

আরো পড়ুন
স্ত্রীকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা, স্বামী আটক

স্ত্রীকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা, স্বামী আটক

 

সংগঠনের সহসভাপতি হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শ্রমিক নেতা কে. এম মিন্টুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা আব্দুল কাদের হাওলাদার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন, শ্রমিকনেতা ইকবাল হোসেন, জালাল হাওলাদার, সেকেন্দার হায়াত, সালমা আক্তার প্রমুখ।

  

সমাবেশে নেতারা বলেন, গত ৬ মার্চ সরকার, শ্রমিক ও মালিক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ রমজানের মধ্যে সকল শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করার কথা। কিন্তু দুই শতাধিক মালিক তা বাস্তবায়ন করেনি। ইতিমধ্যেই গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফটের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করার আইনানুগ বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু মালিক ও সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্তরা কেউই যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় শ্রমিক-কর্মচারীদের জীবন চরম সংকটে পড়েছে।

যে কারণে শ্রমিকরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। তারা গত ১৪ মাস যাবত নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।

আরো পড়ুন
৬ ফুট লম্বা আহত অজগর উদ্ধার, চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত

৬ ফুট লম্বা আহত অজগর উদ্ধার, চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত

 

নেতারা বলেন, স্টাইল ক্রাফট গার্মেন্টের শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে মালিক বহু রকম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বারবার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করার ফলে সরকার উদ্যোগ নিয়ে ত্রিপক্ষীয় কমিটি করে শ্রমিক কর্মচারীদের পাওনা সংক্রান্ত হিসাব চূড়ান্ত করেছেন।

সেই হিসাবে শ্রমিকদের পাওনা সঠিক বলে মালিক স্বীকার করলেও এখনো তা পরিশোধ করছেন না। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করায় বারবার সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং মালিকের বাড়ির সামনে অবস্থান আন্দোলন করা হয়। আন্দোলনের চাপে পাওনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে কালক্ষেপণ করছেন। সরকার এবং মালিক শ্রমিকদের জীবনকে মৃত্যুর মুখে নিপতিত করেছেন। এর দায় সরকার ও মালিককেই বহন করতে হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ