ঈদে রংপুর-পঞ্চগড় মহাসড়ক হয়ে ঘরে ফেরা মানুষজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রায় দুই শ কিলোমিটার সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ ৬টি স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশ, জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের সমন্বয়ে এক যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবার হাইওয়ে পুলিশের রংপুর রিজিওনাল অফিসে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।
সভায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মহাসড়কে মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং মহাসড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে রংপুর বিভাগ হাইওয়ে পুলিশ জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বাত্মক কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়।
আরো পড়ুন
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার
সভায় ট্রাফিক জংশন গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, বড়দরগা, তারাগঞ্জ বাজার, দশ মাইল, সৈয়দপুর শুটকির মোড়ে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং এসব জংশন পয়েন্টে মহাসড়ক থেকে সব দোকান এবং পার্কিং উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া যাত্রী উঠানো এবং নামানোর জন্য স্থান নির্দিষ্ট করার সিদ্ধান্তও হয়। সভায় মূল সড়কে থ্রি হুইলার এবং অটোরিকশা চলতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের আগে এবং পরে দ্রুতগতির মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস এবং কিশোরদের ডিজে পার্টির পিকআপ নিয়ন্ত্রণে এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বড়দরগা, তারাগঞ্জ এবং দশ মাইল হাইওয়ে থানা এলাকায় যৌথভাবে বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। সব পুলিশ সদস্যকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রা হবে নিরাপদ এবং অপেক্ষাকৃত যানজটমুক্ত।’
সভায় হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়নের সাত থানার অফিসার ইনচার্জ, গাইবান্ধা জেলার সার্কেল এএসপি রশিদুল বারী, লালমনিরহাট জেলার সার্কেল এসপি জয়ন্ত, পঞ্চগড় জেলার টিআই বেলাল, রংপুর জেলার টিআই (প্রশাসন) নূর সহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।