সখীপুরে মানসিক প্রতিবন্ধীকে মারধর, চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
সখীপুরে মানসিক প্রতিবন্ধীকে মারধর, চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা
ছবি: কালের কণ্ঠ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মোতালেব হোসেন (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার কক্ষে তালা দিয়েছেন এলাকাবাসী।

গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৫টায় পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা দেওয়া হয়। এদিকে আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। মানববন্ধনে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম রবি, বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বিএম বজলুর রহমান, শিপু জামান বুলবুল, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরো পড়ুন
যে কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিকে ১.৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিল জাপান

যে কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিকে ১.৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিল জাপান

 

বক্তারা দাবি করেন- চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তা একজন মাদকসেবী, তিনি পরিষদে দীর্ঘদিন ধরে নিজের খেয়াল-খুশি মতো কাজ করে চলছেন। আমরা অনতিবিলম্বে এই চেয়ারম্যানের অপসারণ চাই।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার সকালে ওই পরিষদের ভিজিএফের চাল বিতরণের নির্ধারিত তারিখ থাকার কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনীর হস্তক্ষেপে সচিবের কক্ষটি খুলে দেওয়া হয়।

এর আগে গত রবিবার (২৩ মার্চ) বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা স্থানীয় মোতালেব হোসেন নামের মানসিক প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তিকে মারধর করেন।

গতকাল সোমবার দুপুরের পর মোতালেব হোসেনকে লাথি মারার চার সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নেটিজেন ও স্থানীয়দের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

আরো পড়ুন
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে খুলনার প্রকৌশলীর ৫ বছরের কারাদণ্ড

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে খুলনার প্রকৌশলীর ৫ বছরের কারাদণ্ড

 

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, মোতালেব হোসেন নামের ওই ব্যক্তি প্রথমে চেয়ারম্যানকে লাথি মেরেছেন। মূলত তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী, বিষয়টি চেয়ারম্যানের জানা ছিল না।

পরিবারের লোকজনও মোতালেব হোসেনের মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, ‘লোকটি যে মানসিক ভারসাম্যহীন তা আমি জানতাম না। আমাকে ছোট করতে কোনো একটি পক্ষ ভিডিওটি কাটছাঁট করে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে। এখন যা হচ্ছে তা মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।’

আরো পড়ুন
দুদকের মামলায় খালাস পেলেন বরকত উল্লাহ বুলু

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন বরকত উল্লাহ বুলু

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, ‘পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চেয়ারম্যানের দুর্নীতি, ফেসবুক লাইভে তথ্য দিলেন ইউপি সদস্য

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
শেয়ার
চেয়ারম্যানের দুর্নীতি, ফেসবুক লাইভে তথ্য দিলেন ইউপি সদস্য
প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের লাইভে এসে গোপিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন। তিনি উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। এঘটনায় সর্বত্র চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। ফেসবুক লাইভে চেয়ারম্যানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ মার্চ ইউপি সদস্য সেলিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেখানে তিন কার্য দিবসের মধ্যে জবাব প্রদানের জন্য বলা হলেও তিনি নির্দিষ্ট লিখিত জবাব না দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভ করেন।

২৫ মিনিটের ওই লাইভ ভিডিওতে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, ‘গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া দিঘীরপাড় গ্রামীন ইট বিছানো রাস্তার কাজ চেয়ারম্যান নিজেই করছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে গিয়ে দেখি তিনি ভাঙা অর্ধেক ইট দিয়ে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করছেন।

সেই কাজের বরাদ্দ ছিল ৩ লাখ টাকা। এই নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ করেছি কিন্তু কাজে বাধা দেইনি। এর পরই চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এ ছাড়া আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের মাতৃভাতার কার্ড ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
যার সাথে সরাসরি চেয়ারম্যান জড়িত। তিনি মাতৃভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কার্ড করেও দিতে পরেননি এবং ভুক্তভোগীকে টাকাও ফেরত দেয়নি। যার প্রমান আমার কাছে আছে। অনেকের ভাতা হলেও পরে হিসাব নম্বর বদলে দিয়ে ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
গ্রাম আদালতে অভিযোগ ফি ২০ টাকা হলেও চেয়ারম্যানের হুকুমে বিনা রশিদে ৩০০ টাকা নেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি। চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান কাশিড়া তালুকদার পাড়া মাদ্রাসায় ও এতিম খানার টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। তাছাড়া ওয়ারিশান সনদ প্রদানে রশিদ ছাড়াই টাকা নেওয়া হয়।’

তার অভিযোগ, ‘অন্যান্য ইউনিয়নে রশিদ দিয়ে ৫০ টাকা নিলেও এই ইউনিয়নে রশিদ ছাড়া ২০০ টাকা নেওয়া হয়। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে এটা তার ইচ্ছা বলে আমাকে সাফ জানিয়ে দেন। আবেদন করতে ১০০ এবং সনদ নিতে ২০০ টাকা সহ মোট ৩০০ টাকা গুনতে হয় সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে। জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও গাফিলতি রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন করতে ৫০ টাকা ফি নির্ধারিত থাকলেও ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। গত ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতরে বিতরকৃত ভিজিএফ চালে ১ হাজার ২০০ জনকে এক থেকে দেড় কেজি চাল কম দিয়েছেন।’

লাইভে তিনি আরো বলেন, ‘গত বছর এর প্রতিবাদ করায় এ বছর আমাকে না ডেকে অন্যের মাধ্যমে আমার ওয়ার্ডে ভিজিএফ চালের কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। যাদের কার্ড দিয়েছে তারাও কোন চাল পাননি। পরে তাদের টাকা দিয়ে বিদায় করা হয়েছে। তাহলে বরাদ্দকৃত চাল গেল কোথায়? চেয়ারমান হাবিবুর রহমানের ছত্রছায়ায় ঘটে যাওয়া নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমাকে পরিষদ থেকে বাদ দিতে সে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। তার জবাব দিতে গেলেও পরিষদ থেকে তা গ্রহন করা হয়নি। পরে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জবাব দাখিল করেছি।’

ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমি বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান বিভিন্ন কৌশলে আমাকে হয়রানি করার অপচেষ্টা করছে। আমি ফেসবুক লাইভে যে অনিয়মের বিষয়গুলে তুলে ধরেছি তার উপযুক্ত তথ্য প্রমান আমার কাছে আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী ইউয়নের সকল উন্নয়ন কাজ করা হয়। যা সরকারের নির্ধারিত দপ্তর প্রতিনিয়ত তদারকি করে থাকেন। এখানে অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই। ইউপি সদস্য সেলিম একজন উশৃঙ্খল প্রকৃতির ছেলে। সে অসৎ উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। সেই কারণে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সে কোন জবাব দিতে পারেননি। একারণে সে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিশ বিষয়ে আমার জানা নেই। ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার অফিসে আসলেও সে কোন প্রকার লিখিত জবাব আমার অফিসে দাখিল করেননি।

মন্তব্য
কুমিল্লার ঈদ বাজার

শেষ সময়ে ফুটপাতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের ভিড়

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
শেষ সময়ে ফুটপাতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের ভিড়
কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকার ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় (ছবি :কালের কন্ঠ)

ঈদুল ফিতর বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। রমজানের পুরো মাসে কুমিল্লার বড় বড় শপিংমল ও ব্র্যান্ডশপগুলোতে উচ্চবিত্তের কেনাকাটার ভিড় থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসে নগরীর ফুটপাত ও ছোট ছোট কাপড়ের দোকানগুলোতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকালে নগরীর কান্দিরপাড় ও রাজগঞ্জ এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের ভ্রাম্যমান দোকানগুলোতে গত কয়েকদিনের তুলনায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। যাদের বেশির ভাগই মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

যারা ঈদের আগে চাঁদ রাত পর্যন্ত তাদের আয়ের ওপর নির্ভর করেই ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন।

টাউন হলের সামনে ভ্রাম্যমান কাপড় বিক্রেতা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, শেষ সময়ে এসে ভিড় বাড়ছে। প্রচুর ক্রেতা যাদের অধিকাংশ নিম্ম আয়ের মানুষ। তাদের কেউ পেন্ট, গেঞ্জি, কেউ পাঞ্জাবি-পায়জামা, লুঙ্গি কিনছেন।

বিকালে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ে। ফুটপাত মানভেদে একশ’ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচশ’ ও হাজার টাকা দামের নতুন কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। মার্কেটগুলোতে শুরুতে ভিড় দেখা গেলেও এখন মানুষ ঝুঁকছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। যাদের বেশিরভাগই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির।
 

মনোহরপুর ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি, জুতা-বেল্ট, শাড়ি, মানিব্যাগ, চশমা থেকে শুরু করে শিশু, যুবক, বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের পোশাকই ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে। এখানে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকায় মিলছে শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, শাড়ি, লুঙ্গিসহ বাচ্চাদের পোশাক। রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে কেনাবেচা। গতবারের চেয়ে এ বছর ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। 

কান্দিরপাড়ের খোসবো স্টোর্স’র স্বত্ত্বাধিকার মো.আবদুল মালেক খসরু উষা বলেন, জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়ায় মানুষ শেষ সময়ে এসে ঈদের কেনাকাটা করছে।

মানুষের আয় না বাড়লেও জীবন যাত্রায় ব্যয় বেড়েছে। তাই এখন মানুষ আর অতিরিক্ত খচর করতে চায় না। রমজানের শুরুতে বিক্রি কম হলেও এখন আতর, টুপি, জায়নামাজ ও লুঙ্গির ক্রেতা বাড়ছে। ঈদের আরও দুই তিন আছে। আশা করছি আরও বিক্রি বাড়বে। 

মন্তব্য

'চুন্নুর মতো জাতীয় বেইমানদের সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে'

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
'চুন্নুর মতো জাতীয় বেইমানদের সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে'
সংগৃহীত ছবি

করিমগঞ্জ-তাড়াইল আসনের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর সমালোচনা করে গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, মজিবুল হক চুন্নু কখনো বিনা ভোটে, কখনো রাতের ভোটে  কখনো ডামি ভোটে এমপি হয়েছিলেন চুন্নু। তার মতো জাতীয় বেইমানদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তিনি দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। তারা ফ্যাসিবাদকে দীর্ঘায়িত করতে হাসিনাকে সহযোগিতা করেছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গণ অধিকার পরিষদের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। করিমগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ করিমগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সামছুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম।

 

আরো পড়ুন
মায়ের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশুর

মায়ের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশুর

আবু হানিফ তরুণদের রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তরুণরা দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে। তাই দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করতে হলে রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।

এসময় বক্তব্য দেন যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, অভি চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল, ঢাকা মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন প্রমুখ।

আরো পড়ুন
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুই সহস্রাধিক লোকজনকে ঈদ উপহার দিলেন জিন্নাহ কবির

তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুই সহস্রাধিক লোকজনকে ঈদ উপহার দিলেন জিন্নাহ কবির

মন্তব্য

পটিয়ায় আওয়ামী দোসরদের জায়গা বিএনপিতে হবে না : এনাম

পটিয়া চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
পটিয়া চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
শেয়ার
পটিয়ায় আওয়ামী দোসরদের জায়গা বিএনপিতে হবে না : এনাম

‘পটিয়ার জিয়া পরিবারের নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামী জালিম সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। এই কারণেই পটিয়ার শত শত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। এরপরও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার  আন্দোলন সংগ্রামে বীর পটিয়াবাসীকে বিচ্চু শামশু গং দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে পটিয়া বিএনপি ঐক্যবদ্ধ।

বিগত দিনে যেসব বিএনপি নামধারী সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগের অবৈধ নির্বাচনগুলোতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিল, তাদের জায়গা পটিয়া বিএনপিতে জায়গা হবে না।’

এক ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনাম। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকালে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে কুসুমপুরা ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্দোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। 

এনামুল হক এনাম আরও বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ফ্যাসিবাদী হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী এবং হামলা মামলায় নির্যাতিত নেতাকর্মীরাই বিএনপির সত্যিকারের নেতাকর্মী।

যারা সুবিধাবাদী এবং পতিত স্বৈরাচারের দোসর ছিল, তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিএনপিতে কোনো সুবিধাবাদীর স্থান নেই। 

পটিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু ছালেহ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কুসুমপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোমেন সওদাগরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন এমএসসি, পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী আবু তাহের, পটিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম শফিক, হারুনুর রশীদ চৌধুরী, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মাবুদসহ দলটির নেতাকর্মীরা। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ