থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প, বাংলাদে‌শি‌ নাগরিকদের অবস্থা জানালেন রাষ্ট্রদূত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প, বাংলাদে‌শি‌ নাগরিকদের অবস্থা জানালেন রাষ্ট্রদূত
সংগৃহীত ছবি

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ ) শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনা ঘটলেও থাইল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন ব‌্যাংককে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী। এর  আগে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেন সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্যম ফেসবুকে জা‌নান বাংলাদেশি নাগ‌রিকরা নিরাপদ রয়েছেন। 

শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী বলেন, বাংলাদেশের সব নাগরিক নিরাপদে আছেন।

কারও হতাহত হওয়ার তথ্য নেই।

আজ (শুক্রবার) ভূমিকম্পের তীব্রতায় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনা ঘটলেও সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশির নিরাপদে আছেন।

এ‌দিন, নেপিদোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেন এই তথ‌্য জানান।

মিয়ানমারে কেন্দ্রীভূত এক শক্তিশালী ভূমিকম্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। শুক্রবারের এই ভয়াবহ ভূ-কম্পনে কেবল মিয়ানমারেই ১৪৪ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে এই ভূমিকম্পের কারণে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে।

যেখানে উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের সন্ধান করছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১৭ জন নিখোঁজ ও ৫ জন নিহত হয়েছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদের পরদিনও রাজধানী ছাড়ছে মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের পরদিনও রাজধানী ছাড়ছে মানুষ
ফাইল ছবি

নানা ব্যস্ততা ও টিকিট নিয়ে না পাওয়ায় ঈদের আগে অনেকেই বাড়ি যেতে পারেননি। তাদের কেউ কেউ ঈদের পরদিন আজ মঙ্গলবার রাজধানী ছাড়ছেন। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) মহাখালী বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ একা আবার কেউবা পরিবার নিয়ে সকাল থেকেই আসছেন মহাখালী বাসটার্মিনালে।

টার্মিনালে যাত্রীর চাপ রয়েছে। তবে এবারের যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। বরং অন্যান্যবারের চেয়ে ‘বাড়ি ফেরা’ স্বস্তির বলে জানান যাত্রীরা। মহাখালী বাসটার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও একই চিত্র।
 

যাত্রীরা বলছেন, ভিড় এড়াতে তারা ঈদের পরদিন বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে কারণে সকাল থেকেই বাসটার্মিনাল ও রেলস্টেশনে এসে হাজির হয়েছেন। 

এদিকে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে চাপ মোটামুটি থাকলেও কমিউটার ট্রেনের টিকিটের জন্য রয়েছে উপচেপড়া ভিড়। টিকিট না পেয়ে গন্তব্যে যেতে অনেকেই আন্তঃনগর ট্রেনে চেপে বসছেন।

এতে করে সেখানে বাড়ছে যাত্রীর চাপ। 

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদের পরদিন ট্রেনের পর্যাপ্ত শিডিউল নেই। সে কারণে যাত্রী অনুযায়ী দেওয়া যাচ্ছে না টিকিট। শিডিউল স্বাভাবিক হবে বুধবার থেকে। তখন থেকে আর সমস্যা হবে না।

মন্তব্য

গরম নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গরম নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস
ফাইল ছবি

দেশের আট জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া দিনে গরম বাড়তে পারে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে।

আরো পড়ুন
ঈদে দিনাজপুরে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অসহায়-ছিন্নমূল মানুষদের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

ঈদে দিনাজপুরে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অসহায়-ছিন্নমূল মানুষদের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

 

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সংস্থাটি বলছে, আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

আরো পড়ুন
শাওয়ালের ছয় রোজার বিশেষ গুরুত্ব

শাওয়ালের ছয় রোজার বিশেষ গুরুত্ব

 

আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে— এমন পরিস্থিতিতে রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, নীলফামারী, যশোর, ঢাকা, ফরিদপুর ও রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত আছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ৪৪ মিলিমিটার। 

মন্তব্য

ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা
ফাইল ছবি

দেশের দুই বিভাগে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দেশের আট জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। 

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন
ম্যানইউতেই থাকছেন ফার্নান্দেজ, বললেন আমোরিম

ম্যানইউতেই থাকছেন ফার্নান্দেজ, বললেন আমোরিম

 

এতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে— এমন পরিস্থিতিতে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আরো পড়ুন
গত ১০ দিনে ৩২২ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

গত ১০ দিনে ৩২২ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

 

আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, নীলফামারী, যশোর, ঢাকা, ফরিদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ৪৪ মিলিমিটার। 

মন্তব্য

ঈদ মিছিলে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার পাপেট নিয়ে কেন এত আলোচনা?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদ মিছিলে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার পাপেট নিয়ে কেন এত আলোচনা?
সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘদিন পর রাজধানী ঢাকায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এমন একটি আনন্দ মিছিল আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল বাংলার সুলতানি-মোগল আমলের নানা ঐতিহ্যকে। আনন্দ মিছিলে গাধার পিঠে বসে থাকা লোককথার চরিত্র নাসিরুদ্দিন হোজ্জার একটি পাপেট বা প্রতিকৃতিও স্থান পায়।

সেই প্রতিকৃতিটির ছবি সোমবার ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফেসবুকে সেটি শেয়ার করে অনেককে নানা ধরনের মন্তব্য ও হাস্যরস করতেও দেখা গেছে।

কেউ কেউ আবার গাধার পিঠে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার বসে থাকার সঙ্গে ঈদের সংস্কৃতির মিল কোথায় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

সোমবার সকালে ঢাকার শেরেবাংলা নগরের পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাত শেষে সেখান থেকেই শুরু হয় বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিল।

আগারগাঁওয়ের প্রধান সড়ক দিয়ে খামারবাড়ি মোড় হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

মিছিলে অংশ নিতে এসে অনেকেই বলেন, এ ধরনের আয়োজন তাদের অনেকেই এর আগে দেখেননি। যে কারণে এ আয়োজনে শামিল হয়ে অনেককেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা যায়। ব্যান্ডদলের বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে অনেকে নেচে-গেয়ে আনন্দ মিছিলে অংশ নেন।

এই মিছিলে ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ'সহ বিভিন্ন ধরনের ইসলামী সংগীতও বাজানো হয়।

আনন্দ মিছিলের অগ্রভাগে দুই সারিতে ছিল আটটি সুসজ্জিত ঘোড়া। আরো ছিল ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি, আর ছিল মোগল ও সুলতানি আমলের ইতিহাস সংবলিত ১০টি পাপেট শো।

আর এই পাপেট শো আনন্দ মিছিলে আসা মানুষের মধ্যে বাড়তি আনন্দ যোগ করে, বিশেষ করে এ নিয়ে শিশুদের উচ্ছ্বাস ছিল সবচেয়ে বেশি।

পাপেট হিসেবে আরব্য রজনীর পরিচিত আর বিখ্যাত চরিত্র কিংবা বাচ্চাদের কাছে জনপ্রিয় এমনসব চরিত্র ঠাঁই পেয়েছে। বড় বড় পাপেট হিসেবে দেখা গেছে আলাদীন, আলী বাবা-চল্লিশ চোর, আর নাসিরুদ্দিন হোজ্জার মতো চরিত্র।

নাসিরুদ্দিন হোজ্জা জনপ্রিয় দার্শনিক এবং বিজ্ঞ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কেউ কেউ তাকে মোল্লা নাসিরুদ্দিন নামেও চিনতেন। তার হাস্যরসাত্মক গল্প এবং উক্তিগুলোই তাকে বইয়ের পাতা থেকে মানুষের জীবনে প্রাসঙ্গিক করে স্মরণীয় চরিত্র করে রেখেছে। শত শত বছর ধরে মানুষ গল্পে বা উপদেশ দিতে মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জার উদাহরণ দেয়।

গুরুজনদের বলা গল্প আর বাস্তবে টেলিভিশনের পর্দায় হোজ্জার কার্টুন দেখে শিশুদের কাছেও এ চরিত্রটি পরিচিত এবং জনপ্রিয়। ফলে ঈদ আনন্দ মিছিলে হোজ্জার পাপেট দেখে শিশুরা আনন্দিত হয়েছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদেরও সেটি কম বিনোদন দেয়নি। ফলে ফেসবুকে এটি নিয়ে নানা রকম আলোচনা এখনো চলছে।

পাপেট নিয়ে যত রকম আলোচনা আছে, তার অন্যতম হচ্ছে অনেকেই এটির সঙ্গে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সাদৃশ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন।

কেউ কেউ গোঁফবিহীন নাসিরুদ্দিন হোজ্জা এবং জামায়াত আমিরের চেহারার মিলের কথাও তুলে ধরেছেন। কিন্তু পাপেটের মূল শিল্পী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হক সে দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, নাসিরুদ্দিন হোজ্জার পাপেট ক্যারেক্টরটি বানানোর জন্য ছবিটি নেওয়া হয়েছিল একটি আরবি বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে। প্রচ্ছদের সঙ্গেই নির্মিত ওই পাপেটটির চেহারার অনেক মিল রয়েছে। হয়তো এখানে পোশাকের কারণে এক ধরনের মিল পাওয়া গেছে। তবে এটা কাকতালীয়।

তিনি বলেন, গায়ের কালো কোট, লাল জুতা, সাদা পাগড়ি সব ওটার সঙ্গেই যায়। তবে জামায়াত আমিরের সঙ্গে কিছু মিল পাওয়া গেলেও, সেটি যে ইচ্ছাকৃতভাবে ওনাকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টি একদমই এমন না। একই রকম মনে হলেও বা কাউকে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার মতো লাগলেও, সেটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক আলোচনার সুযোগ নেই।

জাহিদুল হক বলেন, আমাদের পরিকল্পনার সময় হাতি, ঘোড়াসহ বিভিন্ন কিছু ছিল। কিন্তু আমরা পরে চিন্তা করলাম, শিশুদের জন্য কোনো কিছু করা যায় কি না। সেই জায়গা থেকে আরব্য রজনী কিংবা বাচ্চাদের প্রিয় কিছু চরিত্র আমরা যুক্ত করতে চেয়েছিলাম। সেই চিন্তার জায়গা থেকে আলাদীন, আলী বাবা চল্লিশ চোর, নাসিরুদ্দিন হোজ্জার মতো শিশুদের প্রিয় চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।। এটা শুধুই বাচ্চাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। এখানে বার্তা দেওয়ার কোনো বিষয় ছিল না।

এই আয়োজনটির মূল দায়িত্ব ছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের। উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, বাংলা সাহিত্যেও নাসিরুদ্দিন হোজ্জা চরিত্র এসেছে। এটা একটি মেটাফোরিক কারেক্টর। বাচ্চারা এসব পছন্দ করে। যে কারণে এটাকে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

আরো পড়ুন
রাকিব-সাজিদদের জীবনে নেই ঈদের আনন্দ

রাকিব-সাজিদদের জীবনে নেই ঈদের আনন্দ

 

তিনি বলেন, পুরো এই আয়োজনটিকে ঢাকাবাসী ইতিবাচকে নিয়েছে। এটাকে ক্রিটিক্যালি না দেখে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছে বেশির ভাগ মানুষ। এখানে সমালোচনার সুযোগ নেই।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ