ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

প্রতিদিন ১০০ গ্রাম কাঠবাদাম খেলে শরীরের যে উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিন ১০০ গ্রাম কাঠবাদাম খেলে শরীরের যে উপকার
সংগৃহীত ছবি

খাদ্যরসিকরা কোনো নতুন সুস্বাদু খাবারের সন্ধান পেলেই তার দিকে হাত বাড়ান। তেমনই একটি খাবার কাঠবাদাম। আগে বিশেষ প্রচলন না থাকলেও এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে এই বাদাম খাওয়ার বেশ চল হয়েছে।

কাঠবাদাম বা আমন্ড মূলত মধ্যপ্রাচ্যে উৎপাদিত হয়।

এর বৈজ্ঞানিক নাম প্রুনাস অ্যামিগডালাস। অন্যান্য বাদামের তুলনায় আমন্ড পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী।

কী উপকার কাঠবাদামে

  • কাঠবাদাম খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
  • এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী আমন্ড।
  • আরো পড়ুন
    চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

    চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

     

    ১০০ গ্রাম কাঠবাদাম থেকে কী কী পুষ্টিগুণ পাওয়া যেতে পারে, দেখে নেওয়া যাক—

    • ক্যালরি প্রায় ৫৭৮ কিলোক্যালরি শক্তি
    • প্রোটিন প্রায় ২২ গ্রাম
    • ফ্যাট প্রায় ৫০ গ্রাম (বেশিরভাগই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট)
    • কার্বোহাইড্রেট প্রায় ২১ গ্রাম
    • ফাইবার প্রায় ১২ গ্রাম
    • ভিটামিন ই দৈনিক চাহিদার ৩৭% বেশি
    • ম্যাগনেসিয়াম দৈনিক চাহিদার প্রায় ১৯% বেশি
    • অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ- ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, থায়ামিন, নিয়াসিন ও রাইবোফ্লেভিন।
    আরো পড়ুন
    ওজন-ডায়াবেটিস, দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই ফল

    ওজন-ডায়াবেটিস, দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই ফল

     

    এ ছাড়া কাঠবাদাম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীরের কোষগুলোকে ফ্রি-র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। কাজেই নিয়ম করে কাঠবাদাম খেলে শরীরের ভালোই হয়।

    তবে একটি কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, সবার শরীর সমান নয়। কারো কারো ক্ষেত্রে বেশি আমন্ড খাওয়া ক্ষতিকরও হতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে এই বাদাম যোগ করার আগে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করে নেবেন।

    সূত্র : আজকাল

    মন্তব্য

    সম্পর্কিত খবর

    ঐতিহ্যবাহী কুনাফা তৈরির সহজ রেসিপি

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    ঐতিহ্যবাহী কুনাফা তৈরির সহজ রেসিপি
    সংগৃহীত ছবি

    মরুর অঞ্চল পেরিয়ে সুস্বাদু কুনাফা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঈদে অতিথি আপ্যায়নের জন্য এই মিষ্টান্ন হতে পারে একটি অসাধারণ পছন্দ। কুনাফা তৈরি করা খুবই সহজ।

    চলুন, জেনে নিই রেসিপিটি।

    উপকরণ

    • লাচ্ছা সেমাই– ১ প্যাকেট
    • মাখন/ঘি– আধা কাপ
    • তরল দুধ– এক কাপ
    • কনডেন্সড মিল্ক
    • কর্ন ফ্লাওয়ার
    • চিনি– স্বাদমতো
    • বাদাম (সাজানোর জন্য)
    আরো পড়ুন
    ঈদে হরেক পদের সেমাইয়ের রেসিপি

    ঈদে হরেক পদের সেমাইয়ের রেসিপি

     

    প্রণালি

    একটি প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি গরম করে তার মধ্যে বাদাম কুচি ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে রাখুন বাদাম। 
    এরপর এক প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই দিয়ে দিন প্যানে।

    স্বাদ মতো চিনি ও ১/৪ কাপ গুঁড়া দুধ দিয়ে সেমাই ভাজুন। 

    চিনি গলে গেলে ও সেমাই ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে রাখুন। ১ কাপ দুধের সঙ্গে আধা কাপ কনডেন্সড মিল্ক, আধা কাপ গুঁড়া দুধ ও ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার মিশিয়ে কম আঁচে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি ঘন হলে নামিয়ে নিন।

     

    এবার একটি পাত্রে ভাজা লাচ্ছা সেমাই ছড়িয়ে দিন। তার উপরে দুধের ঘন মিশ্রণ দিয়ে উপরে আরেকটি লাচ্চা সেমাইরের লেয়ার করে দিন। পাত্রটি ২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে এরপর পরিবেশন করুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার কুনাফা। 

    আরো পড়ুন
    অতিথি আপ্যায়নে রাখুন ভিন্ন স্বাদের কিছু মিষ্টান্ন

    অতিথি আপ্যায়নে রাখুন ভিন্ন স্বাদের কিছু মিষ্টান্ন

     

    সূত্র : আলফা ফুডি

    মন্তব্য

    অতিথি আপ্যায়নে রাখুন ভিন্ন স্বাদের কিছু মিষ্টান্ন

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    অতিথি আপ্যায়নে রাখুন ভিন্ন স্বাদের কিছু মিষ্টান্ন
    সংগৃহীত ছবি

    বাজারে কেক-প্যাস্ট্রির চাহিদা যত বেশিই হোক না কেন মিষ্টির চাহিদা সবসময় বেশি। মালপোয়া, রসগোল্লা, শাহি টুকরা, সন্দেশ, হালুয়াকে কি আর কেক-প্যাস্ট্রি-ব্রাউনি টেক্কা দিতে পারে। এ দেশের মিষ্টান্ন যেমন খেতে সুস্বাদু তেমন দেখতেও অপরূপ। 

    সেমাইয়ের পাশাপাশি চাইলে অতিথি আপ্যায়নে এসব মিষ্টান্নও রাখতে পারেন।

    অতিথিরা পছন্দ করবেন খুব।

    জাফরানি পেড়া

    আমাদের খাবারে মিষ্টি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। খাবারের পরে একটু মিস্টিমুখ না হলে যেন খাওয়া হজম হতে চায় না। মিস্টি...আহা সে কি আর দু-এক প্রকারের হয়, মিষ্টান্নের রূপের কোনো শেষ নেই।

    তার মধ্যে পেড়া অতি জনপ্রিয় মিষ্টি। সব মহলে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই মিষ্টি।

    পেস্তা বরফি

    এমনি বরফির পরিবর্তে রাখতে পারেন পেস্তা বরফি। পেস্তার নিজস্ব একটা স্বাদ আছে, যা কখনোই উগ্র নয়।

    সেই কারণে যেকোনো ধরনের মিষ্টিতেই ভালো লাগে পেস্তার স্বাদ।

    আরো পড়ুন
    সেমাই দিয়ে আরো যা তৈরি করা যায়

    সেমাই দিয়ে আরো যা তৈরি করা যায়

     

    বিটের হালুয়া

    হালুয়া খেতে অনেকেই ভালবাসেন। আর যারা হালুয়া খেতে ভালবাসেন তাদের ক্ষেত্রে বিটের সবচেয়ে ভালো মিষ্টান্ন হলো বিটের হালুয়া।

    কেসরি বাত

    কেসরি বাত নামটাতে বোঝার উপায় নেই কোন মিষ্টান্নের কথা বলা হচ্ছে। কেসরি বাত আসলে মিষ্টি হলুদ সুজি।

    তবে ঐতিহ্যবাহী কেসরিবাতে চাইলে চকোলেটের স্বাদের একটা ফিউশন তৈরি করা মিষ্টান্ন রাখতে পারেন।

    জিলাপি

    জিলাপি যতই প্যাঁচালো দেখতে হোক না কেন এই মিষ্টান্নের স্বাদ কিন্তু মন ভুলানো। বানাতে একটু কষ্ট হলেও স্বাদের ফলে সে কষ্ট ভোলা যায় অনায়াসেই।

    আরো পড়ুন
    ঈদে হরেক পদের সেমাইয়ের রেসিপি

    ঈদে হরেক পদের সেমাইয়ের রেসিপি

     

    কেশরী সন্দেশ

    চমচম হোক আর রসগোল্লা, ক্ষীরকদম্ব হোক বা রাবড়ি, আর তাই সন্দেশ পাতে পড়লে ছাড়ার কোনো কারণই নেই। আর জাফরানি সন্দেশ হলে তো কোনো কথাই নেই।

    শাহি টুকরা

    শাহি টুকরা। নামেই রয়েছে নবাবিয়ানা। নামে শাহি হলেও এই জিভে জল আনা মিষ্টি রেসিপিটি বানাতেও তেমনকিছু শাহিয়ানার প্রয়োজন পড়ে না। ঘি, দুধ, পাউরুটি দিয়ে অতি সহজে বানানো এই ডেজার্ট শুধু কিন্তু নামে নয়, স্বাদেও শাহি।

    আরো পড়ুন
    ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

    ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

     

    সূত্র : বোল্ডস্কাই

    মন্তব্য

    ঈদে খাবারদাবার বেশি খেয়ে ফেললে কী করবেন

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    ঈদে খাবারদাবার বেশি খেয়ে ফেললে কী করবেন
    সংগৃহীত ছবি

    দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে ঈদ। এই আনন্দের দিনে অনেকে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এক দিনে কয়েক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া হয় বিধায় পেটেও খাবারদাবার পড়ে বেশ।

    চোখের সামনে নানা রকমের পদ দেখে যেমন তর সয় না, তেমনি দিনের বেলায় দীর্ঘ এক মাস না খাওয়ার ক্ষুধাও যেন দেরি করতে চায় না।

    পেটে বিভিন্ন রকমের খাবার পড়ে হজমের সমস্যাও দেখা দেয় খুব। পেট ফুলে থাকা, অস্বস্তি, অম্বল, ঢেকুর ওঠা, এমনকি বমি ভাবও হতে পারে। এই অবস্থায় দ্রুত আরাম পেতে কী করবেন?

    উষ্ণ পানি খান

    খাওয়ার পর পেট ভারী লাগলে হালকা উষ্ণ পানি খাওয়া উপকারী। এটি খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে এবং অম্বল কমায়।

    উষ্ণ পানি পেটে জমে থাকা ফ্যাট ও তেল কাটতে সাহায্য করে, যার ফলে আরাম বোধ হয়।

    আরো পড়ুন
    সেমাই দিয়ে আরো যা তৈরি করা যায়

    সেমাই দিয়ে আরো যা তৈরি করা যায়

     

    লেবু পানি পান করুন

    বেশি খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি হলে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে অর্ধেক লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খান। এটি এসিডিটি কমায় এবং হজমে সহায়তা করে।

    আদা চা বা পুদিনাপাতা চিবান

    খাওয়ার পর আদা চা পান করলে পেটে আরাম মেলে।

    আদার মধ্যে থাকা জিঞ্জারল হজমে সহায়ক। এ ছাড়া পুদিনাপাতা চিবালে পেট ফাঁপা কমে এবং হজমশক্তি বাড়ে।

    খাওয়ার পর হালকা হাঁটুন

    খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে। ১০-১৫ মিনিট ধীরগতিতে হাঁটুন।

    এটি খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়।

    আরো পড়ুন
    ঈদে হরেক পদের সেমাইয়ের রেসিপি

    ঈদে হরেক পদের সেমাইয়ের রেসিপি

     

    টক দই বা ঘোল খান

    বেশি খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি হলে টক দই বা ঘোল খাওয়া উপকারী। টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে এবং অম্বল কমায়।

    ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান

    বেশি খাওয়ার পর পরের বেলায় হালকা খাবার রাখুন। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন- শসা, পেঁপে বা আপেল খান। এগুলো হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

    জিরা পানি পান করুন

    বাড়িতে থাকলে জিরার পানি খেতে পারেন। ১ চা চামচ জিরা গরম পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেই পানি খান। এটি হজমে সহায়ক এবং পেট ফাঁপা কমায়।

    আরো পড়ুন
    ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

    ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

     

    কী করবেন না

    • খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাবেন না।
    • চর্বিযুক্ত বা মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
    • বেশি ঠাণ্ডা পানি বা সফট ড্রিংকস খাবেন না, এতে হজমপ্রক্রিয়া ধীরগতিতে হয়।
    • ঈদ, বিয়েবাড়ি বা হোটেলের ভূরিভোজের পর যদি পেট ভারী লাগে, তবে ঘরোয়া এই উপায়গুলো মেনে চলতে পারেন। হালকা খাবার খান, পানি পান করুন এবং হজমের জন্য কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে পেটের অস্বস্তি দ্রুত কমে যাবে।
    আরো পড়ুন
    ঈদ আতিথেয়তা জমবে ভিন্ন স্বাদের কাবাবে

    ঈদ আতিথেয়তা জমবে ভিন্ন স্বাদের কাবাবে

     

    সূত্র : আজতক বাংলা

    মন্তব্য

    সেমাই দিয়ে আরো যা তৈরি করা যায়

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    সেমাই দিয়ে আরো যা তৈরি করা যায়
    সংগৃহীত ছবি

    সেমাই ছাড়া ঈদ, কল্পনাই করা যায় না। ঈদে সবার বাড়িতেই বিভিন্ন মিষ্টান্নের আয়োজন থাকে। আর সেমাই এই জায়গায় সবার আগে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন পদের সেমাই খেতে খেতে একঘেয়েমি চলে আসে।

    তাই সেমাইয়ের পাশাপাশি সেমাই দিয়ে তৈরি আরো বিভিন্ন পদ রান্না করতে পারেন এবারের ঈদে। কিভাবে রান্না করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

    কুনাফা

    কুনাফা হলো আরব বিশ্বের ঈদ উৎসবের এক বিশেষ মিষ্টি, যা ক্রিসপি কাতাইফি বা সেমাইয়ের স্তর এবং ক্রিমি পনির দিয়ে তৈরি হয়। এটি প্রস্তুতের জন্য প্রথমে সেমাইগুলোকে গলানো মাখন দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়া হয়, যাতে তা সম্পূর্ণ ভিজে যায়।

    এরপর একটি বেকিং ট্রেতে সেমাইয়ের অর্ধেক অংশ সমানভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং এর ওপর আরবীয় পনির (আকাওরি বা মোজারেল্লা) বিছিয়ে দেওয়া হয়। 

    তারপর বাকি সেমাই পনিরের ওপর ঢেকে দেওয়া হয় এবং ওভেনে ৩০ মিনিটের জন্য বেক করা হয়। বেক করার পর, একপাশ লালচে হয়ে গেলে কুনাফার ওপর সুগন্ধি সিরাপ ঢেলে দেওয়া হয়, যা চিনির সিরাপ, গোলাপজল এবং অল্প লেবুর রস দিয়ে তৈরি। কুনাফার ওপর পেস্তা বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করা হয়।

    ঈদের সময় মধ্যপ্রাচ্যে কুনাফা একটি জনপ্রিয় মিষ্টি হিসেবে খুবই প্রশংসিত।

    সেমাইয়ের নাড়ু

    উপকরণ

    ১০০ গ্রাম ভার্মিসিলি সেমাই, ১/২ কাপ কনডেন্স মিল্ক, ১/২ কাপ নারকেল কোরা, ২ টেবিল চামচ ঘি, ৩টা এলাচ, ২টা তেজপাতা ও ১ টেবিল চামচ চিনাবাদাম (খোসা ছাড়ানো)।

    রান্নার প্রণালী

    সেমাইগুলো ভেঙে ছোট করে নিন। প্যানে এক টেবিল চামচ ঘি গরম করে সেমাই ভেজে নিন। একটা বাটিতে সেমাই তুলে নিন।


    প্যানে বাকি এক চামচ ঘি গরম করে এলাচ, তেজপাতা, নারকেল, বাদাম হালকা করে ভেজে নিন। এবার সেমাইগুলো দিয়ে নাড়তে থাকুন। কনডেন্স মিল্ক দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে আঠালো হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিন। শেষে এলাচ, তেজপাতা বেছে ফেলে দিয়ে হাতে একটু ঘি মেখে গোল সেপ করে নাড়ু বানিয়ে নিন।

    সেমাইয়ের বরফি

    উপকরণ

    ৪ জনের জন্য ২ কাপ লম্বা সেমাই, ২৫০ গ্রাম লিকুইড দুধ, পরিমাণমতো চিনি, পছন্দমতো বাদাম, ১/২ কাপ গুঁড়া দুধ, একচিমটি লবন, ২ চা চামচ ঘি, ফুড কালার (ঐচ্ছিক), ২ টুকরা দারুচিনি, ২টা এলাচ ও ২টা তেজপাতা।

    রান্নার প্রণালী

    চুলায় পাতিল বসিয়ে ঘি দিয়ে গরম করে নিন। এবার দারুচিনি এলাচি তেজপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিন। এবার সেমাইগুলো ছোট ছোট করে পাতিলে দিয়ে ভেজে নেবেন। মুচমুচে ভাজা হয়ে গেলে তাতে লবণ লিকুইড দুধ আর চিনি দিয়ে দিন। ১ মিনিট রান্না করার পর বাদাম দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। যখন পাতিল এর ঘা ছেড়ে আসবে তখন নামিয়ে নিন।

    এবার যে প্লেটে বরফি বসাবেন সেটাতে হালকা ঘি ব্রাশ করে নিন। এবার তাতে সেমাই ডেলে দিয়ে ওপরে কিছু গুঁড়া দুধ দিয়ে দিন। এবার পছন্দমতো সাজিয়ে নিন। একটু গরম থাকা অবস্থায় বরফিটা কেটে নেবেন। ঠাণ্ডা হওয়ার পর পরিবেশন করুন মজাদার সেমাইয়ের বরফি।

    ভুনা সেমাই

    উপকরণ

    ১ প্যাকেট লাল সেমাই, ১টি বড় নারকেল কোরানো, ১ কাপ তরল দুধ, চিনি পছন্দমতো, লবণ, কিশমিশ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা ও ৪ চা চামচ ঘি বা তেল।

    রান্নার প্রণালী

    পানি ফুটিয়ে সেমাই ছেড়ে দিয়ে একবার বলক এলেই ছেঁকে নেবেন। পেনে তেল বা ঘি গরম করে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে দিন। তারপর সেমাই ও নারকেল দিয়ে নেড়ে চিনি দিয়ে নেড়ে নিন। এবার ১ কাপ দুধ ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে ঢেকে ২ মিনিট রাখুন। ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে ভুনা ভুনা করে কিশমিশ মিশিয়ে নামিয়ে নিন।

    সেমাই কাস্টার্ড

    উপকরণ

    ১/২ কাপ লাল সেমাই, ১ লিটার তরল দুধ, ১ কাপ চিনি, লবণ সামান্য, ১টি তেজপাতা, ২ চা চামচ কাস্টার্ড পাউডার
    টুকরা ও পছন্দমতো ফল।

    রান্নার প্রণালী

    দুধ জ্বাল দিয়ে তেজপাতা ও চিনি দিয়ে নেড়ে নিন। তারপর সেমাইগুলো অল্প পানিতে একটু ভাপিয়ে নিয়ে দুধে ছেড়ে দিন। সামান্য লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন, তবে বেশি ঘন করবেন না।

    ১/৪ কাপ তরল দুধে কাস্টার্ড পাউডার গুলে নিন। অল্প অল্প করে গোলানো কাস্টার্ড সেমাইয়ে দিন এবং সাবধানে নাড়তে থাকুন। সবটুকু কাস্টার্ড দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে নামিয়ে নিন। বেশি ঘন করবেন না, সেমাই ঠাণ্ডা হলে এমনিতেই ঘন হয়ে যাবে।

    এবার পছন্দমতো ফল, যেমন— পেঁপে, কলা, আপেল টুকরো করে সেমাইতে গরম থাকতেই দিয়ে দিন। মেশানোর পর একটু ঠাণ্ডা হলে ডিশে তুলে ফ্রিজে রেখে দিন। পুরোপুরি ঠাণ্ডা হলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ