ক্যাপসিকামকে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী সবজি বলে মনে করা হয়। যদিও ক্যাপসিকাম সারা বছরই পাওয়া যায়, তবে শীতকালে সবুজ শাক-সবজি বেশ তাজা পাওয়া যায়। আমরা বেশির ভাগ সময়ই সবুজ ক্যাপসিকাম দেখে থাকি, তবে ক্যাপসিকাম হলুদ এবং লাল রঙেরও হয়। এগুলো বেশির ভাগই পাস্তা, পিৎজা, স্যান্ডউইচ ইত্যাদিতে ব্যবহার কর হয়ে থাকে।
নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর ক্যাপসিকাম
জীবনযাপন ডেস্ক

এই ক্যাপসিকামে অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যেমন ভিটামিন-সি, কে, এ, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। জেন নিন, এই পুষ্টিগুণ ছাড়াও শরীরে কী কী উপকার করে।
চোখের জন্য উপকারী : ক্যাপসিকামে লুটেইন ও জেক্সানথিনের মতো ক্যারোটিনয়েড পাওয়া যায়, যা চোখ সুস্থ রাখতে সহায়ক।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ : ক্যাপসিকামে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক : ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। যার ফলে আপনি অনেক ধরনের রোগ এড়াতে পারবেন।
রক্তস্বল্পতা দূর করে : শরীরে রক্তের অভাব রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় ক্যাপসিকাম অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে উপস্থিত আয়রন রক্তাল্পতার ঝুঁকি দূর করে।
সুস্থ রাখতে সাহায্য় করে : ক্যাপসিকাম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লাইকোপিন, ভিটামিন সি এবং এ-এর একটি ভালো উৎস। এসব পুষ্টি উপাদান হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
ওজন কমাতে সহায়ক : ওজন কমানোর জন্য ক্যাপসিকাম সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়। যাদের ওজন বৃদ্ধির সমস্যা আছে তারা খাদ্যতালিকায় ক্যাপসিকাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় : ক্যাপসিকাম ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক। এতে রয়েছে এপিজেনিন, লুপিওল ও ক্যাপসিয়েট, ক্যারোটিনয়েড। এগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
আয়রনের ঘাটতি কমায় : ক্যাপসিকামে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন এবং অন্যান্য ভিটামিন পাওয়া যায়। এটি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। যদি আপনার রক্তাল্পতার সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় ক্যাপসিকাম অন্তর্ভুক্ত করুন।
চুলের জন্য উপকারী : ক্যাপসিকামকে চুলের জন্যও খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি ভিটামিন বি৬ এর একটি ভালো উৎস এবং চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। যার ফলে আপনার চুল আরো শক্তিশালী হতে পারে।
ত্বকের জন্য উপকারী : ক্যাপসিকাম ত্বক সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ক্যাপসাইসিন ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা দূর করতে কার্যকর।
সূত্র : ইটিভি
সম্পর্কিত খবর

ভুল জুতা হতে পারে পায়ে ব্যথার কারণ
জীবনযাপন ডেস্ক

বর্তমান সময়ে একটু বয়স বাড়লেই দেখা দেয় পায়ের সমস্যা। আর্থ্রাইটিস থেকে পেশির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকদের মতে, এর জন্য দায়ী খারাপ জুতা। নিম্নমানের জুতা দীর্ঘ দিন ধরে পায়ে পরার ফলে বাড়ে নানা সমস্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হালকা জুতা হাঁটার জন্য বেশি উপযুক্ত। এটি হাঁটার সময় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে না। রাবারের তৈরি জুতা ভালো।
জুতায় মিডসোল থাকাও জরুরি। এটি পায়ে শকের (ধাক্কা বা কম্পন) প্রভাব কমায় এবং আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
জুতায় ইনসোল থাকা দরকার। নরম কুশন থাকা উচিত, যাতে পায়ের তালুতে চাপ কম পড়ে। অর্থোপেডিক ইনসোল থাকলে পায়ের গঠন অনুযায়ী অতিরিক্ত সাপোর্ট দেয়। যাদের পায়ের তালুর বাঁক বেশি বা কম, তাদের জন্য বিশেষ ধরনের আর্চ সাপোর্ট থাকা জরুরি।
জুতার ওপরের অংশ এমন উপাদানে তৈরি হওয়া উচিত, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে। জালযুক্ত বা ক্যানভাসের তৈরি জুতা ভালো। এটি ঘাম শোষণ করে এবং পা ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক রাখে। সিনথেটিক লেদারও আরামদায়ক হতে পারে।
জুতার হিল খুব বেশি উঁচু বা নিচু হওয়া উচিত নয়। সাধারণত শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি হিল থাকা ভালো। এটি হাঁটার জন্য খুব আরামদায়ক। সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট জুতা ব্যবহার না করাই ভালো।
হাঁটার জুতায় সাধারণত লেইস বা ভেলক্রো থাকা ভালো, যাতে এটি ভালোভাবে পায়ে ফিট হয়। সহজে খুলতে বা পরতে ভেলক্রো স্ট্র্যাপ ভালো বিকল্প হতে পারে, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য।
প্লান্টার ফ্যাসাইটিস বা হিল স্পার থাকলে আর্চ সাপোর্ট ও হিল কুশনযুক্ত জুতো বেছে নেওয়া উচিত। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য নরম ও সেলাইবিহীন ইনসোল থাকা উচিত, যাতে ঘর্ষণজনিত ক্ষত না হয়। ফ্ল্যাটফুট থাকলে বিশেষ ধরনের আর্চ সাপোর্টযুক্ত জুতা ব্যবহার করা উচিত।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

ত্বকের যত্নে চিয়া সিড কতটা উপকারী
জীবনযাপন ডেস্ক

ওজন কমানোর জন্য অনেকেই সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেয়ে থাকেন। তবে এই চিয়া সিড যে ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ত্বকের অনেক সমস্যাই নিমেষে দূর করে এই চিয়া সিড। তার মধ্যে অন্যতম হলো বলিরেখার সমস্যা।
বয়সের ভারে ত্বকে বলিরেখার প্রভাব পড়বেই। বলিরেখার কারণে চোখের চারপাশের চামড়া কুঁচকে যেতে পারে। এ ছাড়া কপাল ও গলার অংশের ত্বকে ভাঁজ দেখা দিতে পারে। আর এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন চিয়া সিড।
স্ক্রাবার হিসেবে চিয়া সিড
চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রাখলে যে পিছলে যাওয়া বা জেল বেসড টেক্সচার তৈরি হয় সেটাই ত্বকে লাগিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চিয়া সিডের জেল-বেসড এই টেক্সচার ত্বকে থাকা মরা কোষ বা ডেড স্কিন সেল ঝরিয়ে দিতে পারে। তার ফলে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ফিরে আসে।
এ ছাড়া এই বীজ কোলাজেন নামক প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি উপকরণ। অয়েলি স্কিনের ক্ষেত্রে ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম বা তেলের সিক্রেশন কমাতে সাহায্য করে চিয়া সিড। তাই এই বীজ দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করলে অনেক উপকারই পাবেন আপনি।
বলিরেখার সমস্যা কমায়
চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ফাইবার, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড, প্রোটিনসহ একাধিক নিউট্রিয়েন্টস। চিয়া সিডের মধ্যে থাকা এসব উপকরণই মূলত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। চিয়া সিডের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে অসময়ে ত্বকে রিঙ্কেলস দেখা যায় না।
ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে চিয়া সিডে। এই উপকরণও ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে খুব ভালোভাবে। ফলে ত্বক টানটান থাকে। প্রতিদিন সকালে চিয়া সিড ভেজানো পানি খেতে পারেন। এ ছাড়া চিয়া সিড যুক্ত ফেসওয়াশ, ফেসপ্যাক, ফেস-স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটা বয়সের পরে আপনার ত্বকে বলিরেখা দেখা দেবেই। সময়ে যাতে এর প্রভাব না পড়ে সেই দিকে খেয়াল রাখবে চিয়া সিড।
সূত্র : এবিপি লাইভ

ঈদ আপ্যায়নে রাখুন ভিন্ন স্বাদের স্ন্যাকস
জীবনযাপন ডেস্ক

ঈদের আনন্দ শুধু নতুন পোশাক আর প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোই নয়, খাবারদাবারেও চাই নতুনত্ব। তাই ঈদে বাড়িতে মেহমান আসলে মিষ্টান্নের পাশাপাশি কিছু ভিন্ন স্বাদের স্ন্যাকসও রাখতে পারেন।
ঈদে যে আত্মীয়ের বাড়িই যাবেন মিষ্টান্ন থাকবেই। সব জায়গায় মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে খেতে মুখ পুরে আসে।
মুচমুচে, সুস্বাদু এই নাশতা পরিবারের ছোট-বড় সবারই পছন্দ হবে। তাই ঘরেই সহজ উপায়ে এটি তৈরি করতে পারবেন।
আপ্যায়নে
উপকরণ
- মুরগির মাংসের কিমা– ৫০০ গ্রাম
- কর্নফ্লাওয়ার– ২ টেবিল চামচ
- ধনিয়া পাতা কুঁচি– ২ টেবিল চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়া– ১/২ চা চামচ
- লালমরিচ গুঁড়া– ১/২ টেবিল চামচ
- আদা বাটা– ১ চা চামচ
- রসুন বাটা– ১ চা চামচ
- ডিম– ২টি
- অলিভ অয়েল– ২ টেবিল চামচ
- ময়দা– ১ কাপ
- ব্রেডক্রাম্ব– ১ কাপ
- মোজারেলা চিজ কুঁচি– ১ কাপ
- লবণ– স্বাদমতো
- তেল– পরিমাণমতো
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে ৫০০ গ্রাম হাড়ছাড়া মুরগির মাংস মিহি করে কেটে নিন। মিহি মাংসের সঙ্গে রসুন বাটা, আদা বাটা, গোলমরিচ গুঁড়া, লালমরিচ গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার, ধনিয়া পাতা কুঁচি, মোজারেলা চিজ কুঁচি ও লবণ মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন।
হাতে ও বোর্ডে অলিভ অয়েল লাগিয়ে কিমা থেকে আঙুলের মতো লম্বা আকারের ফিঙ্গার বানিয়ে নিন। ময়দায় চিকেন ফিঙ্গারগুলো গড়িয়ে নিন।
চিকেন ফিঙ্গারগুলো প্রথমে ডিমের মিশ্রণে, পরে ব্রেডক্রাম্বে মাখিয়ে নিন। সবগুলো তৈরি হলে ট্রেতে সাজিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রাখুন। একটি প্যানে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল গরম করে ফ্রিজ থেকে বের করা চিকেন ফিঙ্গারগুলো বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন টমেটো কেচাপ বা প্রিয় সসের সঙ্গে।
মুচমুচে চিজ চিকেন ফিঙ্গার ঈদ আপ্যায়নে মেহমানদের সামনে রাখতে পারেন। আড্ডায় মুখ পুরে খেতে খুব ভালো লাগবে। ছোট-বড় সবাই মজা করে উপভোগ করবে। স্বাস্থ্যকর উপায়ে বাসায় তৈরি করা এই খাবার পরিবারের সবাইকে খাওয়ান নিশ্চিন্তে।

ঐতিহ্যবাহী কুনাফা তৈরির সহজ রেসিপি
জীবনযাপন ডেস্ক

মরুর অঞ্চল পেরিয়ে সুস্বাদু কুনাফা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঈদে অতিথি আপ্যায়নের জন্য এই মিষ্টান্ন হতে পারে একটি অসাধারণ পছন্দ। কুনাফা তৈরি করা খুবই সহজ।
উপকরণ
- লাচ্ছা সেমাই– ১ প্যাকেট
- মাখন/ঘি– আধা কাপ
- তরল দুধ– এক কাপ
- কনডেন্সড মিল্ক
- কর্ন ফ্লাওয়ার
- চিনি– স্বাদমতো
- বাদাম (সাজানোর জন্য)
প্রণালি
একটি প্যানে ১ টেবিল চামচ ঘি গরম করে তার মধ্যে বাদাম কুচি ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে রাখুন বাদাম।
এরপর এক প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই দিয়ে দিন প্যানে।
চিনি গলে গেলে ও সেমাই ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে রাখুন। ১ কাপ দুধের সঙ্গে আধা কাপ কনডেন্সড মিল্ক, আধা কাপ গুঁড়া দুধ ও ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার মিশিয়ে কম আঁচে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি ঘন হলে নামিয়ে নিন।
এবার একটি পাত্রে ভাজা লাচ্ছা সেমাই ছড়িয়ে দিন। তার উপরে দুধের ঘন মিশ্রণ দিয়ে উপরে আরেকটি লাচ্চা সেমাইরের লেয়ার করে দিন। পাত্রটি ২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে এরপর পরিবেশন করুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার কুনাফা।
সূত্র : আলফা ফুডি