অনেক ক্ষমতাশালীর পতন হইছে ক্ষমা চায় নাই বইলা...

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
অনেক ক্ষমতাশালীর পতন হইছে ক্ষমা চায় নাই বইলা...
হাতকড়া পরে কয়েদির বেশে আফরান নিশো

‘নিশানের ফাঁসি চাই’, ‘নিশানের ফাঁসি চাই’—এমন স্লোগানে মুখর চারপাশ। একটি পুলিশের গাড়িকে ভিড় করে আছে সাংবাদিকরা। এমন সময়ে
কয়েদির পোশাকে হাতকড়া পরে পুলিশের গাড়ি থেকে নামলেন নিশান। এ তো ‘দাগি’ সিনেমার নিশান চরিত্র অর্থাৎ আফরান নিশো।

 

এমন এক অভিনব পরিকল্পনায় সিনেমার প্রচার করলেন টিম, কয়েদির বেশে নিশো হাজির হলেন ‘দাগি’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ মাধ্যমের সামনে। 

২৭ মার্চ বিকেলে রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবাদ সম্মেলন। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সিনেমাটির প্রযোজক এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড–এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার শাকিল, সহ–প্রযোজক চরকি–এর সিইও রেদওয়ান রনি, নির্মাতা শিহাব শাহীন, অভিনয়শিল্পী তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, মনিরা মিঠু, সংগীতশিল্পী মাশা ইসলাম, জেফার রহমান, কবি–ঔপন্যাসিক–গীতিকার সাদাত হোসাইন।

হাতকড়া পরে সংবাদ সম্মেলনে আফরান নিশো

এসময় সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে মঞ্চে নিশোর হাতকড়া খুলে দেন নির্মাতা শিহাব শাহীন।

হাতকড়া খুলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিশো সেটি শিহাব শাহীনের হাতে লাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। পুরো ঘটনাটা অতিথিদের মধ্যে হাস্যরসের তৈরি করে। নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, ‘এই গল্পে ক্ষমা বড় একটা বিষয়। এটা একজন সাজাপ্রাপ্ত মানুষের জার্নি।
শুরু থেকে এতে নিশোকেই ভেবেছিলাম। কিছু শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু নিশো সব শঙ্কা কাটিয়ে এই জার্নিতে যুক্ত হয়। ‘দাগি’ নির্মাণে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। এটি ভীষণ সততার সঙ্গে বানানো একটি সিনেমা।’

এদিন উন্মুক্ত হয় সিনেমাটির ট্রেলার।

সেই ট্রেলারে নিশান চরিত্রের কারাবাস, সেখান থেকে ফিরে আসা এবং জীবনের একটা লক্ষ্য খুঁজে বের করার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ট্রেলার জুড়ে একটি সংলাপ ইতিমধ্যে সবার মন ছুঁয়েছে এবং যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। সেই সংলাপটি হলো- ‘ক্ষমা চাইতে অনেক সাহস লাগে। অনেক ক্ষমতাশালীর পতন হইছে ক্ষমা চায় নাই বইলা!’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদের দ্বিতীয় দিন টিভি পর্দায় থাকছে যেসব নাটক-টেলিফিল্ম

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদের দ্বিতীয় দিন টিভি পর্দায় থাকছে যেসব নাটক-টেলিফিল্ম
জোভান ও তটিনী

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই বিনোদন। বছরের এই সময়টায় নিজের সব ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে প্রতিটি মানুষ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়। ঈদের সময় পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি টিভি পর্দার বিনোদন হয়ে ওঠে মানুষের অন্যতম প্রয়োজনীয় অংশ। বরাবরের মতো এবারও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নানা আয়োজনে সাজিয়েছে ঈদুল ফিতরের অনুষ্ঠানমালা।

ঈদ উপলক্ষে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অন্যতম আকর্ষণ নাটক-টেলিফিল্ম। এবারও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ঈদের দ্বিতীয় দিন রয়েছে বেশ কিছু নাটক-টেলিফিল্ম। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন চ্যানেলে কী নাটক ও টেলিফিল্ম দেখতে পারবেন দর্শকরা। 

চ্যানেল আই
► বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রচার হবে টেলিফিল্ম: প্রিয় প্রজাপতি।

পরিচালনা: জাকারিয়া সৌখিন। অভিনয়ে: জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিন।
► ৭টা ৫০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: লাস্ট উইশ: অভিনয়ে: জোভান আহমেদ, আয়েশা খান।
► রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: ডাকু।
অভিনয়ে: নিলয় আলমগীর, হিমি, শামীমা নাজনিন, মাসুম বাশার, শাহেদ শাহরিয়ার প্রমুখ।

এটিএন বাংলা
► সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: ঘরে সংসার বাহিরে প্রেম। পরিচালনা: আদিবাসী মিজান। অভিনয়ে: নিলয়, হিমি।
► রাত ৭টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: প্রিয় প্রিয়সীনি।

পরিচালনা: মাহমুদ মাহিন। অভিনয়ে: জোভান, তটিনী।
► রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: মন দিতে চাই। পরিচালনা: মোহাম্মদ মিফতা আনন। অভিনয়ে: তৌসিফ মাহবুব, কেয়া পায়েল প্রমুখ।

এনটিভি
► সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: রূপবানের প্রেম। গল্প: কাব্য হাসান। চিত্রনাট্য: তানিন রহমান। পরিচালনা: হাসান রেজাউল। অভিনয়ে: তাসনুভা তিশা, সৈয়দ জামান শাওন, রূবাইয়া এশা, কচি খন্দকার, রেশমা আক্তার, শেলী আহসান, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, আনন্দ খালিদ, আব্দুল্লাহ রানা, অনিক, সুমন পাটোয়ারী প্রমুখ।
► রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: থাপ্পড়বাজ। রচনা ও পরিচালনা: হারুন রুশো। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, মীম চৌধুরী প্রমুখ।
► ৯টা ১৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: নজর। রচনা: আকাইদ রনি। পরিচালনা: রুবেল আনুশ। অভিনয়ে: মুশফিক আর ফারহান, সাফা কবির, শিল্পী সরকার অপু, আনোয়ার প্রমুখ।
► রাত ১১টা ৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: তবুও পাশাপাশি। রচনা: রিফাত আদনান পাপন। পরিচালনা: সাইফুল হাফিজ খান। অভিনয়ে: ইয়াশ রোাহান, সামিরা খান মাহি, মিলি বাশার, সমু চৌধুরী, ডিকন নূর প্রমুখ।

আরটিভি
► রাত ৮টায় প্রচার হবে একক নাটক: মিস্টার অভাগা। রচনা: জুয়েল এলিন। পরিচালনা: রাকেশ বসু। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, কেয়া পায়েল প্রমুখ।
► রাত সাড়ে ১১টায় প্রচার হবে একক নাটক: ও পাষাণী। পরিচালনা: সেলিম রেজা। অভিনয়ে: খায়রুল বাশার, তানজিন তিশা প্রমুখ।

দীপ্ত টিভি
► সন্ধ্যা ৭টায় প্রচার হবে একক নাটক: এক ধ্রুবতারা। পরিচালনা: সৈয়দ শাকিল। অভিনয়ে: জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ।
► রাত ৮টায় প্রচার হবে একক নাটক: ইমার্জেন্সি। পরিচালনা: মিশুক মিঠু। অভিনয়ে: খায়রুল বাসার, কেয়া পায়েল।
► রাত ৯টায় প্রচার হবে তুর্কি ধারাবাহিক: গুড ডক্টর।
► রাত ৯টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: কথা হবে হিসাব করে।
► রাত ১১টা ১০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: সাফিয়া। পরিচালনা: জামাল মল্লিক। অভিনয়ে: সাফা কবির, সোহেল মন্ডল প্রমুখ।

বৈশাখী টিভি
► বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: ব্ল্যাক মানি। পরিচালনা: হাসান জাহাঙ্গীর। অভিনয়ে: ওমর সানী, কাজী হায়াৎ, হাসান জাহাঙ্গীর, ডন, অমিত হাসান।
► বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: মানি লোকের মান। পরিচালনা: ফরিদুল হাসান। অভিনয়ে: জাহের আলভী, মিহি, আব্দুল্লাহ রানা, স্বপ্নীল সাথী প্রমুখ।
► সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: শাশুড়ির বিয়ে। পরিচালনা মাহমুদ হাসান রানা। অভিনয়ে: মীর সাব্বির, আ খ ম হাসান, মিহি, শিল্পী সরকার অপু।
► রাত সাড়ে ৭টায় প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: লন্ডনি জামাই। পরিচালনা: আল হাজেন। অভিনয়ে: রাশেদ সীমান্ত, অহনা, আহসানুল হক মিনু।
রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: ট্রাক ড্রাইভার। পরিচালনা: রুহুল আমিন শিশির। অভিনয়ে: শহীদুজ্জামান সেলিম, ফারহানা মিলি, পুতুল প্রমুখ।

নাগরিক টিভি
► রাত ৮টায় প্রচার হবে একক নাটক: শেষের বিন্দু। পরিচালনা: সেলিম রেজা। অভিনয়ে: ইরফান সাজ্জাদ, সাদিয়া আয়মান প্রমুখ।

বাংলাভিশন
► রাত ৯টা ২৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: জামাই বউ চোর। রচনা ও পরিচালনা: তাইফুর জাহান আশিক। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি প্রমুখ।
► রাত ১০টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: ঝুমকা। পরিচালনা: শহীদ-উন-নবী। অভিনয়ে: নিলয় আলমগীর, হিমি প্রমুখ।

মাছরাঙা টিভি
► বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: কিসমত। রচনা ও পরিচালনা: মিফতাহ আনান। অভিনয়ে: ইয়াশ রোহান, তানজিন তিশা প্রমুখ।
► রাত ৮টায় প্রচার হবে একক নাটক: বজরা। রচনা ও পরিচালনা: সুমন ধর। অভিনয়ে: তৌসিফ, কেয়া পায়েল প্রমুখ।
► রাত ১০টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: হাউকাউ। পরিচালনা: এ কে পরাগ। অভিনয়ে: মুশফিক ফারহান, সাফা কবির প্রমুখ।

মন্তব্য
তারকাদের ঈদ

যতক্ষণ টাকা থাকে ততক্ষণই ঈদ সালামি দিই : তমা মির্জা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
যতক্ষণ টাকা থাকে ততক্ষণই ঈদ সালামি দিই : তমা মির্জা
সংগৃহীত ছবি

‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির দুই বছর পর ঈদুল ফিতরে নতুন সিনেমা ‘দাগি’ নিয়ে বড় পর্দায় হাজির হয়েছেন তমা মির্জা। যার দরুণ এবারের ঈদ উৎসব তার সিনেমা ঘিরেই কাটবে, এটা বলাই বাহুল্য। ঈদের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে এই চিত্রনায়িকা কালের কণ্ঠকে বলেন, “ঈদের দিন বিকেল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গেই থাকব। তাদের সঙ্গে সময় কাটাব।

তারপর ‘দাগি’ টিমের যদি কোনো পরিকল্পনা থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাব। এরপর আবার নিজে লুকিয়ে লুকিয়ে হলে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে বসে সিনেমাটা দেখব। তখন দর্শকদের ‘র’ রি-অ্যাকশনটা দেখতে পারি। এ রকমটা আগেও করেছি।
‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির সময়ে আম্মু আর আমি টিকিট কেটে গিয়ে সিনেমা দেখে এসেছিলাম। এবারও তাই করব।’

আরো পড়ুন
এক লাখ টাকা সালামি পেয়েছি : জায়েদ খান

এক লাখ টাকা সালামি পেয়েছি : জায়েদ খান

 

ঈদের দিন মায়ের হাতের গরুর মাংস রান্না এবং লাচ্ছি সেমাই খেতে ভীষণ পছন্দ করেন তমা মির্জা। বাসায় সবার জন্য পোলাও রান্না হলেও এদিন শুধু তার জন্য আলাদা করে সাদা ভাত রান্না করতে হয় বলে জানান এ নায়িকা।

তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন অন্যান্য সবার মতো আমাদের বাসায়ও গরুর মাংস, রোস্ট, পোলাও রান্না করা হয়। তবে ঈদের দিন সাদা ভাত আর আম্মুর হাতের গরুর মাংস আমার ভীষণ পছন্দ। এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার। সবার জন্য পোলাও রান্না করলেও আমার জন্য আম্মু সাদা ভাত রান্না করেন। এরপর সেমাই তো অবশ্যই।
লাচ্ছি সেমাই আমার খুব প্রিয়, সেটাও আম্মুর হাতের।’

ফ্যাশন সচেতনতায়ও অনন্য তমা। আবহাওয়া বুঝে পোশাক নির্ধারণ করেন। ঈদের পোশাক প্রসঙ্গে তমা মির্জা বলেন, ‘এখন যেহেতু একটু গরম, দিনের বেলা অল্প ডিজাইনের মধ্যে হালকা গড়নের কামিজ পরা হবে। এরপর রাতে যেহেতু ফ্রেন্ডজদের বাসায় যাওয়া হবে তখন আবার একটু অন্য রকম ডিজাইনের কামিজ পরা হবে।’

আরো পড়ুন
যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা

যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা

 

ঈদ আনন্দে সালামি, প্রসঙ্গ টেনে নায়িকা জানালেন ঈদে এখন সালামি পাওয়ার চেয়ে দেওয়াই হয় বেশি। বললেন, ‘এখন আর সেভাবে সালামি পাই না। শুধু আব্বু-আম্মুর কাছ থেকেই পাই। তবে দেওয়া হয় বেশি, ছোটদের দিই সব সময়ই। যতক্ষণ আমার কাছে টাকা থাকে ততক্ষণই সালামি দিই। আব্বু-আম্মুর কাছ থেকে প্রাপ্ত সালামির চেয়ে আমার জন্য তাদের দোয়াটাই আমার কাছে মূল্যবান।’

ছোট আর বড় বেলায় ঈদের আনন্দটাও অনেকটা বদলে যায়। শৈশবের আনন্দটাই ছিল অন্য রকম। ঈদের আগে লাগেজ গুছিয়ে দাদু বাড়ি চলে যেতেন। সেখান থেকে চাচার বাড়ি, নানার বাড়ি- এভাবেই ঘুরে বেড়িয়ে উদযাপন করা হতো ঈদ। সে সময় পাওয়া ঈদ সালামিগুলো টিফিনের টাকার মতো করে জমিয়ে রাখতেন বলে জানান। এর পর বললেন, ‘ছোটবেলায় ঈদ কাটত দাদু, চাচা-নানি-খালাদের সাথে আর এখন ঈদ কাটে দর্শকের সাথে। যেহেতু এখন ঈদে আমার সিনেমা রিলিজ হয়।’

মন্তব্য
তারকাদের ঈদ

এক লাখ টাকা সালামি পেয়েছি : জায়েদ খান

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
এক লাখ টাকা সালামি পেয়েছি : জায়েদ খান
সংগৃহীত ছবি

এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। সেখানেই উদযাপন করেছেন এবারের ঈদ। এর আগেও একবার দেশটিতে ঈদ করেছিলেন। তবে এবার মিস করছেন সব আপন মানুষদের।

ঈদের নামাজ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে যারা পরিচিতজন যারা আছেন তাদের সঙ্গে দেখা করা পাশাপাশি ঢাকায় সবার সঙ্গে কথা বলেই দিনটা পার করছেন তিনি।

কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, বাবা-মায়ের কবরে যাওয়া মিস করছি। তাদের কথা খুব মনে পড়ছে। ভাই-বোনদের মিস করছি, মায়ের মত বোন যে তাকে খুব বেশি মিস করছি এবার।

সেই সঙ্গে সব আপন মানুষরা তো রয়েছেনই।

বাবা-মা বেঁচে থাকাকালীন প্রতি ঈদেই তাদের কাছ থেকে সালামি পেতেন জায়েদ খান। এবার সেটাও মিস করছেন বলে জানালেন। 

আরো পড়ুন
যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা

যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা

 

শৈশবের স্মৃতি ঘেঁটে তিনি বললেন, আমি পিরোজপুরের শৈশবের ঈদটাকে মিস করি খুব।

বাবা আমাকে লুকিয়ে অন্যদের থেকে বেশি সালামী দিতেন। একবার বাবা জুতা কিনে দিয়েছিলেন, আমি সেটা বালিশের পাশে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। এখনো মাঝেমধ্যেই সেসব দিনগুলোর কথা মনে পড়ে, বিশেষ করে ঈদে।

ঈদে সালামি দিতেও পছন্দ করেন জায়েদ খান আবার নিতেও। সর্বোচ্চ সালামি পেয়েছেন এক লাখ টাকা, আবার দিয়েছেনও তবে সেটা তার কোনো এক প্রিয় মানুষকে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সালামি পেয়েছি এক লাখ টাকা। গত ঈদে ডিপজল ভাই দিয়েছিলেন আমাকে। আর আমি সর্বোচ্চ দিয়েছিলাম আমার এক প্রিয় মানুষকে।

মন্তব্য
তারকাদের ঈদ

যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা
ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি।

ঈদে আনন্দে এসেছে খানিক পরিবর্তন। বরাবরের চেয়ে এবারের ঈদ একটু অন্য রকম আইশা খানের কাছে। তার মতে, যখন থেকে আমি নিয়মিত কাজ শুরু করেছি (২০২৪ থেকে) তখন থেকে ঈদের আনন্দটা একটু ডিফারেন্ট হয়ে গেছে। এখন কাজ নিয়েই বেশি এক্সাইটমেন্ট কাজ করে।

এবারও তাই। কাজ নিয়ে আসা এটা আমার দ্বিতীয় ঈদ। এবার আমি আমার কাজগুলো নিয়ে যথেষ্ট তৃপ্ত, তুলনামূলকভাবে। 

ঈদের পরিকল্পনা হিসেবে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি যাওয়া এবং সিনেমা দেখার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান আইশা।

কালের কণ্ঠকে এই অভিনেত্রী বলেন, পরিকল্পনা হিসেবে বলা যায় একটু ঘোরাঘুরি আর সিনেমা দেখা। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমার লাইনআপটা খুবই ভালো। ইতিমধ্যে ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমাটি দেখে ফেলেছি প্রিমিয়ার শোতে। এ ছাড়া বাকি যে সিনেমা রয়েছে সেগুলোর টিকিট পাব কি না জানি না।
তবে যেটার টিকিট পাব সে সিনেমাটিই দেখতে যাব।

আরো পড়ুন
তারকাদের ঈদ, কে কোথায় করবেন

তারকাদের ঈদ, কে কোথায় করবেন

 

উৎসব বলতে একটা সময় তার কাছে শুধু বিয়ে বাড়ি বলেই মনে হতো। যে কারণে ঈদ পোশাকেও বিয়ে বাড়ির কথা মাথায় রাখতেন আইশা। ঈদে কী পোশাক পরতে পছন্দ করেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ঈদের জন্য সব সময় আমি এমন পোশাকই নিতাম যেটা কোনো একটা উৎসবে পরা যায়। ছোটবেলায় উৎসব বলতে শুধু বিয়ে বাড়ি ছিল।

সারা বছর যা-ই পরি না কেন বিয়ে বাড়িতে একটু ভিন্ন কিছু পরতে হবে। সেই প্র্যাকটিসটা এখনো আছে। যদিও একটা সময়ের পর থেকে বিয়ে বাড়িতে কম যাওয়া হয়, এখন যেহেতু বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিতে হয় ওটা মাথায় রেখেই ঈদের কাপড়গুলো বাছাই করি।

‘দাদুর হাতের রান্না করা পোলাও, মায়ের হাতের বানানো কাবাব, বড় মামির হাতে বানানো কাবাব এবং মামান্টির হাতে রান্না করা রোস্ট- এই চারটা খাবার আমার খুবই প্রিয়, আমাকে খেতেই হয়।’- ঈদের প্রিয় খাবারের তালিকায় এগুলো যেন নাহলেই নয়, এমনটাই বললেন আইশা। 

আরো পড়ুন
তারকাদের সঙ্গে তাদের ‘ভালোবাসার’ সংসার

তারকাদের সঙ্গে তাদের ‘ভালোবাসার’ সংসার

 

ঈদ উৎসবে সালামি দেওয়ার চেয়ে নিজে পান বেশি। তবে কিছু বিষয় মিস করেন খুব। আইশা খান বলেন, ‘আমার পরিবারে যেহেতু আমার পরে ছোটদের সংখ্যা কম তাই সালামি দেওয়ার চেয়ে আমার পাওয়াই হয় বেশি। তবে এখনের চেয়ে আমার কাছে ছোটবেলায় পাওয়া সালামিগুলোই মধুর মনে হয়। এখন তো পাঁচ শ কিংবা এক হাজার টাকার চকচকে নোট পাওয়া যায় কিন্তু ওই সময় দুই টাকা কিংবা পাঁচ টাকার বান্ডিল পেতাম, যেটা মোট করলে পঞ্চাশ অথবা এক শ টাকা হতো। ওই সময়টা খুব মিস করি, ওই সময়ের সেই খুচরা টাকার বান্ডিলগুলোকেও মিস করি খুব। ছোটবেলায় আত্মীয়দের থেকে যে টাকাটা সালামি পেতাম সেটা আমার আম্মু নিয়ে রেখে দিত, বলত পরে যখন তোমার লাগবে তখন দেব। কিন্তু সেই সালামির টাকাগুলো আমি আজও পাইনি... হাহাহা।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ