এখনও আ. লীগের কোনো নেতার মামলার চার্জশিট হয়নি : উমামা ফাতেমা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
এখনও আ. লীগের কোনো নেতার মামলার চার্জশিট হয়নি : উমামা ফাতেমা
সংগৃহীত ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কি হবে তা অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই ঠিক করতে হবে। নির্বাচিত সরকারের জন্য অপেক্ষা করলে চলবে না। অভ্যুত্থানের পরে এখন আমরা সবাই একটি বিন্দুতে আটকে আছি। আর সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিচার।

আজ পর্যন্ত ৭ মাস পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনো মামলায় একটি চার্জশিট তৈরি হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক। 

শুক্রবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে জাতীয় নাগরিক পার্টি, চট্টগ্রাম আয়োজিত চট্টগ্রামের শহীদ পরিবার, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গুণীজনদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
মায়ানমারে ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৪ জন নিহত

মায়ানমারে ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৪ জন নিহত

 

উমামা ফাতেমা বলেন, গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা এবং আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে যে ফোকাসটা থাকা দরকার, তা অনেক রাজনৈতিক দলের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

তাই আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কি হবে তা অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই ঠিক করতে হবে। নির্বাচিত সরকারের জন্য অপেক্ষা করলে চলবে না। 

তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পরে এখন আমরা সবাই একটি বিন্দুতে আটকে আছি। আর সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিচার।

আজ পর্যন্ত ৭টি মাস পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনো মামলায় একটি চার্জশিট তৈরি হয়নি। বরং ইতিমধ্যে একজন এমপির বিরুদ্ধে যে একটি চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে, সেখানেও অনেক আসামির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা দাগী আসামি তারা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সহযোগীয় নানাভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে। একটি গণঅভ্যুত্থানের পর এমন কর্মকাণ্ড লাল সংকেত।

আরো পড়ুন
‘এক পরিবারের স্বার্থে আটকে যাবে না দেশের সংস্কার’

‘এক পরিবারের স্বার্থে আটকে যাবে না দেশের সংস্কার’

 

ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অর্ন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল কবির কচি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবাইরুল হাসান আরিফ, মো. ইমন সৈয়দ, এরফানুল হক, রাফসান জামি, শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সদস্য আমির হোসেন আতিক প্রমুখ।


 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্বরূপকাঠিতে চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার

স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
স্বরূপকাঠিতে চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে হৃদয় হালদার (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার ভোক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। 

গ্রেপ্তারকৃত হৃদয় হালদার উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের কাটাপিটানিয়া গ্রামে রতন হালদারের ছেলে।

ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, গত ২১ মার্চ রাতে ভোক্তভোগী ও তার স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে ঘরের পেছনে সিঁধ কেটে হৃদয় ঘরে ঢুকে টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। এ সময় চুরির বিষয়টি ভোক্তভোগী গৃহবধূ দেখে ফেললে তাকে মারধোর এবং ভয়ভীতি দেখায়। এ পর্যায়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে হৃদয়। এ সময় ভোক্তভোগী গৃহবধূর স্বামীর ঘুম ভাঙলে সে ডাক চিৎকারে দেয়।

পরে এলাকাবাসীরা ছুটে এসে ভোক্তভোগীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর হৃদয় অনবরত জীবন নাশের হুমকি দিতে থাকায় বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানাই ভোক্তভোগীর স্বামী। পরে সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা হৃদয়কে আটক করে গ্রাম পুলিশ দীপেন সরকারকে খবর দেয়। পরে দীপেন সরকার থানায় খবর দিলে পুলিশ হৃদয়কে আটক থানায় নিয়ে যায়।

গ্রাম পুলিশ দীপেন সরকার বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে মামলা করতেও যায়নি। কিন্তু হৃদয় প্রতিনিয়ত প্রান নাশের হুমকি দিতে থাকায় এলাকাবাসী হৃদয়কে আটক করে আমাকে খবর দিলে আমি থানায় খবর দেই। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।’

এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি আমিন বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য

নাটোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
নাটোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

নাটোরের নলডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাবিবুর রহমান (২৫) নামের এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দিয়ার কাজিপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

হাবিবুর দিয়ার কাজিপুর গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দিনের ছেলে।

নিহতের পরিবার জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে সাবমারসিবল মোটরের বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ করছিলেন হাবিবুর।

এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন তিনি। 

তারা আরো জানায়, তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য

নাটোরের বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, কার্যালয় ভাঙচুর

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
নাটোরের বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, কার্যালয় ভাঙচুর
সংগৃহীত ছবি

নাটোরে লালপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ আহত হয়েছে। এ সময় চংধুপইল ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। 

সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের আব্দুলপুর কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন আব্দুলপুর গ্রামের সেকেন্ডার প্রামাণিকের ছেলে জুলহাস আলী (৫৫), রিপন আলীর ছেলে রাফি (২২), করিম মন্ডলের ছেলে অন্তর (২১), জারেফ আলীর ছেলে শিশির (১৪), হাজ্জাজের ছেলে শুভ্র (৩০) ও আলমগীর (৪৫)।

আরো পড়ুন
ঈদের দিন বাবাকে খোঁজে নৌফা, দেখেনি রাইয়ান

ঈদের দিন বাবাকে খোঁজে নৌফা, দেখেনি রাইয়ান

 

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ঈদের দিন  বিকালে বাওড়া রেল ব্রিজের লটারি কেনাবেচা নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফের আত্মীয় অপর বিএনপি নেতা জুলহাসের আত্মীয়কে মারধর করে। এই ঘটনার জেরে আরিফের সমর্থক শুভ্র, কালামের নেতৃত্বে জুলহাস আলীকে মারধর করে। এসময় দলীয় কার্যালয় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

চংধুপইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলহাস আলী বলেন, ‘আমাদের অন্যায়ভাবে মারা হয়েছে।

আমরা সুষ্ঠ বিচার চাই।’

আরো পড়ুন
ঈদ অবকাশে ঢাকা

ঈদ অবকাশে ঢাকা

 

উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’

এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হককে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।

মন্তব্য

‘বাজানের ফডো দেইখ্যাই ঈদ কাডাইছি’

আলম ফরাজী, ময়মনসিংহ
আলম ফরাজী, ময়মনসিংহ
শেয়ার
‘বাজানের ফডো দেইখ্যাই ঈদ কাডাইছি’
শহীদ ছেলে জুবাইদের ছবি নিয়ে এভাবে শুয়ে থাকেন মা নাসিমা বেগম। ছবি : কালের কণ্ঠ

‘আমার জুবাইদ প্রত্যেক ঈদো নয়া কাপড় দিতো। অন্য ভাইরারে কইতো ঈদে আম্মারার কাপড়টা আমি দিয়াম। অহন শাড়ি তো আনলো তয় জুরবাইদেরডা নাই। এর লাইগ্যা আমার ঈদও নাই।

এই ফডোই আমারে কয়, আম্মা আমি আইতাছি। কিন্তু ঈদ গেলো আইলো না তো। আমার বাজানের ফডো দেইখ্যা ঈদ কাডাইছি।’

কথাগুলো বলছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ জুবাইদ মিয়ার মা নাসিমা বেগম।

ছেলেকে হারিয়ে এখনো তিনি প্রাগলপ্রায়। দিন-রাত কেটে যায় ছেলের ছবি হাতে নিয়ে। অধিকাংশ সময় থাকেন নিজ ঘরে শুয়ে। ময়মনসিংহের নান্দাইলের চামরুল্লাহ গ্রামের আব্দুল আজিজ কুসুমের ছেলে মো. জুবাইদ মিয়া।

পরিবারের জন্য ১৬ বছর বয়েসেই ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় পারি জমায় জুবাইদ মিয়া। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গোবিন্দপুর বাজারে একটি মনোহরির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করত সে। মাসে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দিয়ে মা-বাবার সংসারে সাহায্য করত জুবাইদ। 

গত বছরের ২০ জুলাই দুপুরে আন্দোলন চলাকালে দোকানের সামনে দিয়ে যায় মিছিল। সেই মিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ।

পরে দোকান বন্ধ করে দৌড় দেয় জুবাইদ। এ সময় গুলিতে ঘটনাস্থলেই শহীদ হয় নাসিমা বেগমের আদরের ধন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহীদ জুবাইদের বাড়ি উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের চামরুল্লাহ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সদ্য পাকা করা কবরের দেয়ালের নামফলকে লেখা রয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে যাত্রাবাড়ী শনির আখরা গোবিন্দপুর বাজারে পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণকারী শহীদ মো. জুবাইদ ইসলামের সমাধিস্থল।’ এই কবরের পাশে এসে প্রত্যেক সকালে মা-বাবা দোয়া পড়েন। ঈদের দিন অধিকাংশ সময় নাসিমা বেগমের সময় কেটেছে ছেলের কবরের পাশে।

বাবা আব্দুল আজিজ কুসুম বলেন, ‘ছেড়াডা হারাইয়া আমগো সব শেষ হয়ে গেছে। ওর টেহাজা দিয়াই আমগো দুইজনের খরচপাতি চলতো।’

ছোট বোন লাইমা বলে, ‘ভাই তো আমার লাইগ্যা নতুন জামা ও সাজনের জিনিস আইনা দিল না। ঈদের আগেই পাঠাইতো। অহন তো ভাই নাই, হের লাইগ্যা আমার ঈদও নাই।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ