তামাক রাজস্বের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা: বাংলাদেশের বাস্তবতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তামাক রাজস্বের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা: বাংলাদেশের বাস্তবতা
সংগৃহীত ছবি

২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকার কর ও কর বহির্ভূত রাজস্ব থেকে ৪,৭৮,০০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক অনুদান থেকে ৩,৫০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। এর বিপরীতে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয়সহ মোট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭,১৪,৪১৮ কোটি টাকা। 

এই অতিরিক্ত ব্যয়ের ফলে বিগত অর্থবছরে ২,৩২,৯১৮ কোটি টাকার বাজেট ঘাটতি তৈরি হয়, যা বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে পূরণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই বিপুল ব্যয়-নির্ভর বাজেটে ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে রাজস্ব আদায়ের ওপর বরাবরই অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়।

সরকার বিগত বছরগুলোতে প্রতিনিয়তই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জন্য অবাস্তব রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আসছে এবং ফলস্বরূপ এনবিআরের রাজস্ব আহরণ প্রতিবছর বাড়লেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। 
 
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নির্ধারিত ৪,৭৮,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের বিপরীতে এনবিআর ৪,০৮,৫৪৫ কোটি টাকা আদায় করেছে, যা সংশোধিত বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার ৮৫.৫ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় সংশোধিত বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার ৮৪.৫ শতাংশ ছিল। লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছানোর জন্য এনবিআর নতুন নতুন উপায়ে রাজস্ব বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত এনবিআর কর্তৃক গৃহীত করের আওতা বাড়ানোর অথবা ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরো বেশি সংখ্যক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলো হতে দৃশ্যমান কার্যকর অথবা ইতিবাচক ফল আসেনি।

ফলস্বরূপ, ইতিমধ্যেই নিয়মিত কর প্রদানকারী বৈধ ও প্রচলিত আইনের প্রতি অনুগত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আরো বেশি চাপ প্রয়োগ করে রাজস্ব আয় বাড়ানোর চেষ্টা চলছে তবে বাস্তবে এটা কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। 

বাংলাদেশের রাজস্বে সর্বোচ্চ অবদান রাখা খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম তামাক খাত। বিগত বছরগুলোতে, শুধুমাত্র তামাক খাত নিয়মিত মোট রাজস্বের ১১ শতাংশের বেশি অবদান রেখে আসছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে তামাক শিল্প থেকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়, বিগত অর্থবছরের তুলনায় যা ১৬ শতাংশ বেশি। তামাকের ওপর উচ্চহারে করারোপের পেছনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে সবসময় সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও ক্রমবর্ধমান বর্ধিত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। 

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে ২৯,৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় যা মোট সংশোধিত বাজেটের মাত্র ৫.২ শতাংশ। ২০২১ সালে ৪৫টি স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ সর্বনিম্ন। এখান থেকে ধারণা পাওয়া যায় যে, তামাক খাত থেকে সংগৃহীত রাজস্ব স্বাস্থ্য খাতের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য বিভিন্ন খাতের জন্যও একটি প্রধান অর্থায়ন উৎস হিসেবে কাজ করে।

তামাক খাতের রাজস্বের ওপর এই বিপুল নির্ভরশীলতা, দেশের সামগ্রিক রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উক্ত খাত হতে প্রাপ্ত আদায়ের টেকসই এবং ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান চাপে মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে সরকার সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য দুই দফা বৃদ্ধি করেছে। এই আকস্মিক এবং ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাজারে অবৈধ সিগারেটের ব্যবসার ব্যাপক প্রসার হচ্ছে এতে করে সরকারের রাজস্ব আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

স্তর ভেদে সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্যে গত অর্থবছর থেকে দুই ধাপে ২০ শতাংশ থেকে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই দ্রুত মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভোক্তাদের মধ্যে সস্তা বিকল্প পণ্য খোঁজার প্রবণতা তৈরি হয়েছে, যা অবৈধ সিগারেটের বাজারকে ভয়ঙ্করভাবে উৎসাহিত করে তুলেছে। বিশেষ করে, নিম্ন আয়ের ভোক্তারা, যারা দামের প্রতি বেশি সংবেদনশীল, তারা অবৈধ সিগারেটের দিকে ঝুঁকছে।

সরকার প্রায়শই অবৈধ সিগারেটের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে, কিন্তু সরকারের বর্তমান অবকাঠামো দ্বারা এই অবৈধ ব্যবসার প্রসার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এর অন্যতম মূল একটি কারণ হচ্ছে, অবৈধ সিগারেট ব্যবসার বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য সরকারি তথ্য-উপাত্ত নেই। 

যদিও সরকার ধারণা করতে পারে যে মূল্যবৃদ্ধির কারণে সিগারেটের ব্যবহার কমেছে, তবে প্রকৃতপক্ষে এই ব্যবহার অবৈধ বাজারে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এর ফলে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে নিম্নমানের নামি-বেনামি সিগারেট জনস্বাস্থ্যকে আরো হুমকির মুখে ফেলছে। 

বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতা অবৈধ ব্যবসায়ীদের জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। এমতাবস্থায়, সিগারেটের মূল্য আরও বৃদ্ধি করা হলে অবৈধ সিগারেট ব্যবসায়ীদেরকে বাজারে প্রবেশ করা সহজ করে তুলবে। 
ফলে দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামোর ফায়দা নিয়ে দেশের যত্র তত্র অবৈধ সিগারেট বানানোর কারখানা গড়ে উঠবে। ভীতিকর বাস্তবতা এই যে, এ সকল অবৈধ সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নানা রকম অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিটিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে ইন্ধন যোগাতে পারে।
 
মালয়েশিয়ার উদাহরণ থেকে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৫ সালে আকস্মিকভাবে ৩৭ শতাংশ কর বৃদ্ধির ফলে বৈধ সিগারেটের দাম রাতারাতি ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ফলশ্রুতিতে সেখানে অবৈধ সিগারেটের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং মোট সিগারেট বাজারের প্রায় অর্ধেক অবৈধ সিগারেটের দখলে চলে যায়। ১০ বছর পার হয়ে গেলেও মালয়েশিয়া এখন অবধি অবৈধ সিগারেটের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ এবং অর্ধেকের বেশি সিগারেটের বাজার এখনও অবৈধ সিগারেট দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশেও যদি অবৈধ সিগারেট বাজার এভাবে বিস্তার লাভ করার সুযোগ পায়, তবে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। 

বাংলাদেশে সরকার তামাক রাজস্বের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হওয়ায়, এই খাত থেকে ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। একটি খাতের ওপর এ রকম নির্ভরশীলতা সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টিকে আরো সংবেদনশীল করে তুলেছে। যদি সরকার তামাক করের ওপর নির্ভরতা কমাতে সমুচিত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে এবং সেই সঙ্গে বর্তমান অবৈধ সিগারেট বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে, তবে রাজস্ব খাতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উৎস ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরো বাড়তে থাকবে। একই সঙ্গে নানাবিধ সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রসারের সঙ্গে অবৈধ কর্মকাণ্ডের বৃদ্ধি অনিবার্য।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আইএসইউ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ

প্রচলিত ধারণার বাইরে আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম

শেয়ার
প্রচলিত ধারণার বাইরে আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম

উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যবসায় প্রশাসন এখন শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম। সময়ের সঙ্গে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মপরিধি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ব্যবসায় প্রশাসনে একজন স্নাতক (বিবিএ) তার কর্মজীবনে আকর্ষণীয় বেতন, উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটিয়ে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদগুলোতে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। কাজ করছেন বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায়।

দেশের দারিদ্র বিমোচনে রাখছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শিক্ষার্থীরা দুই ধরনের কাজ করতে পারেন। উদ্যোক্তা হয়ে নিজের মতো কাজ করা, নয়তো অন্যের অধীনে চাকরি করা। উদ্যোক্তা হতে আর্থিক মূলধন দরকার হওয়াতে পড়াশোনা শেষে বিশেষায়িত কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করাই থাকে এই বিষয়ের শিক্ষার্থীদের মূল লক্ষ্য।

সফল ব্যাংকার হওয়ার জন্যও অনেকে বিবিএতে পড়েন।

বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাকরির ক্ষেত্রে ব্যবসায় প্রশাসনের একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা স্তর তার অন্যান্য যোগ্যতা ওপর নির্ভর করে। দেখা যায়, একজন ব্যক্তির স্নাতক বা মাস্টার ডিগ্রি আছে। কিন্তু অন্যজনের স্নাতকের পাশাপাশি কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।

সে কর্মদক্ষতা প্রমাণ করেছে। তখন নির্দিষ্ট চাকরির জন্য যোগ্যতার বিচারে সে এগিয়ে যাবে। আমাদের সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ থাকে না। হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার অভাবে পিছিয়ে পড়েন। এসব বিষয় চিন্তা করে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যত বাংলাদেশের উপযোগী দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।

আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘ভবিষ্যতের ভালোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাবজেক্টই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ক্ষেত্রে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সামনের সারির। অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে বিবিএতে ক্যারিয়ার গড়া সহজ ও সুযোগ বেশি। এই বিষয়ে অনেক স্নাতক বহুজাতিক কম্পানিতে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। যে সুযোগ করে দিচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। বিবিএতে তাত্ত্বিক বিষয়ের চেয়ে ব্যবহারিক বা প্রায়োগিক বিষয় বেশি প্রয়োজনীয়। তাই আমরা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছি।’

সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারপারসন ড. মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের উপযোগী দক্ষ ও যোগ্য মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টকে সাজানো হয়েছে। প্রচলিত ধারণার বাইরে এবং আন্তর্জাতিক মানকে সামনে রেখে আমাদের বিভাগের পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ও আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দের গবেষণা কার্যক্রমকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন ও পারস্পরিক সহযোগিতা বজায় রেখেছে।’

এ ছাড়াও ‘স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের’ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ও যোগ্যতাসম্পন্ন গ্রাজুয়েটদের চাকরি দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদের অধীনে মোট ৬টি বিভাগ চালু রয়েছে। এরমধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ও মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ)। ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীনে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (এএমএম)। আর ফ্যাকাল্টি অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সাইন্সেসের অধীনে বিএ (অনার্স) ইন ইংলিশ, এমএ ইন ইংলিশ লিটেরেচার অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ ও ব্যাচেলর অব ল’ (এলএলবি অনার্স)। একই অনুষদের অধীনে কোর্স অন প্রি-ইউনিভার্সিটি ইংলিশ পরিচালিত হয়। আইএসইউতে জানুয়ারি-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর বছরে দুটি সেমিস্টারের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে আকর্ষণীয় স্কলারশিপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়। যার মধ্যে পূর্ণ অনুদান (১০০%) থেকে শুরু করে আংশিক মওকুফসহ শিক্ষার্থীদের মোট ১৪টি ক্যাটেগরিতে স্কলারশিপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়।

মন্তব্য

মিনিস্টারের ‘কোটিপতি হোন’ অফার ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মিনিস্টারের ‘কোটিপতি হোন’ অফার ঘোষণা
সংগৃহীত ছবি

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড মিনিস্টারে চলছে অস্থির বাজারে স্বস্তির অফারে ‘কোটিপতি হোন’ অফার। এই অফারে ক্রেতাগণ মিনিস্টার ব্র্যান্ডের যেকোনো মডেলের ফ্রিজ ও ফ্রিজার, এসি, এলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনলেই পাচ্ছেন স্ক্র্যাচকার্ড এবং স্ক্র্যাচকার্ড ঘষলেই হতে পারেন কোটিপতি, লাখপতি ও পেতে পারেন একটির সাথে আরেকটি ফ্রি এবং বিশাল মূল্যছাড়সহ নিশ্চিত আকর্ষণীয় গিফট বক্স। 

এ বিষয়ে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের সোহেল কিবরিয়া, হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন বলেন, “মিনিস্টার ব্র্যান্ড সব সময় ক্রেতাগণের সর্বোচ্চ সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় অফার দিয়ে থাকে। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

দেশের এই অস্থিতিশীল বাজারে ক্রেতাগণ যাতে স্বাচ্ছন্দ্র্যে  ইলেকট্রনিকস পণ্য কিনতে পারেন সে জন্যই আমাদের এই অফার।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই অফারে আমরা সর্বত্রই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।  ইতোমধ্যে আমরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য লাখপতি ও একটির সাথে একটি ফ্রি বিজয়ী পেয়েছি । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঢাকা ইব্রাহীমপুরের সাদিয়া রহমান, জামালপুরের হাবিবুর রহমান, বাগেরহাটের জোহর মোল্লা, বগুড়ার রফিকুল ইসলাম, কক্সবাজারের ইলয়াস, কুমিল্লার হেদায়েত উল্লাহসহ অনেকে।

এখন অপেক্ষা শুধু কোটিপতি বিজয়ীর…। 

মিনিস্টার ব্র্যান্ডের যেকোনো পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকরা পাচ্ছেন অবিশ্বাস্য ডিসকাউন্টসহ আকর্ষণীয় গিফট বক্স। ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট অ্যান্ড্রয়েড এলইডি টিভি পাচ্ছেন মাত্র ১৭,৯০০ টাকায় সাথে থাকছে ২,০০০ টাকার ক্যাশ ভাউচার। এ ছাড়া নির্দিষ্ট মডেলের এলইডি টিভিতে রয়েছে ৫৩% মূল্যছাড়।

শুধু কি তাই, মিনিস্টার ফ্রিজে থাকছে ১৩,২৬১ টাকা পর্যন্ত মূল্যছাড় এবং এসিতে রয়েছে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যছাড়সহ ফ্রি ইনস্টলেশন সুবিধা। এ ছাড়া হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যে রয়েছে বিশাল ডিসকাউন্টসহ সব পণ্যে থাকছে নিশ্চিত আকর্ষণীয় গিফট বক্স।

এ অফারের সুযোগ গ্রহণ করতে আর দেরি না করে আজই আসুন আপনার নিকটস্থ মিনিস্টারের শোরুমে আর হয়ে যান লাখপতি বা কোটিপতি। সর্বশেষ অফার বা যেকোনো তথ্য জানতে ভিজিট করুন মিনিস্টার ওয়েবসাইটে https://ministerbd.com/ অথবা যোগাযোগ করতে পারেন হটলাইন: 09606700700

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

স্বাধীনতা দিবস ওয়ালটন আন্তর্জাতিক রেটিং দাবায় মিনহাজ চ্যাম্পিয়ন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্বাধীনতা দিবস ওয়ালটন আন্তর্জাতিক রেটিং দাবায় মিনহাজ চ্যাম্পিয়ন

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘স্বাধীনতা দিবস ওয়ালটন আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা-২০২৫’ রোববার (২৩ মার্চ, ২০২৫) শেষ হয়েছে। এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আন্তর্জাতিক মাস্টার মো. মিনহাজ উদ্দিন অদপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছেন। তিতাস ক্লাবের ফিদে মাস্টার সুব্রত বিশ্বাস রানার-আপ হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক মাস্টার মো. মিনহাজ উদ্দিন ৯ খেলায় সাড়ে ৮ পয়েন্ট পেয়ে শিরোপা জয় করেন।

আট পয়েন্ট নিয়ে ফিদে মাস্টার সুব্রত বিশ্বাস রানার-আপ হন। সাত পয়েন্ট করে অর্জন করেন ৪ জন খেলোয়াড় এবং টাইব্রেকিং পদ্ধতিতে এদের মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফিদে মাস্টার খন্দকার আমিনুল ইসলাম তৃতীয়, দীপালী মেমোরিয়াল চেস ক্লাবের কাজী সাইফ চতুর্থ, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের স্পোর্টিং ক্লাবের ক্যান্ডিডেট মাস্টার মো. আবু হানিফ পঞ্চম ও ইসফট এরিনার আব্দুল মোমিন ষষ্ঠ স্থান লাভ করেন।

সাড়ে ছয় পয়েন্ট করে নিয়ে সপ্তম হতে ১৫তম স্থান লাভ করেন যথাক্রমে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের স্পোর্টিং ক্লাবের ক্যান্ডিডেট মাস্টার মো. শরীয়তউল্লাহ, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফিদে মাস্টার সেখ নাসির আহমেদ, ফিদে মাস্টার মো. শরীফ হোসেন, দীপালী মেমোরিয়াল চেস ক্লাবের শাহিনুর হক, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের স্পোর্টিং ক্লাবের মো. নাসির উদ্দিন, এসবিপি-এমএফ এর সিয়াম চৌধুরী, সুলতানা কামাল পাঠাগারের ক্যান্ডিডেট মাস্টার মো. জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্যান্ডিডেট মাস্টার মাহতাবউদ্দিন আহমেদ ও স্পোর্টস বাংলার গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

বিশেষ পুরস্কার পান যথাক্রমে মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার ওয়ারসিয়া খুশবু, মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার আহমেদ ওয়ালিজা, মো. হুমায়ুন কবীর শ্যামল, ক্যান্ডিডেট মাস্টার সোহেল চৌধুরী, আকিল হাসান, জোয়েনা মেহবিশ, আওসাফ চৌধুরী, মো. জাকির হোসন ও মো. রাজীব হাসান।

 

৯ রাউন্ড সুইস-লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ ইভেন্টে বিজয়ীদের মোট নগদ দেড় লক্ষ টাকা অর্থ পুরস্কার ও ওয়ালটন সামগ্রী দেয়া হয়।

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক সচিব সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ ও ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক ও স্পোর্টস অ্যাডভাইজার এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক লোকমান হোসেন মোল্লা লাভলু ও আন্তর্জাতিক বিচারক মো. হারুন অর রশিদ। এবারের প্রতিযোগিতায় ১৪২ জন দাবাড়– অংশ নেন।

‘স্বাধীনতা দিবস ওয়ালটন আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা-২০২৫’ এর চ্যাম্পিয়ন এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন অতিথিবৃন্দ। 
 

মন্তব্য

অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই বিডিটিকেটস-এ মিলবে ঈদের বাস টিকিট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই বিডিটিকেটস-এ মিলবে ঈদের বাস টিকিট

আসন্ন ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে, দেশের অন্যতম অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম বিডিটিকেটস এবারও নিয়ে এসেছে ঈদ স্পেশাল বাস টিকিট অফার। যাত্রীদের ভোগান্তিমুক্ত যাত্রা নিশ্চিত করতে, বিডিটিকেটস ২০ লাখেরও বেশি বাস টিকিট বিক্রি করবে। তবে এতে কোনো অতিরিক্ত চার্জ দেওয়া লাগবে না।

আরো পড়ুন
দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

 

প্রতি বছর ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য টিকিট পাওয়া একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এবং টিকেট কালোবাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে। এতে সাধারণ যাত্রীদের প্রচণ্ড ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তবে বিডিটিকেটস সবসময় চেয়েছে যাত্রীদের সাশ্রয়ী ও ঝামেলাহীন টিকেটিং সুবিধা দিতে। সেই লক্ষ্যেই এবারের ঈদে বিডিটিকেটস নিশ্চিত করছে দেশের সেরা বাস সার্ভিসের টিকিট, যা পাওয়া যাবে সব রুটে, নির্ধারিত মূল্যে এবং কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া।
টিকিট কাটতে লগইন করুন bdtickets অ্যাপে অথবা ভিজিট করুন https://www.bdtickets.com-এ! অথবা কল করুন যেকোনো সহায়তার জন্য ১৬৪৬০ নম্বরে কল করুন—সপ্তাহের সাত দিন, ২৪ ঘণ্টা।

বিডিটিকেটস-এর প্ল্যাটফর্ম থেকে গ্রাহকরা দীর্ঘ লাইনের ঝামেলা এড়িয়ে ঘরে বসেই অনলাইনে নিজের পছন্দের টিকিট বুক করতে পারবেন। দেশের যে কোনো জায়গা থেকে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে যাত্রীরা তাদের প্রয়োজনীয় টিকিট মুহূর্তেই সংগ্রহ করতে পারবেন। 

ঈদে ঘরে ফেরার জন্য টিকিট কাটা সাকিব ইউসুফ বলেন, আগে বাসের টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।

অনেক সময় টিকিট কিনতে গিয়ে শুনতে হতো টিকেট নেই। তারপর অতিরিক্ত দাম ও চার্জ দিয়ে কালোবাজার থেকে কিনতে হতো। কিন্তু গত ঈদ থেকে আমি বিডিটিকেটস-এ টিকেট কাটি। তাই এখন নিশ্চিন্তে, অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই, ঘরে বসেই টিকিট কিনতে পারি।

আরো পড়ুন
মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

 

বিডিটিকেটস-এর ঈদ স্পেশাল অফারে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশালসহ দেশের সব প্রধান রুটের টিকিট পাওয়া যাবে।

যাত্রীদের নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে, বিডিটিকেটস বিগত বছরগুলোতে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে নিরবচ্ছিন্ন টিকেটিং সেবা দিয়ে আসছে। যাত্রীদের নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত যাত্রা নিশ্চিত করাই বিডিটিকেটস-এর মূল লক্ষ্য।

ঈদ স্পেশাল বাস টিকিট অফারটি ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে, এবং আগ্রহী যাত্রীরা দ্রুতই তাদের টিকিট বুকিং নিশ্চিত করতে পারবেন। বিডিটিকেটস সবসময় চায় যাত্রীরা যেন দ্রুত, সাশ্রয়ী ও নিশ্চিন্তভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। তাই এবারের ঈদে কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই নির্ধারিত মূল্যে টিকিট বুক করতে এখনই ভিজিট করুন বিডিটিকেটস-এর ওয়েবসাইট বা অ্যাপ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ