ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগের শঙ্কা

জহিরুল ইসলাম
জহিরুল ইসলাম
শেয়ার
ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগের শঙ্কা

ঈদের আনন্দ উদযাপনে রাজধানীবাসী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রিয়জনের কাছে ছুটে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে এক কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ রাজধানী ছেড়ে প্রিয়জনের কাছে যেতে পারে। তবে এবারের ঈদ যাত্রায়ও সড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার একদিকে রয়েছে যানজটের ভোগান্তি, অন্যদিকে নিরাপত্তাঝুঁকি তো আছেই।

    

বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেটসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ১৫৯টি স্পটে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর বাইপাইল ও চন্দ্রা মোড়ে যানবাহনের প্রচণ্ড  চাপে রাজধানীর প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে তীব্র যানজটে ঈদ যাত্রার ভোগান্তি আরো বাড়তে পারে।

তবে যানজট নিরসনে জননিরাপত্তা বিভাগ ঈদের আগে ও পরে  চিহ্নিত স্পটগুলোয় বিশেষ নজরদারি রাখতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ করিডরগুলোর সড়ক ঈদের সাত দিন আগেই মেরামত কিংবা সংস্কার করতে বলা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে, ঢাকা-বাইপাস (মদনপুর-ভুলতা-ভোগড়া-এন-১০৫), নবীনগর-চন্দ্রা (এন-৪৫০), ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ (এন-৩), ঢাকা-জয়দেবপুর (এন-৩), ঢাকা (ভোগড়া)-চন্দ্রা-এলেঙ্গা, এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-বগুড়া-রংপুর, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা, ভাঙ্গা-বরিশাল। একই সঙ্গে রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটির আওতায় থাকা সড়কগুলো।

জননিরাপত্তা বিভাগের তথ্যানুযায়ী, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩৮ থেকে ৩৯টি সড়কের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ, যা দ্রুত মেরামত প্রয়োজন। প্রতিবছর ঈদুল ফিতরে এক কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ রাজধানী ছাড়ে, আর প্রায় ৩০ লাখ মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করে।

এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এবারের ঈদ যাত্রায়ও দুর্ভোগের শিকার হতে পারে যাত্রীসাধারণ।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক সূত্র জানায়, যানজটের আশঙ্কা করা চিহ্নিত ১৫৯টি স্পটের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে রয়েছে ৪৯টি স্পট। ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে রয়েছে ৫৪টি স্পট। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে রয়েছে ছয়টি স্পট। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রয়েছে ৪২টি স্পট এবং ঢাকা-পাটুরিয়া-আরিচা মহাসড়কে রয়েছে আটটি স্পট।

এর মধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বেশি যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রায় ৭০০ পুলিশ সদস্য কাজ করবে। তবে ৩৮ থেকে ৩৯টি সড়কের অবস্থা বেশ খারাপ। যেগুলো দ্রুত মেরামত করা দরকার।

ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সম্প্রতি আয়োজিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ঈদে এক কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ রাজধানী ছেড়ে যাবে আর ৩০ লাখের মতো মানুষ রাজধানীতে আসবে। এই দেড় কোটি মানুষের ঈদের আনন্দের যাতায়াত যানজটসহ নানা কারণে নিরানন্দের হয়ে যায়। এসব বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ভাঙ্গা সড়ক আর যানজট আমরা প্রত্যাশা করি না। যানজটে যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি আমাদেরও ক্ষতি হয়। যানজট বেশি হলে ট্রিপ কমে যায়। ফলে শুরু থেকে আমরা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে বলে আসছি সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে।

 

 

 

উত্তরের পথে ১৩ কিলোমিটারের যানজটের আশঙ্কা

উত্তরের পথে ১৩ কিলোমিটারের যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত এবারও যানজট হতে পারে। কারণ, এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে উন্নয়নকাজ এখনো শেষ হয়নি। মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ফলে যানজটে ভোগান্তির আশঙ্কা থাকছেই। আবার উত্তরবঙ্গসহ ময়মনসিংহের প্রায় ২৩ জেলার পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে এই মহাসড়কে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন ১৮-২০ হাজার ছোট-বড় যান যমুনা সেতু দিয়ে পারাপার করে। তবে ঈদে যানবাহনের সংখ্যা দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে ৫০ হাজার অতিক্রম করে। এতে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, মহাসড়কে যান বিকল এবং দুর্ঘটনার কারণে ভোগান্তি তৈরি হয়।

তবে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ প্রশাসন ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত টাঙ্গাইল অংশে ৭ শতাধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

 

ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রুটের যেসব স্থানে যানজটের আশঙ্কা

ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রুটের বাইপাইল মোড়, চন্দ্রা মোড়, গোড়াই মিলগেট, যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর, ফেন্সিগেটের আগের অংশ, ফেন্সিগেট সার্ভিস লেন, মুলিবাড়ী আন্ডারপাসের আগে, কড্ডা ফ্লাইওভারের পশ্চিমে, কোনাবাড়ী আন্ডারপাসের আগে, হাটিকুমরুল পাঁচলিয়া বাসস্ট্যান্ড, হাটিকুমরুল ধোপাকান্দি ব্রিজ, হাটিকুমরুল গোলচত্বর, হাটিকুমরুল বাজার, ঘুরকা বেলতলা, ভূঁইয়াগাতী বাসস্ট্যান্ড, হোটেল হাইওয়ে অভি ভিলা, ষোলোমাইল, সিরাজগঞ্জ বাইপাস, জমজম দইঘর, বগুড়া বাজার থেকে সীমাবাড়ী কলেজ, পেন্টাগন হোটেল, ফুড ভিলেজ হোটেল, দাদপুর জামাই রোড, নিউ পাপিয়া হোটেল থেকে চাচা-ভাতিজা হোটেল, জোড়া ব্রিজ, চান্দাইকোনা গরুর হাট পর্যন্ত।

 

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের যেসব স্থানে যানজটের আশঙ্কা

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের কাচিকাটা টোলপ্লাজা, বনপাড়া বাইপাস, বনপাড়া বাজার, রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের বানেশ্বর বাজার, রাজশাহী, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা বটতলা থেকে মোনায়েম কন্সট্রাকশন, ছনকা বাজার, শেরপুর মডেল মসজিদের সামনে, নয়ামাইল বাজার, মাঝিরা বাজার, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার বনানী বাসস্ট্যান্ড, শাকপালা, বগুড়া জেলার সদর থানার জিয়া মেডিক্যাল কলেজ গেটের সামনে, তিন মাথা রেল ক্রসিং, চার মাথা ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে, বারোপুর বাসস্ট্যান্ড, মাটিডালি বিমানবন্দর মোড়, টিএমএসএসের সামনে, শিবগঞ্জ থানার মহাস্থান বাসস্ট্যান্ড ফ্লাইওভারের নিচে, মোকামতলা বাসস্ট্যান্ড ফ্লাইওভারের নিচে, মায়ামনি চৌরাস্তা মোড় থেকে গোবিন্দগঞ্জ ব্র্যাক অফিস, গাইবান্ধা, পলাশবাড়ী উপজেলা পোস্ট অফিস এবং শিল্পী রেস্তোরাঁ থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর পর্যন্ত পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা, পীরগঞ্জ উপজেলা বাস স্টপেজ থেকে সাসেক প্রকল্পের নির্মাণাধীন আন্ডারপাসের উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত, বিশ মাইল, পীরগঞ্জ, রংপুর, বড় দরগাহ্ আন্ডারপাস, পীরগঞ্জ, রংপুর, শঠিবাড়ী আন্ডারপাস, শঠিবাড়ী বাজার এবং বাস স্টপেজ এলাকা, মিঠাপুকুর, রংপুরকে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের যানজটের গুরুত্বপূর্ণ স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভোগাবে সিঙ্গেল লেন

দেশের অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়ক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ১৮ কিলোমিটার এলাকা পড়েছে রূপগঞ্জ অংশে। এ ১৮ কিলোমিটার এলাকায় স্বাভাবিক সময়েও দীর্ঘ যানজট থাকে। ঈদ যাত্রা শুরু হলে যানবাহন চলাচল কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় যানজটও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এবারও সড়কের এই অংশের যানজটে ঈদ যাত্রায় চরম ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আশরাফ উদ্দিন বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সিঙ্গেল লেনের রাস্তা। চালকরা নিয়ম না মেনে গাড়ি চালানোয় যানজট লেগে থাকে।

অন্যদিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ অংশেও যানজটে ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের গাড়িগুলো টার্মিনালে না রেখে রাস্তার ওপরে রেখে যাত্রী ওঠানামা করানোয় এবং তিন চাকার বাহন মহাসড়কে চলাচল করায় যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যস্ততম এই মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ থেকে দেবিদ্বার অংশে ঈদের সময় যানজট প্রকট আকার ধারণ করে।

ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশেও যানজটে ভুগতে হতে পারে যাত্রীদের। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে কাজ বন্ধ থাকায় ভাঙাচুরা অংশে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এরই মধ্যে যানজট শুরু হয়েছে। তারাবো বিশ্বরোড, পাঁচদোনা, ভেলানগর, ইটাখোলা, ভৈরব চৌরাস্তা, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড, মাধবপুর, ওলিপুর রেলগেট, হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, দেবপাড়া বাজার, আউশকান্দি, শেরপুর ও গোয়ালাবাজার এবং শেরপুর টোলপ্লাজা এলাকায় প্রায় প্রতিদিন যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী অংশে সাধারণত তুলনামূলক কম যানজট হয়। তবে এবার ছয় লেন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় মাধবদী, পাঁচদোনা, ভেলানগর, ইটাখোলা, মরজাল ও বারৈচাএই সাতটি পয়েন্টে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ অংশের প্রায় ২২ কিলোমিটারজুড়ে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড, তারাবো বিশ্বরোড গোলচত্বর, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, বরপা, গার্মেন্টসের মোড় ও গাউছিয়া স্ট্যান্ডে যানজট পরিস্থিতির আরো জটিল হতে পারে।

ঈদ যাত্রায় যানজটের ভোগান্তির বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল কালের কণ্ঠকে বলেন, ঈদ যাত্রায় যাতে মানুষের ভোগান্তি কম হয় সে চেষ্টা সব সময় আমাদের থাকে। এবারও আমরা সেই চেষ্টা করছি।

 

(প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রূপগঞ্জ প্রতিনিধি।)

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাজধানীজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি, সতর্ক অবস্থান যৌথ বাহিনীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাজধানীজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি, সতর্ক অবস্থান যৌথ বাহিনীর

সাম্প্রতিক নানা ইসু্য সামনে রেখে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়। সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্তক অবস্থানে ছিল যৌথ বাহিনী। প্রস্তুত ছিল পুলিশের রায়টকারসহ বিশেষ সরঞ্জাম।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান বলেন, চলমান মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারেএমন আশঙ্কায় সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে রাজধানীর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বায়তুল মোকাররম ঘিরে সর্তকতা : গতকাল সকাল থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনের এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জলকামান, এপিসি মোতায়েন ছিল আশপাশের এলাকায়।

এ সময় পল্টনে তোপখানা রোডের আশপাশের বিভিন্ন মোড়ে যৌথ বাহিনীকে সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলাসহ বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের নিপীড়নের প্রতিবাদে বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠন ঢাকায় বিক্ষোভের ডাক দিয়ে সড়ক অবরোধ করলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এরই মধ্যে জুমার নামাজের পর মসজিদটির বাইরে লোকজনকে কালো পতাকা হাতে মিছিলসহ ফিলিস্তিনে হামলার বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। কারো কারো হাতে ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন পতাকা ছিল।

খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিচার দাবি করেছে। দলটির নেতারা বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর স্লোগান দেন। পরে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগানসহ মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ের দিকে চলে যান।

অন্যদিকে নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব পাশে সমাবেশ শুরু করে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর শাখা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পল্টন মোড়ে রাখা হয়েছে ডিএমপির জলকামান, এপিসি কার ও দুটি প্রিজন ভ্যান। বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

আর নাইটিঙ্গেল মোড়ে অবস্থান করছেন বিজিবি সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জুমার নামাজের পর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিস বিক্ষোভ মিছিল করবে; এ ছাড়া ছাত্রশিবির ও জামায়াতের সদস্যরা মসজিদ এলাকায় উপস্থিত আছেন- এই খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করেন পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া সাদা পোশাকে ও ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিপুলসংখ্যক সদস্যকে জ্যাকেট পরে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কোনো পুলিশ সদস্য মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যান্য এলাকায় সতকর্তা : গতকাল বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট, প্রেস ক্লাব, পল্টন, হাইকোর্ট, সার্ক ফোয়ারার সামনে সর্তক অবস্থানে থাকতে দেখা যায় যৌথ বাহিনীর সদস্যদের। এ সময় মুসল্লি ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তল্লাশি করতেও দেখা গেছে। এ ছাড়া নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিজিবি সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব ও শাহবাগ মোড়ে ছিল পুলিশের অবস্থান।

এর বাইরে গুলশান, উত্তরা, মিরপুর, রমনা, পুরান ঢাকা ও মতিঝিলের বিভিন্ন এলাকা এবং রামপুরা টিভি স্টেশনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনের নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি দেখা গেছে সকাল থেকেই।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এর মধ্যে রাতে ৩৪০টি ও দিনে ৩২৭টি টিম দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে ছিল মোবাইল পেট্রোল টিম ৪৭৯টি, ফুট পেট্রোল টিম ৭৩টি ও হোন্ডা পেট্রোল টিম ১১৫টি। এ ছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করে।

 

 

মন্তব্য

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে গতকাল জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলাম। ছবি : কালের কণ্ঠ

গাজায় নির্যাতিত মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও ভারতে মুসলিমদের ওপর আগ্রাসনের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ সারা দেশে সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম, খেলাফতে মজলিস, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, সিপিবি ও বাসদ।

গতকাল দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। সমাবেশে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, পৃথিবীর মানচিত্র মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত করা হচ্ছে। ভারত ও ইসরায়েল যৌথভাবে মুসলিম নিধন করছে।

এই যৌথ শক্তিকে রুখতে বিশ্বের মুসলমান ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের প্রতি আমাদের আহ্বান, দ্রুত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোক। ফিলিস্তিন মুক্ত করতে বিশ্বে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে আরব লিগ ও ওআইসিসহ মুসলমানদের সব সংগঠনকে আমরা আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুর পাশাপাশি ভারতের মুসলমানদের রক্ত দিয়ে হোলি খেলার পাঁয়তারা চলছে।

মুসলমানদের তিন শ বছরের ঐতিহ্যকে মুছে ফেলতে তারা আওরাঙ্গজেব আলমগীর (রহ.)-এর সমাধি উত্খাতের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ভারতকে বলতে চাই, তারা ওই সমাধিতে আঘাত করলে ভারতকে খান খান করে দেব।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব। এ ছাড়া বক্তব্য দেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, নায়েবে আমির আহমাদুল কাসেমী প্রমুখ।

গণহত্যার বিচার দাবি করেছে সিপিবি ও বাসদ

যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজা, খান ইউনিসসহ বিভিন্ন স্থানে জায়নবাদী ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ।

গতকাল সকালে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ নেতারা।

বক্তারা বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত এই গণহত্যার জন্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার আরব সহযোগীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাসদ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ নেতারা।

নেতারা ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ, দেশে দেশে পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ সৃষ্ট সব যুদ্ধ এবং যুদ্ধ উন্মাদনার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে প্রতিবাদ প্রতিরোধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে গাজায় মানবিক সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান তাঁরা।

এ ছাড়া চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলাম, সিলেটে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হেফাজতে ইসলাম, গাইবান্ধায় ইসলামী ছাত্রশিবির, ঝালকাঠির নলছিটিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্রঐক্য পরিষদ, টাঙ্গাইলে ছাত্রশিবির, পঞ্চগড়ে ঈমান আকিদা রক্ষা কমিটি, চাঁদপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, গোপালগঞ্জে ওলামা পরিষদ, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে তৌহিদী মুসলিম জনতা, চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদায় দর্শনা প্রেস ক্লাব, বগুড়ার ধুনটে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা, দিনাজপুরের হিলিতে তৌহিদী জনতা, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন, কুমিল্লার মুরাদনগরে হেফাজতে ইসলাম, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে তৌহিদী জনতা, মাদারীপুরের শিবচরে পৃথকভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,  রাজবাড়ীতে সাধারণ মুসলিম সমাজ ও শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয় বলে কালের কণ্ঠর সংশ্লিষ্ট নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

 

মন্তব্য
রুহুল কবীর রিজভী

জনগণ আ. লীগকে ক্ষমা করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জনগণ আ. লীগকে ক্ষমা করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই
রুহুল কবীর রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু বিচার নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না। ছাত্র-জনতার গণহত্যায় দোষীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি জনগণ তাদের ক্ষমা করে তাহলে আমাদের (আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া) কোনো আপত্তি নেই।

গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসাসংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখন যে নেতৃত্বে আসবে, সে যদি ছাত্র হত্যা, অপরাধ, অর্থ লোপাট ও টাকা পাচার না করে থাকে তাহলে সেই আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি না এমন প্রশ্ন উঠছে। অথচ এই প্রশ্ন উঠছে না, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের বিচার হবে কি না? কারা এই কাজ করেছে, এটা কি মানুষ দেখেনি? যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার হতেই হবে। আর কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন না হয়, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি শাখার আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পর সংস্কারের কথা বলছে। কিন্তু গত ছয় মাসে দৃশ্যমান কোনো সংস্কার দেখা যায়নি। দেশের কোথাও স্থিতিশীলতা নেই। এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

এর জন্য দরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করলে তবেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।

অনুষ্ঠানে মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা এস এম জাহাঙ্গীর, কফিল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

মন্তব্য
আসিফ মাহমুদ

আ. লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আ. লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরানোর ইচ্ছা বা পরিকল্পনা বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা কবে থেকে জার্মানি, ইতালির চেয়ে বেশি ইনক্লুসিভ ডেমোক্রেটিক হয়ে গেলাম? গণহত্যার বছর না ঘুরতেই আওয়ামী লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক।

ফেসবুকে আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, নির্বাচন পিছিয়ে যাবে, অনিশ্চয়তা তৈরি হবেএসব শঙ্কার কথা বলে কেউ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে জনতার ঐক্যে ফাটল ধরাতে আসবেন না।

আসিফ লিখেছেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে বারবার বলছেন ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইলেকশন হবে। আমি নিশ্চয়তা দিতে চাই সরকার এই কথা রাখবে। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।

তিনি লিখেন, গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ শুধু জাতীয়ভাবে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে ইউএন (জাতিসংঘের) রিপোর্টের মাধ্যমে স্বীকৃত।

জনতার ঐক্য জিন্দাবাদ।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ