<p style="text-align:justify">ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে ভারতে পাচার হওয়া নারী-পুরুষ ও শিশু বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে সাজাভোগের পর ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্টের নো-মানস ল্যান্ডে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বের) বিকেল ৫টার সময় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।</p> <p style="text-align:justify">ফেরত আসা নারী-পুরুষ ও শিশুরা ঠাকুরগাঁও, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, দিনাজপুর, ফরিদপুর, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, মাগুরা, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা।</p> <p style="text-align:justify">আইনি সহায়তা দিতে রাইটস যশোর এবং জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের দুটি এনজিও তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে তারা ভারতে গিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হয়েছিল। এদের বয়স ১২ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।</p> <p style="text-align:justify">জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রগ্রাম অফিসার আব্দুল মুহিত জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে দালালের মাধ্যমে তারা ভারতে যান। এ সময় অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে জেলে পাঠায়। পরে আইনি সহায়তা দিতে ভারতীয় একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে আইনি সহায়তা চায়, তাহলে সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।</p> <p style="text-align:justify">বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম আহমেদ জানান, ২৬ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশু সাজা শেষে আজ বিকেলে দেশে ফিরেছে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার এবং রাইটস যশোর নামে দুটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।</p> <p style="text-align:justify">এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের বেনাপোল-পেট্রাপোল আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি-বিএসএফ, কাস্টম, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার  সদস্যরা।</p>