ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

সালথায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
সালথায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

ফরিদপুরের সালথায় ৮৫ বছর বয়সি সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, গ্রাম্য দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদের সঙ্গে আরেক সহসভাপতি ও সাবেক তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জেরে মাঝে মাঝেই ওই দুই প্রভাবশালী নেতার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। বয়সের ভারে সংঘর্ষ ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে একপর্যায়ে পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন হামিদ চেয়ারম্যান।

 

তবে মঙ্গলবার বিকেলে পেঁয়াজের জমি দেখতে বাড়িতে আসেন তিনি। খবর পেয়ে সাহিদের সমর্থকরা হামিদের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর হামলা করে। হামলার বিষয়টি জানাজানি হলে এর প্রতিবাদ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বরের সমর্থকরা। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে ৫-৬টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে হামিদ চেয়ারম্যানসহ উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রাত ৯টার দিকে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা প্রতিনিধি
শেয়ার
ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

ভোলার বোরহানউদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকলে আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে টবগী ইউনিয়নের নায়েব বাড়ির দড়জায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ইটবোঝাই ট্রলি চাপায় মো. রায়হান (২৬) নিহত হন। নিহত রায়হান উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম মাওলা পাটওয়ারীর ছেলে।

তিনি ভোলার লালমোহন উপজেলায় একটি বেসকারি কম্পানিতে চাকরি করতেন।

আরো পড়ুন
তরমুজের কোটি টাকার বাজার

তরমুজের কোটি টাকার বাজার

 

অপরদিকে, একই দিন দুপুর সোয়া ১টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার বি. আর. ডি. বি. মোড় এলাকায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মো. আব্দুর রহমান নামের এক যুবক নিহত হন। তিনি পটুয়াখালী জেলার বাসিন্দা ও স্কয়ার কম্পানির চরফ্যাশন উপজেলার এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে রায়হান নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন।

এ সময় তিনি স্থানীয় নায়েব বাড়ির দড়জায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইটবোঝাই একটি ট্রলির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত মোটরসাইকেল নিয়ে সড়কে পড়ে যান। এ অবস্থায় ট্রলির চাকার নিচে তার মাথা চাপা পড়ে। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন
দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম কোনটি, ভুল করছেন না তো?

দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম কোনটি, ভুল করছেন না তো?

 

বোরাহানউদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

চরফ্যাশন থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দুপুর সোয়া ১টার দিকে আব্দুর রহমান নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে শহরের দিকে আসছিলেন। এ সময় বাজারের দক্ষিণ পাশে বিআরডিবি মোড় এলাকায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য
গলাচিপা

তরমুজের কোটি টাকার বাজার

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
শেয়ার
তরমুজের কোটি টাকার বাজার
ছবি: কালের কণ্ঠ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় পটুয়াখালীর গলাচিপায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত তিন বছরের লোকসান কাটাতে পেরে এবার খুশি কৃষকরা।

এ বছর প্রথম ধাপে উৎপাদিত তরমুজ রপ্তানি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। বিশেষ করে, রমজানে এই রসাল ফলের চাহিদা রয়েছে বাজারগুলোতে।

উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের একাধিক পয়েন্টে (মোকাম) প্রতিদিন গড়ে অন্তত দেড় থেকে তিন শ ট্রাকে পাঠানো হচ্ছে তরমুজ। অস্থায়ী কয়েকটি মোকামের মধ্য অন্যতম গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নসংলগ্ন রামনাবাদ নদী তীরের আমখোলা। প্রতিদিন এই একটি পয়েন্ট (মোকাম) থেকে প্রায় ২০০ ট্রাকে তরমুজ যাচ্ছে রাজধানীসহ কয়েকটি জেলায়। যার পাইকারি বাজারমূল্য দৈনিক অন্তত দুই কোটি টাকা।

এ ছাড়াও গলাচিপার মুশুরিকাঠি স্লুইস, গোলখালীর হরিদেবপুর খেয়াঘাট, রতনদী তালতলীর বন্যাতলী খেয়াঘাট, উলানিয়া বাজার, ডাকুয়ার পাঙ্গাসিয়া, সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া খেয়াঘাট এলাকায় প্রায় দেড় শ ট্রাকে তরমুজ পরিবহন করা হচ্ছে।

গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া গ্রামের মো. হুমায়ুন খান জানান, এ বছর ১৫০ শতক জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। এতে ১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তিন লাখ টাকার মতো লাভ হতে পারে।

এ পর্যন্ত তিনি ২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। অল্প কিছু আছে, যা বিক্রি হয়ে যাবে।

সরেজমিনে রামনাবাদ নদীর তীরে অস্থায়ী আমখোলা পয়েন্টে (মোকামে) দিনভর ঘুরে দেখা যায়, নদীপথে তরমুজ নিয়ে রামনাবাদ নদীর তীরে ভিড়ছে ট্রলার। নানা ক্যাটাগরির ধারণক্ষমতার ট্রাকে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকার তরমুজ লোড করছেন শ্রমিকরা। দিনরাত মিলিয়ে গড়ে অন্তত ২০০ ট্রাক ছাড়ে আমখোলার এই পয়েন্ট থেকে।

শুধু আমখোলার মোকাম থেকে গড়ে ৮ কোটি টাকার তরমুজ পরিবহন হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সোনার বাংলা ট্রাক কভার্ডভ্যান ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক মো. মহসিন মৃধা বলেন, ‘আমখোলা এলাকায় ৫০টি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন ২০০ ট্রাক লোড হয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় তরমুজ নিয়ে যাচ্ছে।’

মানিকগঞ্জ থেকে আমখোলা মোকামে তরমুজ নিতে আসা ট্রাকচালক সালমান হোসাইন বলেন, ‘গত বছরের থেকে এ বছরে ট্রাক ভাড়া কম থাকায় সব খরচ দিয়ে লাভ কম থাকছে। গত বছর ৩৫ হাজার ভাড়ার পরিবর্তে এ বছর ৩০ হাজার টাকা ভাড়া হয়েছে। প্রতি ট্রিপে তিন-চার লাখ টাকার তরমুজ বহন করা হয়।’

আমখোলা মোকামের শ্রমিক সরদার মো. ইমরান জানান, এখানে দিনরাত প্রায় ৫০০ শ্রমিক তরমুজ ট্রাকে ভরার কাজ করছেন। প্রতি পিস তরমুজ ট্রাকে তুলতে তাঁরা দেড় টাকা মজুরি পাচ্ছেন। ঈদ পর্যন্ত এই মোকাম থেকে ট্রলার থেকে ট্রাকে তরমুজ তুলে দেওয়ার কাজ করবেন তাঁরা।

গাজীপুর থেকে আমখোলা মোকামে তরমুজ কিনতে আসা পাইকারী ব্যবসায়ী মো. জামান চৌধুরী জানান, তিনি পটুয়াখালী থেকে ২০ বছর ধরে তরমুজ কিনে গাজীপুরে তাঁর নিজস্ব আড়তে বিক্রি করছেন। এ বছরে পটুয়াখালীতে তরমুজের উৎপাদন বেড়েছে। এ পর্যন্ত ১৮টি ট্রাকে প্রায় ৭০ লাখ টাকার তরমুজ কিনেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমার মতো আরো দেড় থেকে দুই শ ব্যবসায়ী আমখোলা মোকাম থেকে তরমুজ কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করছেন।’

গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার বলেন, ‘গত কয়েক বছর তরমুজের লোকসান হওয়ায় এবার তুলনামূলক তরমুজ চাষি কমে গেছে। তবে এ বছর ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে চরমুজ চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই লাভবান হবে বলে আশা করা যায়।’

মন্তব্য

আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্তি

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্তি
ছবি: কালের কণ্ঠ

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ক্লুলেস ডাকাতি মামলার ছয় আসামি গ্রেপ্তারসহ লুণ্ঠিত মাল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) টানা অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের ওই সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে উপজেলার সুলতানপুর এলাকায় গাছ ফেলে ডাকাতি করেছিল এ দলটি।

গ্রেপ্তার ডাকাতদলের সদস্যরা হলেন- ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠাল রাজাবাড়ী গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে মোখলেছ ওরফে মোকলেছ ওরফে মোকলে (৩৫), কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কুরতলা গ্রামের সুবেদ আলীর খানের ছেলে মো. সুজন খান (৩০), একই উপজেলার তালদর্শী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. জুনায়েদ (১৯), একই গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মো. আফসার (১৯), একই উপজেলার চর দেওকান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে ভুট্টো (৩৫) ও একই জেলার হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল (বাগপাড়া) গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩৫)। 

আরো পড়ুন
বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে ক্রেতাদের দারুণ সাড়া

বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে ক্রেতাদের দারুণ সাড়া

 

কাপাসিয়া থানার এসআই হাসানুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার ও মাল উদ্ধার করা হয়। ওই সময় জব্দ করা হয় ডাকাতিতে ব্যবহৃত দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র।

কাপাসিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই ছয়জনই আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য।

তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় চুরি-ডাকাতির অপরাধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার করা মোকলেছ ওরফে মোকলে ছাড়া বাকি পাঁচজন বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুর বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’

তিনি জানান, এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে কাপাসিয়ার সুলতানপুর এলাকায় ঢাকা-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ফেলে মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে ডাকাতি করে দলটি। ওই ডাকাতির ঘটনায় মাইক্রোবাসটির যাত্রী কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল (বাঘপাড়া) গ্রামের আবুল কাশেম বাদী হয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি কাপাসিয়া থানায় মামলা করেন।

কাপাসিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারিক আরো জানান, ডাকাতির মামলাটি ছিল ক্লুলেস। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমসহ ধারাবাহিক তৎপরতায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে পুলিশ অভিযান চালান।

মন্তব্য

বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট আর থাকবে না : ধর্ম উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট আর থাকবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনকে কেন্দ্র করে বিমানের টিকিটে সিন্ডিকেট আর থাকবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

তিনি বলেন, সিন্ডিকেট করে গ্রুপ টিকিট বুকিং করে অতিরিক্ত দামে বিক্রিরও সুযোগ নেই। এখন থেকে টিকিট বুক করতে হবে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিন দিনের মধ্যে টিকিট ইস্যু না করলে এটা অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে। গ্রুপ টিকিট বুকিং করে দ্বিগুণ, তিনগুণ দাম বাড়িয়ে দিবেন এটা আর হবে না। এক্ষেত্রে একটা নীতিমালা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালিদ হোসেন।

এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সারা দেশে ইতোমধ্যে সাড়ে তিনশো মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এসব মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ নিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সরকার মডেল মসজিদ নির্মাণ নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মডেল মসজিদ নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতি প্রমাণ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, কক্সবাজারে সম্প্রীতির একটা আবহ বিরাজ করে আসছে বহুদিন ধরে।

এখানে সাম্প্রদায়িক কোনো নৈরাজ্য, কোনো ভুল বুঝাবুঝি নেই। তাই, এই মসজিদের মাধ্যমে একটা ভ্রাতৃত্বের পয়গাম কক্সবাজারের ছড়িয়ে পড়বে। 

তিনি আরো বলেন, মসজিদটিতে বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞ রয়েছে। এখানে একসঙ্গে ১১শত পুরুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। মহিলা ও শারীরিক, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্যও আলাদাভাবে অজুখানা ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

 

এছাড়াও গাড়ি পার্কিং, মৃত গোসলের ব্যবস্থা, কনফারেন্স রুম, অডিটোরিয়াম, কোরআন শিক্ষা ব্যবস্থা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস, পাঠাগার, ইমাম প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, সারা দেশে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছে সরকার। ইতোমধ্যে, সাড়ে তিনশ মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ