রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের পাঁচ সহযোগীর ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এর মধ্যে ক্রসবোড করপোরেশন লিমিটেডের পরিচলক অমল কৃষ্ণ দাসের ১২টি, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সিমটেক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমানের ১১টি, পরিচালক মাহফুজা রহমান বেলীর চারটি, পরিচালক এহসান আলী শেখের দুটি ও পরিচালক হাফিজা খানমের দুটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, পি কে হালদার ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড কর্তৃক ক্রসবোড করপোরেশন লিমিটেডের নামে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ৬০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ মঞ্জুর করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে।
আবেদন আরো বলা হয়, ক্রসবোড করপোরেশন লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানের পরিচলকরা হচ্ছেন অমল কৃষ্ণ দাস, মশিউর রহমান ও সাকিব আহমেদ।
তারা এসব অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হয়। একইভাবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড কর্তৃক সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং সিমটেক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ১২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণসীমা মঞ্জুর করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে।
এই দুই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হচ্ছেন মো. সিদ্দিকুর রহমান, মাহফুজা রহমান বেলী, এহসান আলী শেখ ও হাফিজা খানম।
তারা এসব অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হয়েছে।
উল্লিখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব দ্রুত অবরুদ্ধ করা না হলে পরবর্তীতে জমাকৃত অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এজন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামের ব্যাংক হিসাবসমূহ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।