ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ফাইল ছবি

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘বাজারমূল্যের ওপর নির্ভর করে ৭০ থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানির বিপরীতে দেশে রপ্তানি সাধারণত বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা উদার বাণিজ্যের দিকে যেতে চাই কারণ, আমরা শুধু রপ্তানিকে সমর্থন করতে চাই না, আমরা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে আমদানি করতে চাই। কারণ আমাদের আমদানি একটি বাস্তবতা।’

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাণিজ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘দেশে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যের পরিমাণ এত বেশি যে সরকার কিভাবে এটি অব্যাহত রাখবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমাদের শুল্ক কাঠামো, কাস্টমস ডিউটি ঢেলে সাজাতে হবে এবং বিনিয়োগ সহজতর করতে হবে। কারণ অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানের অফুরন্ত সুযোগ সৃষ্টির একমাত্র উপায় হচ্ছে স্থানীয় বিনিয়োগ ও এফডিআই।’

তিনি আরো বলেন, ‘এফটিএ, পিটিএ, ইপিএ এবং সিইপিএ-তে সব সমস্যা মোকাবেলা করার সময় আমরা কিভাবে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারি তা নিয়ে কাজ করছি।

এই বিষয়গুলোকে তাত্ত্বিকভাবে উপলব্ধি করে এবং অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে পূর্ণ মাত্রায় উপলব্ধি করে এবং একই সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্যের পথ ও প্রবণতার পরিবর্তনকে উপলব্ধি করে বশির বলেন, ‘সরকার পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।’

‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত কয়েক বছরে কোনো চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনা ছিল না। এমনকি ন্যূনতম দায়িত্বের কোনো জায়গাও ছিল না। কিন্তু এখন যখন আমরা ২০২৬ সালে উদার অর্থনীতির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, তখন স্থানীয় বিনিয়োগ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের এলডিসি উত্তরণের ক্ষেত্রে বাণিজ্য উদ্যোগে যাতে ঘাটতি দেখা না দেয় সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারি আমাদের পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছি, যাতে আমাদের মসৃণ উত্তরণ কৌশল (এসটিএস) বাণিজ্য উদ্যোগ ও সক্ষমতায় ঘাটতি না হয়। সার্বিকভাবে সংশ্লিষ্ট সব দিক সামনে রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এফটিএ উইং, ডব্লিউটিও উইং এবং রপ্তানি উইং সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয় বোঝার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার, অর্থনীতিবিদ ও থিংক ট্যাংকের সঙ্গে আলোচনা, কোরিয়া ও জাপান সফর এবং তাদের বাণিজ্য উপদেষ্টাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এফটিএ এবং পিটিএর মতো চুক্তির বিষয়ে আলোচনা খুব সহজ নয়, কারণ এগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ জড়িত।’

শেখ বশিরউদ্দীন অবশ্য বলেছেন, ‘গত পাঁচ বছরে যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল, তা তারা করছেন। কিন্তু সেই সময় একেবারেই নষ্ট হয়েছে এবং অর্থনীতি সংকটে পড়তে বাধ্য হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বাণিজ্য উদারীকরণ করি, তাহলে আমাদের সংবেদনশীলভাবে স্থানীয় বিনিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করার পাশাপাশি পরিণতির কথা বিবেচনা না করে কিছু না করার বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘২০২৬ সালের নভেম্বরে দেশের এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা হারাবে।’

তিনি বলেন, ‘আগে আমরা পাঁচ বছর সময় পেয়েছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সেই সময়টা নষ্ট করেছি।’

২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)। যা ১ জুলাই ২০২২ তারিখে কার্যকর হয়। বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ কেবল কাগজে-কলমে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি যদি বলি এটা একেবারেই ভুয়া ছিল, তাহলে ভুল হবে না। কারণ এরপর ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ কমে গিয়েছিল এবং পিটিএ শিরোনাম ছাড়া তাতে নতুন কিছু ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘এটি একই শুল্ক কাঠামোতে একটি পিটিএ শিরোনাম দিয়ে করা হয়েছিল।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘পরবর্তীকালে তারা যখন সরকারের দায়িত্ব নেয়, তখন পিটিএ এবং এফটিএ মোকাবেলা করা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে ক্রেতাদের দারুণ সাড়া

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে ক্রেতাদের দারুণ সাড়া
ছবি: কালের কণ্ঠ

একই ছাদের নিচে সকল সেবা মেলায় দুই সপ্তাহেই ক্রেতাদের নজর কেড়েছে বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটটি। বিশেষ করে ফ্রেশ বড় মাছ থেকে, গরুর মাংস ও জীবিত মুরগি মেলায় খুশি ক্রেতারা । অন্যান্য সুপারশপে জীবিত মুরগি না মিললেও আপন ফ্যামিলি মার্টের এই আউটলেটে ক্রেতারা জীবিত মুরগি কিনতে পারছেন। এই বিষয়টির প্রশংসা করছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘সি’ ব্লকের উম্মে কুলসুম রোডের (প্লট: ৫৬/এ) আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা নিজের ইচ্ছেমতো দেশি, ব্রয়লার, পাকিস্তানি জীবিত মুরগি কেনার জন্য ভিড় করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সুন্দর পরিবেশে তা সরবরাহ করছেন আউটলেটের বিক্রয়কর্মীরা। এ ছাড়াও জীবিত হাঁস, কবুতর ও কোয়েল পাখিও মিলছে। মুরগির পাশাপাশি হাঁসেও আগ্রহ দেখা গেছে ক্রেতাদের।

অনেককেই দেশি হাঁস কিনতে দেখা গেছে।

ছবি: কালের কণ্ঠ

বিষয়টি সম্পর্কে নাজমুল হাসান নামের এক ক্রেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সুপারশপগুলোতে মুরগি মাংস মিললেও জীবিত মুরগি রাখা হয় না। এতে প্রসেস করা মাংস কিনতে হয়। কিন্তু এই আউটলেটে জীবিত মুরগি পাওয়া যাচ্ছে।

এটি আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। কারণ দেখে শুনে দেশি মুরগি কেনার মধ্যে এক ধরনের মানসিক শান্তি কাজ করে। সবকিছু মিলে আমার কাছে এই আউটলেটটি চমৎকার লেগেছে।’

জানা গেছে, এই আউটলেটে আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) উদ্বোধন হচ্ছে একটি ক্যাফে বার। কেনাকাটার পর যেখানে ক্রেতারা বসে কফি, চাসহ বিভিন্ন সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়াও চালু হচ্ছে একটি পোশাকের স্টল। এর পাশাপাশি আগে থেকেই মিলছে মাছ-মাংস, শাক-সবজি, ফল-মূল, চাল-ডালসহ প্রয়োজনীয় সকল নিত্যপণ্য। এ ছাড়া রয়েছে মেডিক্যাল কর্নার, যেখানে মিলছে প্রয়োজনীয় ওষুধ। পাশাপাশি রয়েছে মোবাইল শপ, নারী-পুরুষের ত্বকের যত্ন ও রূপচর্চায় প্রসাধনী, বিভিন্ন ডিনার সেটসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই। দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত এবং ইফতারের পরে ক্রেতাদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটে বাজার করার অভিজ্ঞতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নুসরাত বলেন, ‘এখানকার প্রসাধনী সামগ্রীর অনেকগুলো বিদেশ থেকে আনা। যা পেতে আগে দূরে যেতে হত। কিন্তু এখন তা হাতের কাছেই পাচ্ছি। কারণ আমি এই আউটলেটের পাশেই থাকি। সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে, একই সঙ্গে বাজার, ওষুধ, পোশাকসহ সব সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এই সেবাগুলো একসঙ্গে পাওয়া যায় না। এ ছাড়াও আউটলেটটি অনেক জায়গাজুড়ে হওয়ায় কেনাকাটা করায় স্বস্তি মিলছে। সবমিলে পরিবেশ খুবই ভালো।’ 

সামগ্রিক বিষয়ে আউটলেটটির ফ্লোর অপারেশন ম্যানেজার এম ডি লোকমান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে জীবিত হাঁস-মুরগি রাখা হচ্ছে। বিষয়টি অনেক চ্যালেঞ্জিং হওয়া সত্ত্বেও ক্রেতাদের সুবিধার্থে আমরা এটি করতেছি। এতে আমরা ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। এ ছাড়া সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস আমরা নিজেরাই প্রসেসিং করি। গরু কিনে আমাদের তত্ত্বাবধানে জবাই করার পর আমরা তা সরবরাহ করছি। তাই ক্রেতাদের আগ্রহ এখন পর্যন্ত এই প্রোডাক্টগুলোতে বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

এর বাইরে প্রসাধনী সামগ্রী, মেডিক্যাল কর্নার, বিভিন্ন ডিনার সেটে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের। যতই দিন যাচ্ছে ততই ক্রেতা সংখ্যা বাড়ছে, আমরা পজেটিভ সাড়া পাচ্ছি। অনেক জায়গাজুড়ে সুপারশপটি হওয়ায় ক্রেতারা প্রশংসা করছেন। কারণ অনেক স্বস্তি নিয়ে তারা কেনাকাটা করতে পারছেন। আমরা আরো কিছু পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছি। আমাদের মূল লক্ষ্য ক্রেতাদের মানসম্মত সেবা দেওয়া।’

জানা গেছে, গত ৬ মার্চ আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেটের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং পরিচালক ইয়াশা সোবহান। এসময় মাশাল্লাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান হাজি জহির রায়হান অতিথিদের স্বাগত জানান।

আপন ফ্যামিলি মার্টের অপারেশন বিভাগের প্রধান রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সুপারশপে ৪৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গাজুড়ে ২২ হাজারেরও বেশি পণ্য পাওয়া যাবে।’

মন্তব্য

এলএনজি আনতে ৪২৭০ কোটি ঋণ নিচ্ছে সরকার, গ্যারান্টার বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
এলএনজি আনতে ৪২৭০ কোটি ঋণ নিচ্ছে সরকার, গ্যারান্টার বিশ্বব্যাংক
সংগৃহীত ছবি

ধারাবাহিকভাবে কমছে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন। গ্যাসের চাহিদা পূরণে বাড়ানো হচ্চে উচ্চমূল্যে আমদানীকৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ। কিন্তু ডলারসংকটের কারণে সরকার চাইলেও বাড়তি এলএনজি আমদানি করতে পারছে না। এতে গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহে বড় ঘাটতি থাকছে।

এ অবস্থায় সরকার আগামী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) এলএনজি কিনতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঋণ নিচ্ছে। ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার বা চার হাজার ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ঋণ দিতে আগ্রহী ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে আগ্রহপত্র আহ্বান করে শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় ঋণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এতে গ্যারান্টার (নিশ্চয়তাদানকারী) হিসেবে থাকবে বিশ্বব্যাংক। আগ্রহী ব্যাংকগুলোর প্রস্তাব নিয়ে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করবে জ্বালানি বিভাগ।

ডলারের সংকট থাকায় এলএনজি আমদানি বিল নিয়মিত পরিশোধ করা যাচ্ছে না। এখনো এলএনজি বিল বকেয়া ২০ কোটি ডলারের বেশি।

বিল বকেয়া বাড়তে থাকায় এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী হচ্ছে না বিদেশি কম্পানি। ঋণসহায়তা পেলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা। 

২০১৮ সালের পর থেকে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমতে থাকে। ঘাটতি পূরণে এলএনজি আমদানির দিকে ঝুঁকেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। গত বছরও দিনে গ্যাস উৎপাদিত হতো ২০০ থেকে ২১০ কোটি ঘনফুট।

উৎপাদন কমে এখন ১৯০ কোটি ঘনফুটের নিচে নেমে এসেছে। আর আমদানি করা এলএনজি থেকে এখন সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ৯৫ কোটি ঘনফুট।

এলএনজি আমদানি করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল)। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতারের রাস গ্যাস ও ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল থেকে এলএনজি আনছে আরপিজিসিএল। ২০১৮ সালের এপ্রিলে দেশে প্রথম এলএনজি কার্গো (জাহাজ) আসে কাতার থেকে।

আর ওমান থেকে প্রথম সরবরাহ আসে ২০১৯ সালে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত এলএনজি আমদানির পেছনে খরচ হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। চড়া দামের এলএনজি কিনতে গিয়ে চাপে পড়েছে জ্বালানি খাত। এর আগে এলএনজি কিনতে বিভিন্ন সময় ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) থেকে স্বল্প মেয়াদে ঋণ নিয়েছে সরকার।

এদিকে এলএনজি বিলের মতো ডলারসংকটে দেশে সর্বোচ্চ গ্যাস উৎপাদনকারী মার্কিন কম্পানি শেভরনের বিলও নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না পেট্রোবাংলা। শেভরন গ্যাস বিল বাবদ পাবে ১৫ কোটি ডলারের বেশি। গ্যাস বিলের মতো ডলারসংকটে বিদ্যুৎ বিলও পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এদিকে এলএনজি আমদানির লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চলতি অর্থবছরের বাকি চার মাসের জন্য চাহিদা আছে ৫০০ কোটি ডলারের। এটি এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। বকেয়া পরিশোধে হিমশিম খেয়ে এখন বহুজাতিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বকেয়া থাকার কারণে ভালো কম্পানি এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী হচ্ছে না। চাহিদা পূরণে আমদানি বাড়াতে হচ্ছে।

তাই বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঋণ নেওয়া হচ্ছে। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঋণ নেওয়ায় সুদের হার বেশি হবে না। এ ছাড়া এলএনজি কেনার খরচ কমাতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাড়ানো হবে। ব্রুনেই ও সৌদি আরামকোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।

মন্তব্য

ব্যাংক কর্মকর্তাদের চলতি মাসের বেতন-ভাতা ২৩ মার্চ দেওয়ার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ব্যাংক কর্মকর্তাদের চলতি মাসের বেতন-ভাতা ২৩ মার্চ দেওয়ার নির্দেশ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যাংকগুলোর কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ২৩ মার্চে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত পেনশনধারীদের ভাতা একই দিনে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে, আগামী ৩১ মার্চ বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর পালিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ঈদ উপলক্ষে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী (গেজেটেড ও নন-গেজেটেড), সামরিক বাহিনীর কমিশন্ড ও নন-কমিশন্ড কর্মকর্তাদের মার্চ মাসের বেতন-ভাতা ২৩ মার্চে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। অবসরপ্রাপ্ত পেনশনাররাও একই দিনে তাঁদের অবসরের ভাতা পাবেন।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩ এপ্রিলও ছুটি থাকবে। ফলে এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় ব্যাংকও বন্ধ থাকবে, তবে কিছু শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখা হতে পারে।

মন্তব্য

ঈদ ঘিরে রেমিট্যান্সে সুবাতাস, মার্চের ১৯ দিনে এলো ২২৫ কোটি ডলার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদ ঘিরে রেমিট্যান্সে সুবাতাস, মার্চের ১৯ দিনে এলো ২২৫ কোটি ডলার

মার্চের প্রথম ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। গত বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৮.৪ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

দেশীয় মুদ্রায় রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৭ হাজার ৪৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৮.৪ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে দেশে স্বজনদের কাছে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে বাড়ছে প্রবাস আয়ের প্রবাহ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আসতে পারে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ