<p>দেশের ব্যাংকগুলোকে ১২৩ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয় না কেনার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মৌখিকভাবে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ডলারের দর আরো তিন টাকা বেড়েছে। এত দিন ডলারের আনুষ্ঠানিক দর ছিল ১২০ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকের একাধিক ট্রেজারি প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>দেশে গত দুই বছর ডলারের বাজারে অস্থিরতা ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত চার মাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। গত সপ্তাহে হঠাৎ ডলারের বাজার অস্থির হতে শুরু করে। কিছু ব্যাংক ১২৬-১২৭ টাকায় ডলার কিনেছিল। যদিও রেমিট্যান্স কেনার সর্বোচ্চ রেট ছিল ১২০ টাকা। </p> <p>ব্যাংকাররা জানান, ডিসেম্বরের শুরুতে পুরনো আমদানি দায় পরিশোধে সরকারি কয়েকটি ও বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংক বেশি দামে প্রবাস আয়ের ডলার কিনতে শুরু করে। এতে অন্য ব্যাংকগুলোও বেশি দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়। ফলে হঠাৎই ডলারের দাম বেড়ে যায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দক্ষিণে কমবে শীত, বাড়বে উত্তরে" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/24/1735054836-f7d6a906778715c935f920f361fd7398.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দক্ষিণে কমবে শীত, বাড়বে উত্তরে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/24/1460931" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তবে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে হঠাৎ বেশি দামে ডলার কেনায় ১৩টি ব্যাংককে চিহ্নিত করে। সম্প্রতি তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাখ্যা চাওয়ার তালিকায় রাষ্ট্রীয় মালিকানার দুটি এবং বেসরকারি খাতের ১১টি ব্যাংক ছিল। এরপর ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স দর কমিয়ে আনে। গত দুদিন মার্কেট ভালো থাকার কারণে রেমিট্যান্সের দামও আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে।</p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি এক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ‘আমাদের অনেক পেমেন্টের মেয়াদ ডিসেম্বর করা হয়েছিল। তাই এই মাসে ডলারের চাহিদা বেশি। ব্যাংকগুলো পেমেন্ট যথাসময়ে পরিশোধের জন্য বাড়তি দামে রেমিট্যান্স কিনেছিল। তবে এখন বাংলাদেশ ব্যাংক ১২৩ টাকায় রেমিট্যান্স কেনার জন্য মৌখিকভাবে জানিয়েছে। পেমেন্টের চাপ থাকার কারণে ডলার রেট বাড়ানো হয়েছে।</p>