<p style="text-align:justify">চাঁদপুর জেলার হরিণাঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে এম ডি আল বাখেরা জাহাজে ডাকাতের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজনের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের চর যশোবন্তপুর ও পলাশবাড়িয়া গ্রামে।</p> <p style="text-align:justify">নিহতরা হলেন পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের পলাশবাড়িয়া গ্রামের দাউদ মোল্যার ছেলে সজিবুল ইসলাম, চর যশোবন্তপুর গ্রামের আনিস মোল্যার ছেলে মাজেদুল ইসলাম। তাদের নিহত হওয়ার খবরে নিজ বাড়িসহ গোটা এলাকায় চলছে মাতম।</p> <p style="text-align:justify">খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভাব-অনটনের সংসারে সচ্ছলতা আনতে জাহাজে চাকরি নিয়েছিলেন সজিবুল ইসলাম (২৪) ও একই উপজেলার মাজেদুল ইসলাম (১৮)।</p> <p style="text-align:justify">নিহত মাজেদুলের চাচা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আর্থিক অনটন থাকায় পরিবারের হাল ধরতে ১০ দিন আগে জাহাজে চাকরি নিয়েছিল মাজেদুল। মেঘনা নদীতে জাহাজের কেবিনে তার শ্বাসনালি কেটে হত্যা করা হয়েছে। কিভাবে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা আমরা জানি না। তবে যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের ফাঁসি চাই।’</p> <p style="text-align:justify">একই উপজেলার নিহত সজিবুল ইসলামের চাচাতো ভাই ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অত্যন্ত অভাবের মধ্যে বড় হয়েছে সজিবুল। কৃষি কাজ করে সংসার চালাতেন বাবা দাউদ মোল্ল্যা। সংসারের সচ্ছলতা আনতে তিন ভাইয়ের মধ্যে সজিবুলসহ দুই ভাই জাহাজে চাকরি নিয়েছে। তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই।’</p> <p style="text-align:justify">পলাশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুজ্জামান বলেন, ‘মেঘনা নদীতে জাহাজে হত্যাকাণ্ডের অনেকের সঙ্গে আমার প্রিয় ছাত্র সজিবুল ইসলাম ছিল। পারিবারিক আর্থিক অনটন থাকায় লেখাপড়ায় বেশি দূর যেতে পারেনি। তাকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত বিচারের দাবি করছি।’</p> <p style="text-align:justify">মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, ‘মেঘনা নদীতে মাঝেরচর এলাকায় একটি জাহাজে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মহম্মদপুরের দুজন নিহত হয়েছে। মরদেহ দুটি মহম্মদপুর এলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’</p>