পিলখানার বিস্ফোরক মামলা

প্রায় ২৫০ সাবেক বিডিআর সদস্যের জামিন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রায় ২৫০ সাবেক বিডিআর সদস্যের জামিন
ফাইল ছবি

রাজধানীর পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিন পেলেন দুই শতাধিক আসামি। ১৫ বছর পর তারা প্রথমবারের মতো জামিন পেলেন।

আজ রবিবার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন খান বলেন, যারা আগের মামলায় (হত্যা মামলা) খালাসপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের পরে আপিল নাই তারা আজকে জামিন পেয়েছেন।

এ ছাড়া ৩০ জন যাদের নাম বিস্ফোরক মামলার চার্জশিটে ছিল তাদেরকে বাদ দিয়ে বাকিদের জামিনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আরো পড়ুন
স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা

স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা

 

আসামিদের একজন আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বলেছেন, হত্যা মামলায় যারা নিম্ন আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন এবং যাদের ক্ষেত্রে সেই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেনি এবং তাদের হাইকোর্ট পর্যন্ত আর কোনো সাজা নেই, তাদের জামিন দিয়েছেন আদালত।

এই সংখ্যা প্রায় ২৫০ হতে পারে বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ধারণা দিয়েছেন। যাদের জামিন দেওয়া হয়েছে, সঠিকভাবে তাদের তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে জামিনের ব্যবস্থা করার জন্য দুই দিন সময় লাগবে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

পরবর্তী শুনানির জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ২০০৯ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রবিবার কেরানীগঞ্জের আদালতে শুনানির পর জামিনের এই আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি মামলার শুনানির কথা থাকলেও আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে সেদিন শুনানি স্থগিত করেছিলেন আদালত। এরপর স্থান পরিবর্তন করে সেটি কেরানীগঞ্জে নির্ধারণ করা হয়।

২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিচার শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশে গালি দেওয়ার শাস্তি কী?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশে গালি দেওয়ার শাস্তি কী?
ছবি : চ্যাটজিপিটি

কাউকে ‘গালি’ দেওয়া যাবে কিনা, বাংলাদেশের আইনে এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলা নেই। তবে ‘কেউ মানহানিকর শব্দ ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা যায়’ বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

কিন্তু কোন ধরনের বক্তব্য মানহানিকর, আইনে তা খুব সীমিতভাবে বলা আছে। এক্ষেত্রে ‘কোন শব্দটা মানহানির, তা সমাজের প্রথা হিসাবে ধরে নিতে হবে’ বলে জানান এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, ‘মানহানিকর বলতে এর আওতায় গালি দেওয়ার বিষয়কেও আনা যায়। আইনে গালি শব্দটা বলা নেই।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘আইনে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। বরং, কাউকে গালি দিয়ে অপমান করা আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মানহানির মামলাগুলো ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারা অনুযায়ী পরিচালিত হয়। দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারামতে, কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কোনো ব্যক্তির খ্যাতি বা সুনাম নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক শব্দাবলি বা চিহ্নাদি বা দৃশ্যমান প্রতীকের সাহায্যে নিন্দা প্রণয়ন বা প্রকাশ করে, তাহলে তাতে ওই ব্যক্তির মানহানি হয়েছে মর্মে গণ্য হবে। মৃত ব্যক্তিরও খ্যাতি বা সুনাম নষ্ট হয়, এমন কোনো বক্তব্য দিলেও এই ধারায় মানহানির মামলা হতে পারে।

দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির ক্ষেত্রে দুই বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদে বিনা শ্রম কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার কথাও বলা আছে।

এছাড়া, অনলাইনে যদি মানহানিকর বক্তব্য দেয়, তার জন্যও আইনি বিধান আছে।

চলতি বছর পাস হওয়া ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’-এর ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তাহলে তা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসাবে ধরা হবে এবং এ জন্য তিনি অনধিক ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ আইনে মানহানির মামলায় কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়নি।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিচারে বিলম্ব দূর করার চেষ্টা করছে সরকার : আইন উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিচারে বিলম্ব দূর করার চেষ্টা করছে সরকার : আইন উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

বিচারের ক্ষেত্রে বিলম্বের যে কারণগুলো, সেগুলো দূর করার চেষ্টা করছে সরকার বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। শুক্রবার (১৪ মার্চ) দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। 

সাক্ষাৎকারে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করা আট বছরের শিশু আছিয়ার বিচারের প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি। 

আরো পড়ুন

কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

 

এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, তাড়াহুড়া করে মামলা নিষ্পত্তি হলে অবিচার হতে পারে, অপপ্রয়োগ হতে পারে, এই আশঙ্কা তো সব সময়ই থাকে।

আমাদের বিদ্যমান আইনে থাকা ১৮০ দিনকে কমিয়ে আমি ৯০ দিন করার কথা বলেছি। ১৮০ দিনও অনেকের কাছে মনে হবে তাড়াহুড়া। 

এটা করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরো কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছি। শুধু বিচারের সময় কমিয়ে দিলাম, সেটা নয়; বিচারের ক্ষেত্রে বিলম্বের যে কারণগুলো, সেগুলো আমরা দূর করার চেষ্টা করছি।

আইনে এ ধরনের কিছু বিধানও রাখা হয়েছে। এরপর যদি দেখা যায় অসুবিধা হচ্ছে, তখন আমরা অন্য চিন্তা করব।

মাগুরার শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, মাগুরায় যে ঘটনা ঘটেছে, সেটার কী ব্যাখ্যা আছে, আমি জানি না। কিভাবে মানুষ এত পাশবিক, নির্মম, অমানবিক, উন্মত্ত হয়ে যায়, এটার কোনো ব্যাখ্যা আমার জানা নেই।

তবে কয়েক বছর ধরে আমার মনে হচ্ছে যে আমাদের সমাজে পর্নোগ্রাফির ব্যাপক বিস্তার ঘটছে। বিশেষ করে অনলাইনে এটা খুব সহজলভ্য হয়ে গেছে।

আরো পড়ুন

৬ মাস পর ফ্রান্স দলে এমবাপ্পে

৬ মাস পর ফ্রান্স দলে এমবাপ্পে

 

দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন টেলিভিশনে যে সিরিয়াল দেখানো হয়, বিশেষ করে ভারতীয় সিরিয়াল, সেখানে অত্যন্ত অনৈতিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে অনেক গল্প দেখানো হয়। এগুলোর একটা প্রভাব থাকতে পারে। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে।

সেটারও প্রভাব থাকতে পারে। 

সব কিছু মিলিয়ে একটা ভয়াবহ অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে যত পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট আছে, সেগুলো বন্ধ করার জোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে শুক্রবার (আজ) থেকে।

আরেকটি প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক তো থাকবেই। কিন্তু আমরা আইনে বলছি, যদি পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য, ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে বিচারের যথেষ্ট পরিমাণ উপাদান থাকলে বিচারক যদি মনে করেন এটা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট (যথাযথ), বিচারক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সাধারণভাবে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে। 

কিন্তু বিচারক যদি মনে করেন যে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়াই সম্ভব, তাহলে আমরা এটা বিচারিক বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিচ্ছি। মনে রাখতে হবে, ধর্ষণ অপরাধটা বাংলাদেশে বা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় দুই শ-আড়াই শ বছর আগে সংজ্ঞায়িত হয়েছে। সে সময় কি ডিএনএ পরীক্ষা ছিল? তাহলে ওই সময় বিচার হতো কিভাবে? তারপরও আমরা দেখব, যদি এটার অপপ্রয়োগ হয়, আপিল আদালত তো রইলই।

আরো পড়ুন

বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেট: বিভিন্ন পণ্যে ছাড়, খুশি ক্রেতারা

বসুন্ধরায় আপন ফ্যামিলি মার্টের দ্বিতীয় আউটলেট : বিভিন্ন পণ্যে ছাড়, খুশি ক্রেতারা

 

ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তের জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দিনাজপুরে যে জামিনের কথা বলছেন, সেই জামিন হাইকোর্ট থেকে হয়েছিল। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে আপিল করেছি। আপিল বিভাগে এই জামিনটা বাতিল হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবিত আইনে জামিনের বিধান দেওয়া হচ্ছে না। 

খসড়ায় বলা আছে, জামিন দেওয়া হবে, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর বিচারক বিবেচনা করে দেখবেন, যিনি জামিন পাচ্ছেন, তিনি বিচারকার্যে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি করছেন কি না বা ভুক্তভোগীর প্রতি কোনো ভীতিপ্রদ আচরণ করছেন কি না। যদি দেখেন, তাহলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর বাধ্যতামূলকভাবে এটা পরীক্ষা করে দেখে জামিন বাতিল করে দিতে পারবেন।

সম্প্রতি আছিয়ার ধর্ষণ ও মৃত্যুকে ঘিরে সারা দেশ ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন-বিক্ষোভ বেশ সোচ্চার হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার চেয়ে যাঁরা মাঠে নেমেছেন, তাঁদের ক্ষোভ, কষ্ট ও বেদনা আমরা বুঝতে পারি। কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে হবে, ধর্ষণ কিন্তু ব্যক্তি ও পারিবারিক ক্ষেত্রের একটা অপরাধ। ধর্ষণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের একটাই দায় হতে পারে, রাষ্ট্র যদি গ্রেপ্তার ও বিচার না করে। 

আরো পড়ুন

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা, ৬ পুলিশ সদস্যসহ আহত ৭

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা, ৬ পুলিশ সদস্যসহ আহত ৭

 

গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে সরকার তৎপর আছে। মাগুরার ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অত্যন্ত বেদনা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা দেখলাম, আজকে (বৃহস্পতিবার) মাগুরার শিশুটি মারা গেছে। আজকেই আমরা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন করেছি। 

গ্রেপ্তারকৃতদের পরের দিনই ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। আমি তো কোথাও গাফিলতি দেখছি না। সে ক্ষেত্রে যাঁরা রাস্তায় আন্দোলন করছেন, তাঁদের একটু বুঝতে হবে যে দাবিটা কী। দাবিটা হচ্ছে গ্রেপ্তার, বিচার ও আইনের উপযুক্ত সংশোধন। সবগুলোই তো আমরা করছি। তাঁরা যদি সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আন্দোলন করে থাকেন, ফাইন। তাঁদের যৌক্তিক আরো কোনো দাবি থাকলে সেগুলো আমরা অবশ্যই শুনব।

মন্তব্য

বাংলাদেশ ব্যাংকে শরিয়াহ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করতে হাইকোর্টের রুল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশ ব্যাংকে শরিয়াহ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করতে হাইকোর্টের রুল

বাংলাদেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বতন্ত্র ইসলামিক ডিপার্টমেন্ট ও শরিয়াহ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসানের জনস্বার্থে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসাইনের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী মাহমুদুল হাসান নিজেই শুনানি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বতন্ত্র শরিয়াহ বোর্ড প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আইনজীবী মাহমুদুল হাসান বলেন, বাংলাদেশের দুই ধরনের ব্যাংকিং সিস্টেম চালু আছে। সুদ ভিত্তিক এবং ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক।

বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনগণ তাদের ধর্ম পালনের অংশ হিসেবে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে লেনদেন করে থাকেন। ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো ইসলামী বিভাগ নেই। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বতন্ত্র ইসলামিক ডিপার্টমেন্ট ও শরিয়াহ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করতে রিট করেছি।

 

মন্তব্য

মাইকেল চাকমাকে সাত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মাইকেল চাকমাকে সাত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে নির্দেশ
সংগৃহীত ছবি

রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমাকে সাত দিনের পাসপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মাইকেল চাকমার রিটে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দুই দিন পর খোঁজ মেলে মাইকেল চাকমার।

এর আগে পাঁচ বছরের বেশি সময় তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তখন তার সংগঠন ও পরিবারের দাবি ছিল, তাকে গুম করা হয়েছে। ফিরে আসার পর তিনি নিজেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ৫ বছর ৩ মাস ২৭ দিন তাকে আলোচিত গোপন বন্দিশালা আয়নাঘরে আটক রাখা হয়েছিল।

আরো পড়ুন

৫৬০ মডেল মসজিদে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

৫৬০ মডেল মসজিদে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

 

মাইকেল চাকমার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘সম্প্রতি নিয়ম মেনে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন মাইকেল চাকমা। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে এসে রিট করেন। রিটে প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।

আদেশের অনুলিপি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট দিতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী (মাইকেল চাকমা) প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সরবরাহ করার পরও তাকে পাসপোর্ট দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মৌখিক অস্বীকৃতি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সেই সঙ্গে মাইকেল চাকমাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার পরিবার ও দলের অভিযোগ।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ অগাস্ট ভোরের দিকে চট্টগ্রামের একটি স্থানে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয় মাইকেল চাকমাকে। এরপর ১৮ ডিসেম্বর তিনি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে গুমের অভিযোগ দেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ