স্বরণ

সাবেক বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাবেক বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২২ সালের ১৯ মার্চ (আজকের এই দিনে) বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার পেমল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা তালুকদার রেসাত আহমদ ভূঁইয়া ছিলেন একজন খ্যাতনামা সমাজসেবক ও জনহিতৈষী ব্যক্তি।

 

আরো পড়ুন

অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর

অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর

 

সাহাবুদ্দীন আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে অর্থনীতিতে (সম্মান) স্নাতক এবং ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি লাহোর সিভিল সার্ভিস একাডেমি থেকে সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিষয়ে একটি বিশেষ কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।

ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এবং পরে গোপালগঞ্জ ও নাটোরের মহকুমা প্রশাসক পদে কিছুকাল চাকরির পর শাহাবুদ্দিন আহমদ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে তাকে বিচার বিভাগে বদলি করা হয় এবং প্রশাসনের নির্বাহী বিভাগে তার চাকরির সমাপ্তি ঘটে। তিনি ঢাকা ও বরিশালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরো পড়ুন

সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা

সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা

 

১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার নিযুক্ত হন। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ২০ জানুয়ারি তাকে বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারক পদে উন্নীত করা হয়।

তিনি প্রেষণে নিযুক্ত হয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে প্রত্যাবর্তন করেন।

১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ৭ ফেব্রুয়ারি সাহাবুদ্দীন আহমদকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করা হয়। বিচারপতি হিসেবে তার দেওয়া বহুসংখ্যক রায় ঢাকা ল’ রিপোর্টস্, বাংলাদেশ লিগ্যাল ডেসিশন্স এবং বাংলাদেশ কেইস রিপোর্টস্-এ প্রকাশিত হয়। চাকরিসংক্রান্ত বিষয়, নির্বাচনী বিরোধ এবং শ্রমিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক বিষয়ে তার কিছু রায় উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করে।

 

আরো পড়ুন

জমিতে সেচের পানি দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ১০

জমিতে সেচের পানি দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ১০

 

বাংলাদেশ সংবিধানের ৮ম সংশোধনীর ওপর তার প্রদত্ত রায় দেশের শাসনতান্ত্রিক বিকাশের ক্ষেত্রে এক অনন্য ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত। এখানে তিনি অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে নিজস্ব ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা, গোষ্ঠী শাসন প্রতিষ্ঠা, মৌলিক মানবাধিকার খর্ব করা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, জনগণের সার্বভৌমত্বের বিরোধিতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অস্বীকৃতি এবং আইনের শাসনের পরিবর্তে আদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধান রহিত করার প্রবণতার জন্য তৃতীয় বিশ্বের একনায়ক শাসকদের সমালোচনা করেছেন। 

বিচার বিভাগে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ও ছুটির ক্ষেত্রে হাইকোর্টের চিরাচরিত ক্ষমতা খর্ব করা এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক নিম্ন আদালতসমূহ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি বর্ষণের ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন। ওই ঘটনায় কয়েকজন ছাত্র নিহত এবং বহু ছাত্র আহত হয়। কিন্তু ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হলেও তৎকালীন সরকার কর্তৃক এই তদন্ত প্রতিবেদন কখনোই সাধারণ্যে প্রকাশ করা হয় নি।

তিনি ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার রিপোর্টের ভিত্তিতে উচ্চতর হারে বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হয়। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট থেকে ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরো পড়ুন

তল্লাশি চালাতে ওঠা পুলিশ সদস্যকে নিয়ে গেল ডাকাতদল, অতঃপর...

তল্লাশি চালাতে ওঠা পুলিশ সদস্যকে নিয়ে গেল ডাকাতদল, অতঃপর...

 

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জানুয়ারি সাহাবুদ্দীন আহমদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। এ সময় স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে পরিচালিত গণআন্দোলনের ফলে দেশে এক শান্তিপূর্ণ বিপ্লব ঘটে। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমদ পদত্যাগ করেন এবং বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে উপরাষ্ট্রপতি নিয়োগ করা হয়। 

ওই দিনই রাষ্ট্রপতি এরশাদ পদত্যাগ করে নবনিযুক্ত উপরাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সরকার প্রধানের দায়িত্ব লাভ করেন। নিরপেক্ষ অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে তিনি ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করেন। 

সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বেশ কিছুসংখ্যক আইন সংশোধন করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতির নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির কার্যভার গ্রহণের পর শাহাবুদ্দিন আহমদ ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে সুপ্রিম কোর্টে ফিরে যান। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন
নদীতে ডাকাতিকালে শাহিন বাহিনীর ৫ সদস্য আটক

নদীতে ডাকাতিকালে শাহিন বাহিনীর ৫ সদস্য আটক

 

বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুলাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ অক্টোবর তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় অতিসীমিত ক্ষমতার অধিকারী হলেও রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার পাঁচ বছরের শাসনকালে রাষ্ট্রীয় সব বিষয়ে তার নিরপেক্ষ ভূমিকা এবং বিবেকবুদ্ধির জন্য তিনি দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের আপামর জনগণের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও প্রশংসা অর্জন করেন। 

২০২২ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মার্চ (আজকের এই দিনে) বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শেখ হাসিনা-রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনা-রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর সরকারি আলীয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ হাসিনাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালতে এম এ হাশেম রাজু বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। 

এ সময় আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে এ ঘটনার শাহবাগ থানায় আর কোনো মামলা আছে কি না, আগামী সাত দিনের মধ্যে সেই সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। 

আরো পড়ুন
বাঘায় শাশুড়িকে হত্যা মামলায় জামাই গ্রেপ্তার

বাঘায় শাশুড়িকে হত্যা মামলায় জামাই গ্রেপ্তার

 

উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন— সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ ফজলে নুর তাপস, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মসিউর রহমান, ড. গওহর রিজভী, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, সুভাষ সিংহ রায়সহ প্রমুখ।

মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময়ে গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরিবাগ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌছান। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা ভুক্তভোগী ও তার সঙ্গীদের গতিপথ রোধ করে। আসামিরা ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরন করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিসের কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলিতে ভুক্তভোগীর ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ সময় তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে অজ্ঞাতনামা ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ সদস্যরা তাকে মারধর করতে থাকে। 

মন্তব্য

নাছিরের মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নাছিরের মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
সংগৃহীত ছবি

ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমিনের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালতে পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি সময়ের আবেদন করেন। একই সঙ্গে অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিভিশন দায়ের করেছেন বলে আদালতকে জানান। পরে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে নতুন দিন ধার্য করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারি পরীমনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে পরীমনির জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরদিন ২৭ জানুয়ারি পরীমনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।

এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাছির উদ্দিন মাহমুদ।

পরে একই বছরের ১৮ এপ্রিল আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে পরীমনিকে হাজির হতে সমন জারি করেন। পরে ওই বছরের ২৬ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান পরীমনি।

২০২৩ সালের ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমনিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তবে ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মেলেনি।

মন্তব্য

রণজিতের পরিবারের ৭৯ বিঘা জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ১৩৭ ব্যাংক হিসাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রণজিতের পরিবারের ৭৯ বিঘা জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ১৩৭ ব্যাংক হিসাব
সংগৃহীত ছবি

যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায় ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৭৯ বিঘা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১৩৭টি ব্যাংক হিসাবের ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭২ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

আরো পড়ুন
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম ৩ দি‌নের রিমান্ডে

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম ৩ দি‌নের রিমান্ডে

 

জব্দ স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, যশোর সদরে ১৩৫৬ বর্গফুটের ২টি ফ্ল্যাট ও যশোরের নিউ মার্কেটের পাশে ১২২৪ বর্গফুটের ২টি ফ্ল্যাট, চার ও তিন তলা ভবনের দুটি বাড়ি। যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ৬ হাজার ৬ বর্গফুটের নির্মাণাধীন ৬০টি দোকানসহ ৭৯ দশমিক ৬২ বিঘা জমি। এসব জমির মধ্যে রণজিত কুমারের রয়েছে, ৩১ দশমিক ৪৮ বিঘা, তার স্ত্রীর ১ দশমিক ৭৫ বিঘা ও তাদের সন্তানদের রয়েছে, ৪৬ দশমিক ৩৯ বিঘা জমি। এসব মোট দলিল মূল্য ১৭ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৫০ টাকা।

 

অবরুদ্ধ হওয়া অস্থাবর সম্পদের মধ্যে, রণজিত কুমারের ২৫ হিসাবে আছে, ৭১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৮ টাকা, তার স্ত্রীর ২১ হিসাবে আছে, ৬৫ লাখ ৮৫ হাজার ০৮৬ টাকা, তাদের সন্তান রাজীব কুমারের ৪৪ অ্যাকাউন্টে আছে, ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৬০২ টাকা, রাজীবের নিয়তি প্রপাইটরের ৬ হিসাবে আছে, ৯০ হাজার ৩০৫ টাকা, নিয়তি ট্রেডে আছে, ১৪ হাজার ৩০১ টাকা, রাজীবের স্ত্রী রিশিতা সাহার ২০টি হিসাবে আছে, ৪০ লাখ ৭ হাজার ৯৮৪ টাকা, রনজিতের ছেলে সজীব কুমারের ১২ হিসাবে আছে, ৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৪ টাকা, সজীবের স্ত্রী অনিন্দিতা মালাকার পিউর অ্যাকাউন্টে আছে, ২৭ লাখ ৫৭ হাজার ২৫২ টাকা।

মন্তব্য
ধর্ষণের পর হত্যা

মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বিচারক বললেন, তার বেঁচে থাকার অধিকার নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বিচারক বললেন, তার বেঁচে থাকার অধিকার নেই
ছবি : কালের কণ্ঠ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় দেন। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাস করাদণ্ডের আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

আরো পড়ুন
ঈদ উদযাপনে একগুচ্ছ নিরাপত্তা পরামর্শ পুলিশের

ঈদ উদযাপনে একগুচ্ছ নিরাপত্তা পরামর্শ পুলিশের

 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে আটক আসামি রফিকুলকে রায় ঘোষণার আগে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। তখন রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, রফিকুল ইসলাম ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর ভোর সোয়া ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইল দরবার শরীফ গলির জনৈক সামাদ ভূঁইয়ার টিনশেড, যা আসামির ভাড়া বাসা। ওই বাসায় ভিকটিম জারিয়া আক্তারকে দুই হাত, পা বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে মুখ বেঁধে, ঘাড় মটকিয়ে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করে।

যা প্রসিকিউশন পক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আসামি যেভাবে একটি ছোট নিরপরাধ শিশুকে নৃশংস ও পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে, তার এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার এবং পৃথিবীর আলো-বাতাস গ্রহণের কোনো অধিকার নেই। কারণ তার কাছে কোনো নারী ও শিশু নিরাপদ নয়। তাকে এই শাস্তির মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনাল সমাজের সবার মাঝে এই দৃষ্টান্ত ও সংবাদ পৌঁছে দিতে চান যে, নারী ও শিশুদের প্রতি এজাতীয় নৃশংস অপরাধের বিচার হয় এবং হবে।
পরে রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরো পড়ুন
কর রেয়াত সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার আহ্বান এনবিআর চেয়ারম্যানের

কর রেয়াত সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার আহ্বান এনবিআর চেয়ারম্যানের

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাত বছরের শিশু জারিয়া আক্তার ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর ভোর ৬টার দিকে রুম থেকে বাথরুমে যায়। সাড়ে ৬টা পর্যন্তও ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। দুপুর পর্যন্ত তাকে খুঁজে পায় না। পরে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জারিয়ার বাবা জাকির হোসেনকে ফোনে জানায়, জারিয়া কোথায় আছে জানেন।

পরে কল কেটে দেন। আর ফোন ধরেন না। জারিয়ার পরিবার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ রফিকুলের রুম থেকে জারিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরদিন পুলিশ রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে জানায়, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পরদিন জারিয়ার বাবা জাকির হোসেন যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ