<p style="text-align:justify">বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার রাজনীতি, আওয়ামী লীগের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটিতে আর চলবে না। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ছাত্রলীগের চেয়ে অনেক সন্ত্রাস করেছে যুবলীগ। তার চেয়ে বহু গুণ সন্ত্রাস করেছে আওয়ামী লীগ। যেসব কারণে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে একই কারণে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার বাংলায় নেই।’</p> <p style="text-align:justify">শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবি ও নৈরাজ্যবাদ প্রতিরোধে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হিন্দু সম্প্রদায় কী চাইছে, তারা এখন কেন রাস্তায়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729957455-7819d64b662f3e8be6157c67fe5042a9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হিন্দু সম্প্রদায় কী চাইছে, তারা এখন কেন রাস্তায়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/26/1439423" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সমাবেশে মামুনুল হক বলেন, ‘মুক্তমঞ্চে দাঁড়িয়ে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পাওয়ায় স্মরণ করছি আন্দোলনের শহীদদের। যাদের অক্লান্ত ত্যাগ, শাহাদাতের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ পুনর্বার স্বাধীন হয়েছে। ২০০৯ সালের পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যেসব নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন সেসব শহীদদের স্মরণ করছি। দেড় হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা এমনকি শিশুও রক্ষা পায়নি হায়েনাদের হাত থেকে। এসব হত্যাকাণ্ডের খলনায়িকা শেখ হাসিনাসহ তার খুনি মন্ত্রিসভার সদস্য ও প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কর্মকর্তাদের ধরে এনে বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’ </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, ২০০৯ সাল থেকে যত গণহত্যা হয়েছে প্রতিটি ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার করতে হবে। আমরা লক্ষ করেছি, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। খুনি হাসিনাকে ধরে এনে আইনের কাছে সোর্পদ ও বিচার করতে হবে। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে মামলা করে বিচার করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক রক্ত ও জীবন দিয়েছে। শাহাদাতের রক্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের আকাশে নতুন সূর্য উঠেছে, যেকোনো মূল্যে তা রক্ষা করতে হবে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সম্মুখ সারির ছাত্র-জনতা, আলেম সমাজ ও সব রাজনৈতিক সমাজকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাই, বিজয় অর্জনের চেয়ে বিজয়ের সুফল ঘরে তোলা কঠিন।’</p> <p style="text-align:justify">বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘৭১ এর বিজয় অর্জন হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ দেখে এ দেশের স্বাধীনতা ছিনতাই করা হয়েছে। একটি ভিনদেশি সংবিধানের মূল নীতিগুলোকে বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়। আর এভাবেই ৭২ সালে ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিনতাই হয়ে যায়। এর পরের ইতিহাস বঞ্চনা ও মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ইতিহাস। ১৯৭২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৯৭২ সালের চেতনাকে ৭১-এর চেতনার নামে মার্কেটিং করা হয়েছে। ৭২-এর চেতনার মাধ্যমে ৭১-এর চেতনাকে জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ৭১-এর চেতনাকে রক্ষা করবে, ৭২-এর চেতনা বাংলার মাটিতে হবে না।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক : ধর্ম উপদেষ্টা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729956864-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক : ধর্ম উপদেষ্টা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/26/1439421" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা রাজনীতির মূলনীতি ছিল দুটি। দুটি দর্শন ছিল তার। এক প্রতিশোধের, দ্বিতীয়টি হলো বিভাজনের। শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। মেগাপ্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা পাচার করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছেন; যাতে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।’</p> <p style="text-align:justify">আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মামুনুল হক বলেন, ‘আপনারা শেখ হাসিনার জন্য মায়াকান্না করেন, আপনাদের নিজেদের বিবেকের ওপর নিজেদের লজ্জা পাওয়া উচিত। বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে এরশাদ ক্ষমতার মসনদ ত্যাগ করেছেন। এরশাদ সাহেব দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। তার রাজনৈতিক নেতাদের ফেলে পালিয়ে যাননি। সাহসিকতার সঙ্গে জেল খেটেছেন। তার অনুসারীদের অসহায় অবস্থায় ফেলে চলে যাননি। ১৯৯৬ সালে ও ২০০৬ সালে বিরোধী মতের কারণে ক্ষমতা ছেড়েছেন। দেশ ছেড়ে খালেদা জিয়াও পালিয়ে যাননি। বরং বৃদ্ধ বয়সে অনেক রোগবালাই মোকাবেলা করে কারাগারে মৃত্যুর প্রহর গুনেছেন। তিনি নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে ছেড়ে অন্য কোথাও পালিয়ে যাননি। আওয়ামী লীগের ভাইদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম, আপনার নেত্রী কাজটা করল কী? কোটি কোটি টাকা আগে পাচার করেছে, আর যা ছিল তা ১৬টি লাগেজে ভরে এবং নিজের বোনকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে চলে গেলেন পাশের দেশের। যাদের স্বার্থে ১৫ বছর বাংলাদেশকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করেছেন তাদের ঘরেই আশ্রয় নিয়েছেন। এর পরও আওয়ামী লীগের লোকজন হাসিনার নাম মুখে কেমনে নেয়?’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘সকলে মিলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের রাস্তা চিরতরে রুদ্ধ করে দিতে হবে। এ দেশের অভ্যন্তরে আর কোনো অস্থিতিশীলতা দেখতে চাই না। এ দেশে যাতে কোনো শূন্যতা না হয় সেজন্য চলমান ঐক্যকে দৃঢ় করতে হবে।’ </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন : বাম জোট" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729954233-da1e6dbeac98c3fd05cb31634ee5da28.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন : বাম জোট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/26/1439417" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আলী উসমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমদ, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনির, খেলাফত মসলিসের যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ নোমান, আবুল হাসনাত বেলালী প্রমুখ।</p> <p style="text-align:justify"> <br />  </p>