ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

সঞ্চয়পত্র করতে কাগজপত্র কী কী লাগে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সঞ্চয়পত্র করতে কাগজপত্র কী কী লাগে?
ফাইল ছবি

সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত বিনিয়োগ মাধ্যম। এটি একদিকে যেমন নিশ্চিত মুনাফার সুযোগ দেয়, তেমনি ভবিষ্যৎ আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। তবে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

আরো পড়ুন
সঞ্চয়পত্র নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

সঞ্চয়পত্র নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

 

কোন সঞ্চয়পত্র কিনবেন?

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র—বর্তমানে এ চার ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু রয়েছে।

 

নামের মধ্যেই রয়েছে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র পাঁচ বছর মেয়াদের। পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের নামের মধ্যে মেয়াদ উল্লেখ না থাকলেও দুটি সঞ্চয়পত্রই পাঁচ বছর মেয়াদের। এ ছাড়া রয়েছে তিন বছর মেয়াদি তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। পরিবার সঞ্চয়পত্রের সুদ মাসিক ভিত্তিতে এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তোলা যায়।

সঞ্চয়পত্র করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সঞ্চয়পত্র কিনতে বা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হয়। যা ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায় বা ব্যাংক থেকেও প্রিন্ট কপি পাওয়া যায়।

সঞ্চয়পত্র কিনতে গেলে গ্রাহকদের আগে এ ফরম পূরণ করতে হয়, সঙ্গে দিতে হয় গ্রাহক ও নমিনির দুই কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি। গ্রাহকের ছবি সত্যায়িত করতে হয় প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর মাধ্যমে।

তবে নমিনির ছবির সত্যায়ন করতে হয় গ্রাহককেই।

গ্রাহক ও নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিও এ ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া গ্রাহকের নিজ ব্যাংক হিসাবের চেকের কপি, যে হিসাবে গ্রাহকের মুনাফা বা সুদ ও আসল টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে, সে হিসাবের নম্বর লাগে। পেনশনার সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে বাড়তি কাগজ হিসেবে লাগে সর্বশেষ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সনদ।

সঞ্চয়পত্র কেনার যোগ্যতা

সবাই সব ধরনের সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন না।

এ ব্যাপারে সরকার কিছু শর্ত ঠিক করে দিয়েছে। যেমন ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নারী, যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষ এবং ৬৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী বাংলাদেশি নারী ও পুরুষেরা শুধু একক নামে পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।

পেনশনার সঞ্চয়পত্রও কিনতে পারেন না সবাই। অবসরভোগী সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত সরকারি চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানেরা এ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র সবার জন্য উন্মুক্ত। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যেকোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ একক বা যুগ্ম নামে এ দুই ধরনের সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। নাবালকের পক্ষে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ একসময় থাকলেও এখন আর নেই।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভ্যাটের ৪২ কোটি টাকা পরিশোধে গড়িমসি বাংলালিংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভ্যাটের ৪২ কোটি টাকা পরিশোধে গড়িমসি বাংলালিংকের
সংগৃহীত ছবি

রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের ওপর প্রায় ৪২ কোটি টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেনি বাংলালিংক। দেশের বেসরকারি মোবাইল অপারেটরটির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। কম্পানি বলছে, রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের ওপর ভ্যাট হলো দ্বৈত কর। এই যুক্তি তুলে উচ্চ আদালত পর্যন্ত কম্পানি গেছে।

কিন্তু আদালত বলছে, এই ভ্যাট বাংলালিংককে দিতে হবে। তবুও কম্পানি এক যুগ আগের সেই ভ্যাট পরিশোধ করছে না।

বিটিআরসি সূত্র জানায়, মোবাইল অপারেটরগুলো গ্রস আয়ের ওপর বিটিআরসির সঙ্গে একটা অংশ রেভিনিউ শেয়ারিং করে। বেসরকারি চারটি মোবাইল অপারেটরের মধ্যে বাংলালিংক অন্যতম।

এই কম্পানি ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত যে রেভিনিউ শেয়ারিং করেছে, তার ওপর ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ১৭১ টাকা ভ্যাট বিটিআরসিকে পরিশোধ করেনি। এই ভ্যাট পরিশোধের জন্য সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২৫ জুন বিটিআরসি বাংলালিংককে চিঠি দেয়। কিন্তু বাংলালিংক এনবিআরের ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট জারি করা দ্বৈত কর নীতি আদেশ অনুযায়ী এই ভ্যাট প্রযোজ্য নয় বলে বিটিআরসিকে জানান। অথচ ওই আদেশের আগের রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের ওপর এই ভ্যাট দাবি করছে বিটিআরসি।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, এই ভ্যাট কোনোভাবেই দ্বৈত কর নয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যে আদেশ জারি করেছে, সেই আদেশের আগেই এই ভ্যাট। ফলে বাংলালিংককে এই ভ্যাট দিতেই হবে। 

বছরের পর বছর চিঠি দেওয়ার পরও বিটিআরসির আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না বাংলালিংক। তবে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ বলছে, আইন মেনে তারা বিষয়টি সমাধান করবে।

এনবিআরের ওই বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, যেহেতু মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে যে সেবামূল্য আদায় করেন, তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধের পর প্রাপ্ত নিট অর্থ থেকে রেভিনিউ শেয়ারিং হিসেবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থ দ্বিতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স ব্যবহারের শর্তানুযায়ী বিটিআরসিকে প্রদান করতে হয়। যেহেতু রেভিনিউ শেয়ারিং হিসেবে পরিশোধযোগ্য রাজস্বের ওপর মূল্য সংযোজন কর বিধিমালা, ১৯৯১-এর বিধি ১৮(ঙ) অনুযায়ী বিটিআরসি কর্তৃক ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট উৎসে আদায় বা কর্তনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং এক্ষেত্রে দ্বৈতকর আরোপিত হয়। সেহেতু দ্বৈতকর পরিহারের লক্ষ্যে এনবিআর মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১-এর ধারা ১৪-এর উপধারা (২)-এ ক্ষমতাবলে বিটিআরসিকে দ্বিতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স ব্যবহারের শর্তানুযায়ী রেভিনিউ শেয়ারিং হিসেবে মোবাইল অপারেটর কর্তৃক প্রদত্ত প্রদেয় রাজস্ব থেকে উৎসে মূসক কর্তন বা আদায় থেকে অব্যাহতি প্রদান করল।

বিটিআরসি এই ভ্যাট পরিশোধে ২০২৪ সালের ২৫ জুন বাংলালিংককে যে চিঠি দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, আপিল বিভাগ শুনানি শেষে বিটিআরসির পক্ষে রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ বাংলালিংককে এই ভ্যাট দিতে হবে। এই ভ্যাট পরিশোধে ২০২৩ সালের ২২ জুন ও ২৪ ডিসেম্বর বাংলালিংককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

এ ছাড়া ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে কর্তন করা ভ্যাট বাংলালিংককে পরিশোধের জন্য ২০২৪ সালের ৫ জুন বিটিআরসি থেকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলালিংক ভ্যাট পরিশোধে সাড়া দেয়নি। পরে ১০ জুন এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলালিংক বিটিআরসিতে একটি আবেদন করে। আবেদনে এনবিআরের ২০১২ সালের ১২ আগস্ট জারি করা বিশেষ আদেশ অনুযায়ী দ্বৈত করনীতিতে রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না বলে উল্লেখ করা হয়।

তবে নথিপত্র ও ওই আদেশ বিশ্লেষণ করে বিটিআরসি বলছে, রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের ওপর ভ্যাট বা মূসক হিসেবে পাওনা এনবিআরের আদেশ জারির পূর্ববর্তী বা আগের ১৫ মাস সময়ের (২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত)। ফলে বাংলালিংকে আবেদনপত্রে দ্বৈত করের যে দাবি করেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। সেজন্য বাংলালিংক কর্তৃপক্ষকে ভ্যাট হিসেবে ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ১৭১ টাকা পরিশোধ করতেই হবে।

এই ভ্যাট পরিশোধে বাংলালিংককে সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে সময় শেষ হলেও বাংলালিংক কোনো ভ্যাট পরিশোধ করেনি। অর্থাৎ এক যুগ পরও বিটিআরসিকে পাত্তা দিচ্ছে না বাংলালিংক।

বিটিআরসি নিরুপায় হয়ে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে, সর্বশেষ ৩ জানুয়ারি আবার মতামত চেয়ে এনবিআরকে বিটিআরসি চিঠি দিয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এনডিবি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এনডিবি
এনডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির কাজবেকভ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) চলতি বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে ঋণ সহায়তা এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার কথা জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ভ্লাদিমির কাজবেকভ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় ভ্লাদিমির কাজবেকভ জানান, সম্প্রসারিত ঢাকা সিটি ওয়াটার সাপ্লাই রেজিলিয়েন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে এনডিবি। এ বছর বাংলাদেশের উন্নয়নের চাহিদা বিবেচনা করে এই তহবিলের পরিমাণ তিন গুণেরও বেশি করতে চায় তারা।

প্রধান উপদেষ্টা বহুপক্ষীয় ঋণদাতা সংস্থাটির ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এটি উন্নয়ন অবকাঠামো উন্নীতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।’

কাজবেকভ জানান, এনডিবি বাংলাদেশে গ্যাস খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ধরনের সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ঋণ প্রদানে আগ্রহী তারা।

বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনৈতিক অঞ্চলে হাজার হাজার কর্মীর জন্য আবাসন সুবিধার মতো সামাজিক অবকাঠামোতে ঋণ দেওয়ার ওপর জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা।

কাজবেকভ বলেন, ‘ব্যাংকটি বহু-মুদ্রা ঋণ চালু করেছে। যা বাংলাদেশকে উপকৃত করবে।’

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এনডিবির উচিত বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সাথে অর্থায়নের সমন্বয় সাধনের জন্য বাংলাদেশের ওপর দেশীয় কৌশল কর্মসূচি চালু করার প্রতি মনোনিবেশ করা।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ এবং ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

দেশের বাজারে কমল সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেশের বাজারে কমল সোনার দাম

দেশের বাজারে কিছুটা কমেছে সোনার দাম। এবার প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনা (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে এক হাজার ২৪৮ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে এক লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকায়। আগামীকাল বুধবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম কমার তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

আরো পড়ুন
অবশেষে কী সিদ্ধান্ত হলো সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে?

অবশেষে কী সিদ্ধান্ত হলো সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে?

 

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমিয়ে এক লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
শাওয়াল মাসের বিয়ে প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) যা বলেছেন

শাওয়াল মাসের বিয়ে প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) যা বলেছেন

 

অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা।

২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অবশেষে কী সিদ্ধান্ত হলো সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
অবশেষে কী সিদ্ধান্ত হলো সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে?

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আজ মঙ্গলবার ও গত রবিবার দুই দিন বৈঠক করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তাই আগামীকাল বুধবার সচিবালয়ে এ বিষয়ে আবারও বৈঠক ডেকেছেন তিনি। ওই বৈঠকের পরই জানা যাবে কত দাম বাড়ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৩ টাকা করে বাড়াতে চায় কম্পানিগুলো। বিষয়টি গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) জানিয়েছে, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। ১ এপ্রিল থেকেই তারা নতুন দর কার্যকর করতে চেয়েছিল।

আরো পড়ুন
পুরুষের যে কথায় দুর্বল হয়ে যায় নারী

পুরুষের যে কথায় দুর্বল হয়ে যান নারী

 

বাণিজ্য উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খানের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ও ভোজ্য তেল পরিশোধন কারখানার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রগুলো জানায়, কারখানার মালিকদের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়েছে, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত মাসে। দাম বাড়াতে চাওয়ার মূল কারণ এটাই। তবে রেয়াত সুবিধা বজায় থাকলে দাম বাড়াতে চান না তারা।

এদিকে কর রেয়াতের সুবিধা বহাল রাখার বাস্তবতায় এনবিআর নেই বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ধারণা পেয়েছে।

এ কারণেই এবারের রোজার মাঝামাঝি সময়ে ট্যারিফ কমিশন ভোজ্য তেলে আমদানি পর্যায়ের শুল্ক-কর রেয়াতের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির সুপারিশ করে এনবিআরকে চিঠি দেয়। কিন্তু এনবিআর এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস ২৭ মার্চ ট্যারিফ কমিশনে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে ১ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৩ টাকা করার প্রস্তাব দেয় পরিশোধন কারখানার মালিকদের সংগঠন। সে হিসেবে লিটারে ১৮ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আর পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৯৩৫ টাকা।

আরো পড়ুন
পুরুষকে বেঁধে নারী এনজিওকর্মীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ওসি বদলি

পুরুষকে বেঁধে নারী এনজিওকর্মীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ওসি বদলি

 

একইভাবে খোলা সয়াবিন ও খোলা পাম তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৭০ টাকা। বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দাম লিটারপ্রতি ১৫৭ টাকা। এ হিসাবে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৩ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ থেকে ১৭৬ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮৪৫ থেকে ৮৫০ টাকা। আর এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৭ থেকে ১৬৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেলের দাম ১৪৪ থেকে ১৫০ টাকা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ