<p>যুক্তরাষ্ট্রের রেটিং এজেন্সি মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান ‘বি-ওয়ান’ থেকে কমিয়ে ‘বি-টু’তে এনে বলছে, এর ফলে পূর্বাভাসের অবনতি ঘটেছে। অর্থাৎ এ পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ অবস্থায় চলে গেছে। একই সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি ঋণজারিকে ‘নট-প্রাইম’ শ্রেণিভুক্ত করেছে। </p> <p>আজ সোমবার মুডিস তাদের নতুন রেটিং প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের রেটিং কমানো প্রসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার পর সরকার পরিবর্তনের ফলে উচ্চ রাজনৈতিক ঝুঁকি, নিম্ন প্রবৃদ্ধি সরকারের তারল্যের ঝুঁকি, বৈশ্বিক ভঙ্গুরতা এবং ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।</p> <p>মুডিস জানায়, উচ্চ রাজনৈতিক ঝুঁকি ও নিম্ন প্রবৃদ্ধিকে তুলে ধরেছে এই অবনমন, যার ফলে সরকারের নগদ অর্থসংকট তৈরি হতে পারে। এতে ব্যাংক খাত এবং বাহ্যিক লেনদেনেও দুর্বলতা তৈরি হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার দরুন এসব ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন নিয়ে নতুন নির্দেশনা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731932148-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন নিয়ে নতুন নির্দেশনা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/11/18/1448049" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মুডিস বলেছে, চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও দুর্বল হয়ে পড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের সরকারকে তার অর্থায়নের ঘাটতি পূরণে স্বল্পমেয়াদি অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর আরো বেশি নির্ভর করতে হচ্ছে, এতে বাড়ছে তারল্য ঝুঁকি। </p> <p>আবার ব্যাংক খাতে ঋণ সম্পদের উচ্চ ঝুঁকি এবং এ খাতে মূলধন ও তারল্য দুই-ই কম থাকায় সরকারের ওপর এ খাতকে জরুরি অবস্থায় সহায়তা প্রদান বা আকস্মিক দায়বদ্ধতার ঝুঁকিও বাড়িয়েছে।<br />  </p> <p>আন্তর্জাতিক ঋণমান যাচাইকারী সংস্থাটি জানায়, দেশে আসা রেমিট্যান্স প্রবাহ ও উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণছাড় সত্ত্বেও গত কয়েক বছরে রিজার্ভের ক্ষয় হওয়ায় বাহ্যিক ঝুঁকিগুলো মোকাবেলার ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে বাংলাদেশের।<br /> সংস্থাটির মতে, সামাজিক ঝুঁকি বৃদ্ধি, নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার বিষয়টি আবারও সামনে আসায় রাজনৈতিক ঝুঁকিও অনেকটা বেড়েছে।</p> <p>মুডিস সতর্ক করে বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের বর্তমান প্রত্যাশার বাইরে যেসব ঝুঁকি রয়েছে-পূর্বাভাস নেতিবাচক করার মাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়েছে, যা বাংলাদেশের এরই মধ্যে চাপের মধ্যে থাকা আর্থিক সক্ষমতাকে আরো দুর্বল করতে পারে এবং বাহ্যিক দুর্বলতাগুলোকে তীব্র করবে। দুর্বল স্থানীয় ভোগচাহিদা ও সরবরাহ চক্র ব্যাহত হওয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে এসব ঝুঁকি বা বাধা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে পোশাকশিল্পে চলমান শ্রম অস্থিরতাও রপ্তানির পূর্বাভাস নিয়ে শঙ্কার জন্ম দিয়েছে।</p> <p>মুডিস বলছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বৃহত্তর সংস্কারের এজেন্ডার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ, তবে এগুলো তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না তা অনিশ্চিত। তা ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও উচ্চ বেকারত্ব দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার মতো দ্রুত ফলাফল যদি জনগণকে না দিতে পারে, তাহলে এসব সংস্কার চালিয়ে নেওয়ার মতো রাজনৈতিক পুঁজিও থাকবে না সরকারের।</p>