বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু আজ

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে আজ সোমবার থেকে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ শুরু হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৪০টি দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় ৬ শতাধিক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

আরো পড়ুন
একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৭ এপ্রিল)

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৭ এপ্রিল)

 

গতকাল রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিনিয়োগ সম্মেলনে কী কী ইভেন্ট থাকছে তা তুলে ধরেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

তিনি জানান, প্রথম দিন দুটি ট্র্যাকে অনুষ্ঠান হবে।

প্রথম ট্র্যাকে ৬০ জনের বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীকে নিয়ে একটি স্পেশাল ফ্লাইট চট্টগ্রাম যাবে। সেখান থেকে কোরিয়ান ইপিজেড ও মিরসরাইতে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন শেষে রাতে ফিরে আসবেন তারা।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আরো জানান, যারা যাচ্ছেন তারা হলেন সেই সব উদ্যোক্তা যারা মনে করছেন তাদের সেখানে একটি কারখানা স্থাপন করতে হবে। তাদের জায়গা-জমি লাগবে।

তাদের জন্য আমরা কী ধরনের সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করতে পারি তা তারা সরেজমিনে দেখবেন। অন্যদিকে সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে স্টার্টআপ কানেক্ট নামে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি রয়েছে। সেখানে যেসব আরলি স্টেজ স্টার্টআপ এবং ভেঞ্চার বিনিয়োগকারী আসছেন তাদের মধ্যে ম্যাচ মেকিং ইভেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও প্যানেল হবে। সারাদিন স্টার্টআপ ইভেন্টকে ফোকাস করা হবে।

আরো পড়ুন
ঢাকায় আজ যেমন থাকবে আবহাওয়া

ঢাকায় আজ যেমন থাকবে আবহাওয়া

 

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালের দিকে বিনিয়োগকারীরা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যেখানে জাপানি ইকোনমিক জোন রয়েছে সেখানে সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। তারা সেখানের কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে কী ধরনের কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা বুঝে তাদের বিনিয়োগের জন্য কতটুকু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা দেখবেন। দ্বিতীয় ধাপে বিশ্বব্যাংক ও আইএলওর সঙ্গে কিছু অ্যাংগেজমেন্ট রয়েছে। তাদের এফডিআই সম্পর্কিত কিছু ব্যাপারে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ৯ এপ্রিল বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।

সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়া সারা দিনই একাধিক (৩-৪টা) প্যারালাল অনুষ্ঠান চলবে ‘

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিছু বিনিয়োগকারীকে পুরস্কৃত করা হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে কিছুসংখ্যক বিদেশি বিনিয়োগকারী বক্তব্য দেবেন। সেখান থেকে আমরা বোঝার চেষ্টা করব আর কী করলে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য বেটার ডেস্টিনেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। পরবর্তীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইয়ুথ এন্টারপ্রেনারশিপ মেলার আয়োজন থাকবে। উপদেষ্টা সেখানে আরলি স্টেজ কম্পানির সঙ্গে কথা বলবেন। দ্বিতীয় ধাপে রিনিউয়েবল এনার্জি নিয়ে কথা হবে। বেশ কয়েকটি কম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আবার রেকর্ড দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আবার রেকর্ড দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা
সংগৃহীত ছবি

দেশের বাজারে সোনার দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড করেছে। এবার প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনা (২২ ক্যারেট) দাম বেড়েছে ৪ হাজার ১৮৭ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে এক লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকায়। আগামীকাল রবিবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম বৃদ্ধির তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে এক লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৩ হাজার ৫৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১০ হাজার ২৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম প্রতি ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা।

২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পোশাকশিল্পে বাড়তি করের বোঝা, রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পোশাকশিল্পে বাড়তি করের বোঝা, রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই করপোরেট করহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে সংকটের মধ্যে থাকা পোশাক খাতের রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা।

বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতের করপোরেট করহার ১২ শতাংশ। সবুজ কারখানার জন্য এই হার ১০ শতাংশ।

তবে দেশের বিভিন্ন খাতের জন্য করপোরেট করহার ২৭.৫০ শতাংশ। তাই ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক খাতে করহার বাড়িয়ে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এনবিআর।

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিদেশি ল ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিদেশি ল ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে’

দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আমরা বিদেশি ল ফার্ম নিয়োগ করেছি। কারণ আমরা সিস্টেমেটিক্যালি এ ধরনের সমস্যা আগে ফেস করিনি। করলেও এ ধরনের প্রচেষ্টা আগে নেওয়া হয়নি। এই প্রথম আমরা এই উদ্যোগ নিচ্ছি।

এটা দেশের আইনে শুধু হবে না, বিদেশিদের সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপন করতে হবে।

আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আর দেশের কয়েকটি পরিবার ও গোষ্ঠী দেশের বিপুল টাকা পাচার করেছে। পাচার করা টাকা ফেরত আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া।

এসব অর্থ ফেরত আনতে এক বছরের বেশি সময় লাগবে।

আজ শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের সম্মেলন কক্ষে ‘অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সমসাময়িক ব্যংকিং ইস্যু’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

অর্থ পাচারের বিষয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, হয়ে গেছে যা, তা হয়ে গেছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এমন কোনো কিছু যেন না হয়, তা আমরা ঠিক করতে আসছি।

এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় রেগুলেটারি সংশোধন করতে চাই। 

প্রথম ধাপে পাচার হওয়া সম্পদকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আমরা অ্যাসেটগুলোকে ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং মিউচুয়াল লিগাল অ্যাসিস্ট্যান্সের বিষয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ল ফার্মের সঙ্গে কথা বলেছি এবং খুব শিগগিরই তাদের হায়ার (নিয়োগ) করার পরিকল্পনা রয়েছে। 

তিনি বলেন, আমরা এমন ল ফার্মের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, যারা অ্যাসেট ট্রেসিংয়ের কাজ করে (মানে কার সম্পদ কোথায় আছে, সেটা খুঁজে বের করা)।

যদিও আমরা কিছু তথ্য জানি, তবে সেগুলো ভাসা ভাসা। স্পেসিফিক, এক্স্যাক্ট ডকুমেন্টেশন ছাড়া কোনো তথ্য কোর্টে গ্রহণযোগ্য হবে না। 

এই কাজের জন্য বিদেশি অ্যাসেট ট্রেসিং ফার্মগুলোর সহায়তা নেওয়া হবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, তাদের সহায়তায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, কম্পানি বা সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য শনাক্ত করতে হবে। আমরা এখনই কিছু সহযোগিতা পাচ্ছি, তবে কাজটা মোটেও সহজ নয়। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য আগামী ৬ মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের অ্যাসেট ফ্রিজ করা। এটাকে আমরা ইনিশিয়াল অ্যাচিভমেন্ট হিসেবে দেখছি। একবার ফ্রিজ হলে এরপর বিষয়টি কোর্টে যাবে, সেখানে মামলা মোকদ্দমা হবে। এরপরই সেই অ্যাসেট ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

দেশে আগে মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে দেখানো হত জানিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হত। কিন্তু প্রকৃতভাবে দেখা গেছে ১৩-১৪ শতাংশ। গত মাসে সেটি দেখা গেছে ৮-৯ শতাংশে আছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি স্বস্তির দিকেই আছে। আগামী বছর সেটিকে ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনতে পারব।

কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে এমন প্রশ্নে গভর্নর বলেন, সব মিলিয়ে আমার ধারণা, আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে বড় শিল্পগ্রুপ ও তাঁর পরিবারও আছে। বেক্সিমকোর পাচার হওয়ার অর্থ ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো। এগুলো শুধু বড় গ্রুপ। ছোটগুলোকে আপাতত দেখছি না। 

আদালতের মাধ্যমে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে টাকা ফেরানোর চেষ্টা জানিয়ে তিনি বলেন, সব বিষয় আদালতের মাধ্যমে নয়, আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট বলে একটা কথা আছে। তার আগে সব তথ্য নিতে হবে। যখন সব তথ্য থাকবে তখন তারা নেগোসিয়েশনে আসবে। নেগোসিয়শনে গেলে সব তথ্য নিয়েই যাওয়া লাগবে। না হলে তো আমরা ঠকে যাব।

অর্থ পাচারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেকে কি জড়িত আছে এমন প্রশ্নে গভর্নর বলেন, অমূলক তথ্যের ভিত্তিতে কাউকে চাকরিচ্যুত করার পক্ষে আমি নই। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। দুদক বা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা যদি তথ্য প্রমাণ দেয় যে কেউ জড়িত আছে আমরা ব্যবস্থা নেব। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টে এখন আর কোনো ঘাটতি নেই। বিশাল ঘাটতি ছিল, সেটা আমরা মিটিয়ে এনেছি। আমাদের রিজার্ভও এখন স্থিতিশীল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। বিভিন্ন রকমের গোলযোগ, আন্দোলন ইত্যাদি সত্ত্বেও রপ্তানি মুখ থুবড়ে পড়েনি। গত আট-নয় মাসের তথ্য বলছে, এখনো রপ্তানি ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেনের সঞ্চলনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন ও বিএফআইইউ এর পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন, মো. আরিফুজ্জামন, মো. আশিকুর রহমান, স্বরুপ কুমার চৌধুরীসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক, বিএফআইইউ এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 

 

 

মন্তব্য
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা

১৫ মাসে ভারত হয়ে ৪৬২ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
১৫ মাসে ভারত হয়ে ৪৬২ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি
সংগৃহীত ছবি

সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে আকস্মিক ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করলেও এমনটি মনে করছেন না ব্যবসায়ীরা।

তবে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ‍্যমে গত ১৫ মাসে ভারতীয় রুট ব্যবহার করে ৩৬টি দেশে ৪৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ‍্যমে রপ্তানির পরিমাণ ৩৪ হাজার ৯০০ টনের বেশি।

ভারত সরকার ২০২০ সালের ২৯ জুন তাদের স্থল শুল্ক স্টেশন, বন্দর এবং বিমানবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়েছিল। পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সূত্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ‍্যমে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মধ্যে ছিল ব্লাউজ, ট্রাউজার, টি-শার্ট, শিশুদের পোশাক ইত্যাদি। প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্স, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।

বিজিএমইএ তথ্য অনুযায়ী, মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৪০ কোটি ৫ লাখ টাকা।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি গত ১৫ মাসে ভারতের মাধ্যমে মোট ৩৬টি ট্রান্সশিপমেন্ট হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত বলছে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে তাদের ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে পণ্য রপ্তানির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। অর্থাৎ সম্ভবত ৩৪টি দেশেই ভারতের মাধ্যমে শিপমেন্টে আমাদের সমস্যা হবে।

এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি দিকই আছে। আমাদের পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ