<p style="text-align:justify">বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) হাসিবুর রশিদ ও প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মোহাম্মদ নুরুন্নবীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।</p> <p style="text-align:justify">সোমবার (২৮ই অক্টোবর) বিকেলে এ আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাদী মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান রোকন।</p> <p style="text-align:justify">মামলার বাদী আবু সাঈদের বড় ভাইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন। এর আগে ১৪ অক্টোবর বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণসহ তাদের বিরুদ্ধে সম্পৃক্ততা তদন্ত করার আবেদন করা হয়। পরে ২০ অক্টোবর শুনানি শেষে আজ এই আদেশ দেন আদালত।</p> <p style="text-align:justify">সূত্র জানায়, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং আবু সাঈদের বাড়ি একই থানা পীরগঞ্জে অবস্থিত। এই পারিবারিক ও আঞ্চলিক সম্পর্কের ভিত্তিতে শরিফুল ইসলাম আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের মামলায় তার নিজের নাম যাতে কোনোভাবে যুক্ত না হয়, সে জন্য তিনি সক্রিয় প্রচেষ্টা চালান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শরিফুল ইসলাম আবু সাঈদের বাড়িতে তৎপরতা চালিয়েছিলেন এবং বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ পরবর্তীতে তার নাম মামলায় যুক্ত করা হয়নি।</p> <p style="text-align:justify">অন্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সুরতহাল প্রস্তুতকারী এসআই তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত শাহ নূর আলম পাটোয়ারী এবং সুরতহাল রিপোর্টে প্রতি স্বাক্ষরকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত।</p> <p style="text-align:justify">বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বন্ধু আবু সাঈদের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির  আওতায় আনা হোক। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কলঙ্কযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যাতে না থাকে।’</p>