বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রগ্রাম চালুর বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রগ্রাম চালুর বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত
সংগৃহীত ছবি

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রগ্রাম চালুর বিষয়ে যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণে এক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) ইউজিসিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। 

কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. এস এম কবির, ২২টি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও মনোনীত প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন অংশীজন অংশ নেন। 

আরো পড়ুন
কালাইয়ে প্রাইভেটকার-অটোভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

কালাইয়ে প্রাইভেটকার-অটোভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

 

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ফায়েজ বলেন, পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে তারা আলাদাভাবে দেখে না। শিক্ষার মান নিশ্চিত করা কমিশনের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পিএইচডি ডিগ্রি চালু করার ক্ষেত্রে কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি টেকসই হবে সেটি সক্রিয় বিবেচনা করা হবে।

 

তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় উপাচার্যসহ সব কর্তৃপক্ষকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।  

প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালু করার দাবি দীর্ঘদিনের। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালু করা হলে জাতি গঠন ও টেকসই উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে কিনা সেটি চিন্তা করতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালু করার জন্য অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় করে সমাজের প্রয়োজনে সচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

 

সভায় স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও সক্ষম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালু করা, পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানে একটি অভিন্ন নীতিমালা তৈরি করা, অনারারি ও অনলাইন পিএইচডি ডিগ্রি না দেওয়া, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া, আন্তর্জাতিক  শিক্ষক- শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা, ডিগ্রি প্রদানে অসামঞ্জস্য হলে সমাধান করা, আন্তর্জাতিক ও মানসম্মত জার্নালে গবেষণা ফলাফল প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা, পিএইচডি করার ক্ষেত্রে স্টান্ডার্ড সিজিপিএ নির্ধারণ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ পিএইচডির সুযোগ রাখা, পিএইচডির মান তদারকি করতে ইউজিসিতে একটি সেল গঠন করা বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়। 

সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালু করার ক্ষেত্রে ধারণাপত্র তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রফেসর ড. এস এম হাফিজুর রহমান ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পরেই পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালন করেন সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা। 

জুমার নামাজের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল করে ইনকিলাব মঞ্চ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ইনকিলাব মঞ্চ।

 

আরো পড়ুন
নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ভাই নিহত, অপর দুই ভাই আহত

নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ভাই নিহত, অপর দুই ভাই আহত

 

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যকালে শরীফ ওসমান হাদি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিয়ে যদি নির্বাচন করে তবে বাংলাদেশে রক্তের যমুনা বয়ে যাবে। দুই হাজারেরও বেশি শহীদ, ৫০ হাজারেরও বেশি অঙ্গহারা আহত ও তাদের মা-বাবার কসম, ওয়াসিম, মুগ্ধসহ শহীদদের রক্তের কসম- শরীরে রক্ত বিন্দু থাকতে আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দিব না। 

আওয়ামী লীগের সাবের হোসেন, সোহেল তাজদের মতো মানুষকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সামনের নির্বাচনে কিছু আসন নিয়ে কোনো না কোনোভাবে বিরোধী দলে থাকবে, সেখানে থেকে যত বদমাইশি রাজনীতি আছে সব করবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, নির্বাচন হলে আড়াই থেকে তিন বছর বিএনপি ক্ষমতায় থাকবে, বিরোধী দলে থেকে আওয়ামী লীগ ভারত ও ইসরায়েলকে সাথে নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র করবে তিন বছরের মাথায় বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে। এরপর যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে কচুকাটা করবে।

সুতরাং, শরীরে রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দেব না৷ 

এদিকে বেলা সোয়া দুইটার দিকে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে দিয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। 

বিক্ষোভ সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখপাত্র আশরেফা খাতুন বলেন,  এখনও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আমাদের রাস্তায় নামতে হয় যেখানে পাঁচ আগস্ট নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে আওয়ামী লীগ থাকবে কী থাকবে না। দিল্লির প্রেসক্রিপশনে, কচুক্ষেতের প্রেসক্রিপশনে, ক্যান্টনমেন্টের প্রেসক্রিপশনে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রেসক্রিপশনে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের পায়তারা চলছে৷যতদিন পর্যন্ত আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত আছে ততদিন পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে ফিরতে দেব না।

যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হয়, আওয়ামী লীগের বিচার না হয় ততদিন পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকবো।'

আরো পড়ুন
গাজা ও ইয়েমেনে হামলা: মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান আলী খামেনির

গাজা ও ইয়েমেনে হামলা: মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান আলী খামেনির

 

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসিসর চৌধুরী বলেন,  ৫ আগস্টের পরে যে মাইনাস টু ফর্মুলা সে মাইনাস টু ফর্মুলা হচ্ছে সাউথ এশিয়ান মাইনাস টু। এখানে আমাদের ভারত এবং পাকিস্তানের আধিপত্য থেকে বের হতে হবে। আমাদের নতুন বাংলাদেশের জন্য নতুন ডিপ্লোম্যাটিক জোন নির্ধারণ করতে হবে। নতুন ডিপ্লোম্যাটিক জোনের মাধ্যমে আমার দেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

আমরা ভারত পাকিস্তানমুখী রাজনীতির শেষ করে ফেলেছি। আমরা আর ভারত পাকিস্তানমুখী রাজনীতি করতে চাই না। ভারতের প্রেসক্রিপশনে নতুন করে বাংলাদেশের রাজনীতি কি হবে, বাংলাদেশের ভাগ্য কি হবে সেটি আমরা কখনোই মেনে নেব না।

মন্তব্য

৩ মে থেকে কামিল পরীক্ষা শুরু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৩ মে থেকে কামিল পরীক্ষা শুরু
সংগৃহীত ছবি

আগামী ৩ মে থেকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত কামিল (স্নাতকোত্তর) ১ম ও ২য় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা-২০২৩ শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। 

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ৩ মে থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে ২৪ মে পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৯টি কেন্দ্র সম্বলিত একটি তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মাদরাসাগুলোতে সেশনজট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী মে মাসেই ফাজিল অনার্স পরীক্ষাসহ ফাজিল পাস কোর্সেরও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। পরীক্ষার কেন্দ্র ও সময়সূচিসহ এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।


 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল, কর্মসূচি ঘোষণা

    সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল, কর্মসূচি ঘোষণা
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মল চত্বর, ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হয়।

শুক্রবার (২০ মার্চ) রাত ২টায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই— এ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী সময়ে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন তারা।

আরো পড়ুন
মাদারীপুর টিসিবির সেই ডিডিকে স্ট্যান্ড রিলিজ

মাদারীপুর টিসিবির সেই ডিডিকে স্ট্যান্ড রিলিজ

 

রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্র-জনতা দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা করা। যত দিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, তত দিন পর্যন্ত লড়াই চলবে। জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে।

গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এর আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদদ দেবে, তারা যে-ই হোক না কেন, রুখে দাঁড়াবে ছাত্রসমাজ।

শিক্ষার্থী তাবাসসুম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবে না ছাত্রসমাজ।’

আরো পড়ুন
গাজায় মৃত্যু তিন দিনে ৬০০ ছুঁইছুঁই

গাজায় মৃত্যু তিন দিনে ৬০০ ছুঁইছুঁই

 

বিক্ষোভ সমাবেশে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।

এর পাশাপাশি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান তারা।

মন্তব্য

লেভাতানা সংস্কৃতির ধারক 'হাজং'

    সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে তোমরা হাজং সম্পর্কে জেনেছ। লেভাতানা সংস্কৃতির ধারক হাজংদের নিয়ে আরো যা জানতে পারো—
আল সানি
আল সানি
শেয়ার
লেভাতানা সংস্কৃতির ধারক 'হাজং'
ঐতিহ্যবাহী পোশাকে হাজং মেয়েরা।ছবি : সংগৃহীত

ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশে ফসলের মাধ্যমে জমিদারদের খাজনা প্রদানের একটি শোষণমূলক প্রথা প্রচলিত ছিল। ওই সময় সুসং দুর্গাপুর ছিল টংক প্রথার স্বর্গভূমি। জমিতে ফসল হোক বা না হোক টংকের ধান দিতেই হতো জমিদারদের। ১৯৩৭ সালে কমিউনিস্ট নেতা কমরেড মণি সিংহের নেতৃত্বে কৃষকরা এ প্রথার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন শুরু করেন।

এই আন্দোলনে কুমুদিনী হাজং ও তাঁর স্বামী লংকেশ্বর হাজং সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ইতিহাসের সেই অধ্যায় হাজংদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামশীল হিসেবে।

হাজংরা প্রধানত শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, নালিতাবাড়ী, সুসং দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও বিরিশিরি এলাকায় বাস করে। এ ছাড়া শেরপুর, সিলেট ও নেত্রকোনা অঞ্চলেও কিছুসংখ্যকের বসবাস রয়েছে।

নৃবিজ্ঞানীদের মতে, হাজংদের আদি নিবাস উত্তর বার্মায়। কিছু ঐতিহাসিক মতবাদ অনুসারে, এই জনগণ মূলত পূর্ব আফগানিস্তান বা তাজিকিস্তান অঞ্চলের পাহাড়ি জাতি থেকে এসেছে এবং পরে তারা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে বসতি স্থাপন করেছে।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে হাজংদের পূর্বপুরুষরা তাদের আদি নিবাস ত্যাগ করে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকায় প্রবেশ করে বলে অনেকের ধারণা। সপ্তদশ শতকে মোগলদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে তারা গারো পাহাড়ে আশ্রয় নেয় এবং পরবর্তী সময়ে সমতলভূমিতে বসতি স্থাপন করে।

প্রাচীনকাল থেকেই তারা গাড়ো পাহাড়ে জমিচাষের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত। তাই অনেক হাজং বিশ্বাস করে যে গারোরা তাদের নামকরণ করেছে হাজং। গারো ভাষায় ‘হা’ মানে মাটি এবং ‘জং’ মানে পোকা, অর্থাৎ মাটির পোকা। তবে তাদের নামের উৎস সম্পর্কে বিভিন্ন মত রয়েছে। হাজং জাতির ভাষা হচ্ছে ‘হাজং’ বা ‘হাজং-ভাষা’।

অস্ট্রো-এশিয়ান ভাষা পরিবারের অন্তর্গত একটি প্রাচীন ভাষা এটি। ভাষাটির নিজস্ব কোনো বর্ণমালা নেই। তারা ভাষার লিখিত রূপ দিতে অসমীয়া বর্ণমালা ব্যবহার করে। যদিও হাজং জনগণ বাংলাদেশে এখন বাংলা ভাষাতেই কথা বলে। হাজং পুরুষরা সাধারণত লুঙ্গি বা ধুতি পরে এবং নারীরা বিশেষ ধরনের সিল্কের শাড়ি বা কাপড় পরিধান করে।

নারীদের বিশেষ এই পোশাককে বলা হয় পাথিন। হাজংরা বিভিন্ন উৎসব, যেমন বর্ষবরণ, মাঘী পূর্ণিমা এবং বৈশাখী মেলায় অংশ নেয়। এই সময়গুলোতে তারা গানের মাধ্যমে নিজেদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। তাদের গানে, নাচে ও মেলায় এক ধরনের প্রাচীন ইতিহাস ও সংগ্রামের ছাপ দেখা যায়। হাজংদের মধ্যে হিন্দুধর্মের প্রচলন বেশি। তবে বেশ কিছুসংখ্যক হাজং স্থানীয় আদিবাসী ধর্মের অনুসারী।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ