উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলার সংশ্লিষ্ট কাউকেই পাওয়া গেল না খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে। দল বেঁধে পিকনিকে যাওয়ায় গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। এ সময় যাঁরা সরকারি পরিষেবা নিতে এসেছিলেন সবাই পড়েছেন ভোগান্তিতে।
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, ইউএনও মো. ইয়াছিন উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের নিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার চা-বাগানে পিকনিকে গেছেন।
তাঁদের সঙ্গে থানার ওসি ও চতুর্থ দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত তিনটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরাও (এখনো শপথ নেননি) গেছেন।
এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী বলেন, ‘একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় ইউএনও এবং সব সরকারি কর্মকর্তাকে নিয়ে প্লেজার ভিজিটে এসেছি। ফলে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অধীন সব অফিস বন্ধ রয়েছে।’ জানা গেছে, চেয়ারম্যান, ইউএনও, ওসি-প্রত্যেকেই সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলায় সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, ‘ইউএনওয়ের কাছে এসেছিলাম। তাঁকে না পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। পুরো কার্যালয়টি কেন যে বন্ধ রয়েছে, তাও কারো কাছ থেকে জানতে পারলাম না।’ ইউএনওকে সহায়তার জন্য তাঁর কার্যালয়ের ফটোকপি অপারেটর আবুল হোসেনও পিকনিকে গেছেন।
তিনি জানান, ‘ইউএনও স্যারসহ ফটিকছড়িতে পিকনিকে এসেছি। তাই উপজেলা পরিষদ বন্ধ রয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেম্রাচাই চৌধুরী জানান, ‘খোলার দিনে এভাবে গোটা উপজেলা পরিষদ বন্ধ রেখে পিকনিকে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
জেলার বাইরে যেতে ইউএনও ঊর্ধ্বতন কারো অনুমতি নিয়েছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে ইউএনও মো. ইয়াছিন বলেন, ‘এটি পিকনিক নয়; একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার এক্সপোজার ভিজিটে এসেছি।
তা ছাড়া একটা দিন তো এভাবে কাটাতেই পারি।’
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁকে একাধিকবার মোবাইলে কল দিয়ে ও খুদে বার্তা পাঠিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।