মো. মামুন হোসেনের বয়স ২২ বছর। এখনো কলেজছাত্র তিনি। বছরখানেক আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় অন্য এক কলেজের শিক্ষিকার সঙ্গে। এরপর তাদের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে।
কলেজ শিক্ষিকাকে ছাত্রের বিয়ে, ফেসবুকে ভাইরাল
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

জানা গেছে, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা খাইরুনের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মোহাম্মাদ আলীর ছেলে মামুনের পরিচয় হয়। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ছয় মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। বর্তমানে নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাসায় দুজন বসবাস করছেন। এর আগে ওই শিক্ষিকা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে।
জানতে চাইলে খাইরুন বলেন, ‘প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। সেই সময় ফেসবুকে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে ভালোবাসা হয়। তারপর দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে করি। সমাজে কে কী বলে, তা বড় বিষয় না। আমরা যদি দুজন ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক। আমার পরিবার থেকে সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তার বাড়ি থেকে আমাদের বিয়ে মেনে নিয়েছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি অনেক সুখে আছি।’
মামুন বলেন, ‘মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। খাইরুনকে বিয়ে করে আমি খুশি এবং সুখী। সবার দোয়ায় সারা জীবন এভাবেই থাকতে চাই।’
সম্পর্কিত খবর

এসএসসি পরীক্ষার আগের দিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সিয়াম আহম্মেদ (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সিয়াম উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল খনকারচালা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আমিনুর রহমানের ছেলে। সিয়াম মির্জাপুরের বংশাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে খাবারের পর সিয়ামের মা ও ছোট বোন পাশের বাড়িতে যান।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।

টঙ্গীর মাজার বস্তিতে র্যাবের অভিযান, অস্ত্র-মাদকসহ গ্রেপ্তার ৬
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর

টঙ্গী মাজার বস্তিতে অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহরিয়ার হোসেন সৈকতসহ ৬ জনকে অস্ত্র এবং হিরোইনসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার শাহরিয়ার হোসেন সৈকত গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গাজীপুর এলাকায় ছাত্রদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মধ্যরাতে টঙ্গীর মাজার বস্তিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শাহরিয়ার হোসেন সৈকত (৩২), মো. শাহানুর আহমেদ অমিত (১৮), মো. হিরা (৩২), মো. বায়জিদ (২৭), মো. জাহিদ (১৯) ও মো. নূর ইসলাম (২৭)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায় সৈকত বিভিন্ন সময় অস্ত্রসহ মাদকসম্রাট রবিউল ইসলাম বাবুর সহযোগী হিসেবে ভীতি সঞ্চার করার জন্য শোডাউন করেন। একই সঙ্গে তিনি মাজারবস্তিতে বিভিন্ন স্পটে মাদক বিপণন করেন। পূর্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে শোডাউনের সময় তিনি পলায়ন করেন।
আসামিকে অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি খুব উগ্রভাবে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে তার এন্ড্রয়েড মোবাইল ফরেনসিক করে মাজার বস্তির একটি নির্দিষ্ট স্থানে মাদক বিক্রিসহ, নারীদের ব্যবহার করে হানিট্র্যাপ এবং মাদক বিক্রি করে অর্জিত বিপুল পরিমাণ টাকার ভিডিও এবং ছবি পাওয়া যায়।
র্যাব আরো জানায়, রিভলভারটি ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি মাদক সম্রাট রবিউল ইসলাম বাবুর একটি মাদক স্পট থেকে পাওয়া যায় যেখানে আসামি সৈকত সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি মাদক স্পটে গোপন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শর্ট গান এমুনিশন পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৈকত ৪ আগস্ট ছাত্রদের ওপর গাজীপুর এবং টঙ্গীতে প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ করে ও হামলা চালান। এ সংক্রান্তে তিনি একটি গোপন ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে সরকার পতনের পর তিনি পোস্টটি ডিলিট করেন এবং গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে চলে যান। মাদকসম্রাট রবিউল ইসলাম বাবুর মাদক স্পট থেকে আরো ৫ জন মাদক সেবনকারীকে পাওয়া যায়। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৯৫ গ্রাম হিরোইন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত হিরোইন ল্যাব টেস্ট করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

ধর্ষণ মামলায় জামিনে বেরিয়ে ভুক্তভোগীকে অপহরণ, খোঁজ মেলেনি দুইদিনেও
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বছর তিনেক আগে ধর্ষণ মামলা করে জেল খাটানোর প্রতিশোধ নিতে ফের দাদি ও বোনের সামনে থেকে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (৯ এপ্রিল) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আট জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা।
ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামীরা হলেন— আমতলী উপজেলার হলদিয়া গ্রামের মো: জসিম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে : মোর্শ্বেদ জয় (২০) ও তার সহযোগী মো: নাহিদ মোল্লা, মো: এনায়েত হাওলাদার, মো: জসিম, মো: ইমরান গাজী, শিরিনা আক্তার রুবি, লিপি বেগম ও নাহার বেগম।
ভুক্তভোগীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে এইচএসসি পাশ করেছে। ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তাকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে একই এলাকার মোর্শ্বেদ জয়, মো: নাহিদ মোল্লা ও মো: এনায়েত। সে সময় এ ঘটনায় তিনি কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি বলেন, আমি ব্যবসায়ীক কাজে বাইরে ছিলাম। আমার স্ত্রী একজন শিক্ষিকা।
এই বিষয়ে জানতে মামলার প্রধান আসামী মোর্শেদ জয়ের ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাইনি। আদেশ হাতে পেলে আসামীদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সুন্দরবনে ডাকাতদের কবল থেকে ছয় নারীসহ ৩৩ জেলে উদ্ধার
খুলনা অফিস

সুন্দরবনে দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর অপহরণকৃত ৬ জন নারীসহ ৩৩ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
বিস্তারিত আসছে...
।