চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের নয়া বাজারের সুলতান চৌধুরী মার্কেটের বৈশাখী সাজ জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। গত রবিবার রাত দেড়টায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। এতে স্বর্ণ-চাঁদি ও নগদ অর্থসহ প্রায় ৭০ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয় বলে দাবি করা হয়েছে। চুরির ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ উদ্ধার করা হয়।
হালিশহরে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি, সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক

বৈশাখী সাজ জুয়েলার্সের মালিক সেন্টু ধর বলেন, ‘জুয়েলার্স থেকে স্বর্ণ-চাঁদি ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৭০ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। আমরা এখন থানায় মামলা দায়ের করতে এসেছি।’
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা বলেন, ‘গত রবিবার (১৪ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে বৈশাখী সাজ জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির উদ্দিন বলেন, ’গত রবিবার গভীর রাতে নয়া বাজারের বৈশাখী সাজ জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণ মামলায় জামিনে বেরিয়ে ভুক্তভোগীকে অপহরণ, খোঁজ মেলেনি দুইদিনেও
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বছর তিনেক আগে ধর্ষণ মামলা করে জেল খাটানোর প্রতিশোধ নিতে ফের দাদি ও বোনের সামনে থেকে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (৯ এপ্রিল) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আট জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা।
ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামীরা হলেন— আমতলী উপজেলার হলদিয়া গ্রামের মো: জসিম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে : মোর্শ্বেদ জয় (২০) ও তার সহযোগী মো: নাহিদ মোল্লা, মো: এনায়েত হাওলাদার, মো: জসিম, মো: ইমরান গাজী, শিরিনা আক্তার রুবি, লিপি বেগম ও নাহার বেগম।
ভুক্তভোগীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে এইচএসসি পাশ করেছে। ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তাকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে একই এলাকার মোর্শ্বেদ জয়, মো: নাহিদ মোল্লা ও মো: এনায়েত। সে সময় এ ঘটনায় তিনি কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি বলেন, আমি ব্যবসায়ীক কাজে বাইরে ছিলাম। আমার স্ত্রী একজন শিক্ষিকা।
এই বিষয়ে জানতে মামলার প্রধান আসামী মোর্শেদ জয়ের ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাইনি। আদেশ হাতে পেলে আসামীদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সুন্দরবনে ডাকাতদের কবল থেকে ছয় নারীসহ ৩৩ জেলে উদ্ধার
খুলনা অফিস

সুন্দরবনে দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর অপহরণকৃত ৬ জন নারীসহ ৩৩ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
বিস্তারিত আসছে...
।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খুলনায় অপরাধীরা বেপরোয়া
এইচ এম আলাউদ্দিন, খুলনা

এক সময়ের সন্ত্রাসের জনপথখ্যাত খুলনায় নানাভাবে জড়ো হতে শুরু করেছিল সন্ত্রাসীরা। বেপরোয়া হয়ে উঠে চরমপন্থী গ্রুপগুলো। এক সময় যারা ছিল আতংকের নাম সেইসব সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধানরা কেউ আত্মগোপন থেকে আবার কেউ কারামুক্ত হয়ে শুরু করেছিল নানান অপকর্ম। কখনো হত্যা, কখনো ছুরিকাহত আবার কখনো বিভিন্ন অপকর্ম করে নিজেদেরকে জানান দেওয়া শুরু করেছিল এসব সন্ত্রাসী বাহিনীগুলো।
পুলিশও ঈদের একদিন আগে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে আড়াই ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের পর একটি বাহিনী প্রধানসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে অস্ত্রসহ। যেটি খুলনার আন্ডার ওয়ার্ল্ডকে বড় ধরনের ধাক্কা বলেও মনে করছেন অনেকে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠছে অপরাধীরা।
নগরীর সোনাডাঙ্গার আরামবাগে গত ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধের পর অস্ত্রসহ অন্তত ১০ জনকে গ্রেপ্তারের পর আবারো জেলার রূপসা থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
এভাবে একের পর এক অপরাধের ঘটনা প্রমাণ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনেকটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে নগরীর খালিশপুর থানাধীন জোড়াগেট সংলগ্ন ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে মো. হাসান তালুকদার (১৯) নামের একজনকে।
এ ঘটনার কিছু সময় আগে জেলার রূপসা সেতু টোলপ্লাজা থেকে কুদির বটতলার দিকে যেতে একজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে পাঠায় হাইওয়ে থানা পুলিশ। তার মাথায় আঘাত রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেলেও কিভাবে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন তা জানা যায়নি। লাশটি খুমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
একই রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকায় দুটি কোপাকুপির ঘটনা ঘটে। এতে মোট চারজন আহত হন। তাদেরকেও খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনাডাঙ্গা আল আমিন মহল্লা এলাকা প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আহত হন, খুলনা থানাধীন বাগমারা এলাকার মোহাম্মদ কিসমত গাজীর ছেলে পলাশ (২০) ও একই এলাকার বেল্লালের ছেলে মো. হাসান (২৪)।
এ ছাড়া সোনাডাঙ্গা তৃতীয় আবাসিকের মধ্যেও প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আহত হন, আল ফারুক সোসাইটির সামনে মো. রবিউলের ছেলে মো. আল আমিন (১৮) ও করিমনগরের মো. বাবুলের ছেলে অভি মৃধা (২৪)।
এর আগের রাতে (মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টায়) নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন মো. ভুট্টো সরদার (৪৬) ও তার শ্যালক দিপু (২৭)। তারা দুজনে মোটরসাইকেলযোগে বৈকালী থেকে জরুরি কাজে ডাকবাংলার দিকে যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। এসময় ছিনতাইকারীরা ভুট্টোকে ধারাল অস্ত্রের আঘাত করে নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ওই রাতে কেন তারা বৈকালী থেকে ডাকবাংলার দিকে যাচ্ছিলেন তার সঠিক কোনো কারণও জানা যায়নি। আহত ভুট্টোকেও খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমনকি ছিনতাইকারীরা তাদের মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করে। এভাবেই একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নগরবাসী।
সম্প্রতি নগরীর জাতিসংঘ পার্কের চলমান ঈদ আনন্দ মেলা মাঠে একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ছাড়াও বিগত কয়েক মাস ধরে নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হত্যাসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। যা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেকটা বিব্রত।

সিংগাইরে বাবা-ছেলের ধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণী
সিংগাইর, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বুধবার (৯ এপ্রিল) থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা। মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের বিন্নাডাঙ্গী গ্রামের তারা মিয়া (৫৮) ও তার ছেলে আলামিন (৩৫)।
মামলার এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২৮ বছর বয়সী ভুক্তভোগী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে নিয়ে তার মা উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের বিন্নাডাঙ্গী গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত তারা মিয়া ও তার ছেলে আলামিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু না পাওয়ায় তাদের মতামত জানা যায়নি।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত তারা মিয়া ও ছেলে আলামীনকে আসামি করে থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ভুক্তভোগী তরুণীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।