<p>ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোলায় ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ভোলা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। </p> <p>আজ রবিবার (২৬ মে) সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়ছে। জেলাজুড়ে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এর আগে গতকাল শনিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ১০টা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।</p> <p>বিআইডাব্লিউটিএর ভোলা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ও রাত ১০টা থেকে ভোলা-ঢাকা রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।</p> <p>বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) ভোলার ইলিশা ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ খান জানান, নদী উত্তাল থাকায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।</p> <p>এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। পাশাপাশি উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। ইতিমধ্যে নদী ও সাগরতীরবর্তী এলাকায় থাকা মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে আনার কাজ করছে প্রশাসন।</p> <p>অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানতে পারে এ আশঙ্কায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলার ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৪টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সদস্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মাঠে কাজ করছে। খোলা হয়েছে আটটি কন্ট্রোলরুম। পাশাপাশি জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের লক্ষাধিক বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।</p> <p>ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকে ভোলায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। গতকাল বিকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভোলায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ৫ কিলোমিটার। </p>