<p>সাভারের কাঠগড়া চৌরাস্তা এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে যাওয়া দুটি পরিত্যক্ত কার্টনের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া মস্তকবিহীন খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তার পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ।</p> <p>উদ্ধার হওয়া খণ্ডিত মরদেহটি লাভলী আক্তার (২৮) নামের এক নারীর। তিনি নরসিংদীর জেলার পলাশ উপজেলার ডাংগা বাজার ইসলামপাড়া এলাকার মো. হাজিবরের মেয়ে। স্বামী ওমর ফারুকের সঙ্গে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।</p> <p>ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, চলমান শ্রমিক আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে পরিকল্পিতভাবে ওই নারীকে হত্যা করে কার্টনে ভরে কাঠগড়া এলাকায় ফেলে যায়। নিহতের পরিচয় যাতে শনাক্ত করা না যায় সেই জন্য মস্তক আলাদা করেছে হত্যাকারীরা। গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে চালিয়ে দিয়ে শিল্প এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। </p> <p>লাভলীর স্বামীর বরাদ দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, তার স্বামী জানান, ঘটনার এক দিন আগেই বাবার বাড়ি চলে যান তিনি। তবে কে বা কারা তাকে কী কারণে হত্যা করেছে সেটি তদন্তের পাশাপাশি নিহতের খণ্ডিত মস্তক উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।</p> <p>বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার বিশমাইল-জিরাব সড়কের কাঠগড়া চৌরাস্তা এলাকা থেকে দুটি কার্টনে তিন টুকরা লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। তবে ওই খণ্ডিত মরদেহের মাথা না থাকায় তখন পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।</p>