<p style="text-align:justify">কু‌ড়িগ্রা‌মের রাজারহাটে ভে‌ঙে চল‌ছে করালগ্রাসী তিস্তা নদী। গত ১৫ দিন ধরে তিস্তা নদীর ভাঙনে উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাবখাঁ সরিষাবাড়ি শ্যালোঘাট থেকে পূর্ব চর খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত তীব্র ভাঙন দেখা দি‌য়ে‌ছে। ভাঙন প্রতিরোধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুদিকে জিও ব্যাগ ফেলানো হলেও তা কো‌নো কা‌জে আস‌ছে না।</p> <p style="text-align:justify">ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস‌্য শহিদুল আলম জানান, ‘গত ১৫ দিনে এখানে নয়টি বাড়ি ভেঙেছে। ভাঙনের মুখে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫০ থেকে ৬০টি বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। গত এক সপ্তা‌হে ফকির উদ্দিন, সোনামিয়া, মোন্নাফ, চাঁদমিয়া, মতিয়ার, আতিয়ার, আনম, আজিজুলসহ বাবলু মিয়ার বা‌ড়ি নদী গ‌র্ভে চ‌লে গেছে। ভাঙন রো‌ধে বার বার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ করলেও তারা কো‌নো পদক্ষেপ নেয়‌নি ব‌লে অভিযোগ ক‌রেন এ জনপ্রতি‌নি‌ধি।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, ভাঙন কবলিত মানুষের দুর্দশা সীমাহীন। নদী এই শান্ত এই ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে। গ্রামের ফসলি জমি চলে যাচ্ছে নদী গর্ভে। কৃষকের চোখে-মুখে বসতবাড়ি আর জমি হারানোর বেদনার ছাপ। কিন্তু পাউবো কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অসহায় সেখানকার বা‌সিন্দারা।</p> <p style="text-align:justify">নদী ভাঙ‌নের শিকার কৃষক হামিদ আলী জানান, ‘আমার এক একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন আমার খাওয়ার জমি নাই। ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন পথে বসার মত অবস্থা।’</p> <p style="text-align:justify">জাহেদা বেগম জানান, ‘নদী ভাঙতে ভাঙতে নিঃস্ব হ‌য়ে গে‌ছি। এখন মানুষের হাত-পা ধরেও থাকনের জায়গা পাইছি না।’</p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, বাজেট সংকটের কারণে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দিতে পারছি না। তবে স্কুলটি রক্ষায় ইতিমধ্যে ৩শ জিও ব্যাগ ফেলেছি।</p>