<p>অতিভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিপৎসীমা অতিক্রম করে নদীতীরবর্তী চার জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তবে এ পানি ধীরে ধীরে কমে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।</p> <p>আজ ২৮ (সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ এলাকার ডালিয়া পয়েন্টে নদীটির পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। </p> <p>এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় নদীটির পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি বৃদ্ধির ফলে বরাবরের মতো খোলা রয়েছে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটের সবগুলো।</p> <p>অপরদিকে গত দুই দিনের মতো আজও অব্যাহত রয়েছে টানা বৃষ্টি। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।</p> <p>পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তিস্তার পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে লালমনিরহাটসহ নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নদীতীরবর্তী কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। </p> <p>এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেলে এসব এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।</p> <p>লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার তীরবর্তী কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নেই। আর আগামী কয়েক ঘণ্টা পর তিস্তার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।</p>