<p>শরৎ ঋতুকে বিদায় দিয়ে শুরু হয়েছে হেমন্ত। দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। দিনভর গরম থাকলেও বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি। ফসলের খেতসহ ঘাসে শিশির এঁকে দিচ্ছে শীতের চিহ্ন। শান্ত-নীরব প্রকৃতি।</p> <p>রংপুর বিভাগে গত কয়েকদিন ধরেই ভোর শুরু হচ্ছে শীতের আমেজ দিয়ে।চারপাশে কুয়াশার আস্তরণ।এর সাথে বইছে বাতাস হিমেল ঠান্ডার অনুভূতি করা যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে পঞ্চগড়সহ অনেক জেলা বাইরের আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা অনুভতি হচ্ছে। সকালের সড়ক-মহাসড়কে কুয়াশার ফলে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জালিয়ে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ওবায়দুল কাদেরকে ধরিয়ে দিতে ‘পুরস্কার’ ঘোষণা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729413937-485504ce9e76b2b6f3334361e50db0ca.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ওবায়দুল কাদেরকে ধরিয়ে দিতে ‘পুরস্কার’ ঘোষণা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/20/1437121" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ঢাকা থেকে রংপুরগামী বাস চালক মোস্তাক আহমেদ জানান, মধ্যরাতে সড়কে কুয়াশা পড়ছে। এর ফলে হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করতে হচ্ছে। তবে শীত আস্তে না আস্তে ঘনকুয়াশার অনুভতি হচ্ছে।</p> <p>রংপুর নগরীর বাহার কাছনা মজিদ মার্কেটে এলাকার মো. হোসেন গাছীর সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। তিনি শীত মৌসুমে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করেন। চলতি বছর আগাম শীতের বার্তা আসায় তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন খেজুর গাছ প্রস্তুত করার।</p> <p>রংপুর বিভাগে প্রকৃতির খেয়ালে শরতেই গ্রীষ্ম,বর্ষা ও শীতসহ চার ঋতুর আমেজ বিরাজ করছে। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিতে ভোরে কিছুটা শীতের আমেজ। অপরদিকে দুপুরের গরম মনে করিয়ে দিচ্ছে গ্রীষ্মকাল। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা মনে করিয়ে দিচ্ছে শরতের কথা। গত কয়েকদিন প্রকৃতির এমনটাই রূপ দেখা গেছে রংপুরসহ কয়েকটি জেলায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক নিয়োগ : আসিফ মাহমুদ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729329886-1c2c0fd19022ce8bb0504cb2031ba513.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক নিয়োগ : আসিফ মাহমুদ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/19/1436779" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বাংলা বর্ষ পঞ্জিকা মতে এখন শরত ঋতু। ভাদ্র ও আশ্বিন মাসকে ঘিরে থাকা শরতকে সাধারণত ঋতুর রাণী বলা হয়। কার্তিক মাসের ৩ দিন চলছে। এই ঋতুতে কাশফুল, মেঘমুক্ত নীল আকাশ আর ফসলের মাঠ সবুজে সবুজে ভরে যায়। অনেক স্থানে আবার বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পর দিনে প্রচণ্ড গরম আবার ভোররাতে শীতের আমেজ। দিনের বেলা ভ্যাপসা গরমে অধিকাংশ বাড়িতেই দেখা দিয়েছে জ্বর-শর্দি, কাশি। এমন জ্বর-শর্দি নিয়ে অনেকেই বিব্রতকর অবস্থা রয়েছেন। এদিকে গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অনেকস্থানে হালকা শিশির পড়তে দেখা গেছে। এ অঞ্চলের মানুষ বর্তমানে এক ঋতুর মধ্যে চারঋতুর আমেজ অনুভব করছেন।</p> <p>রংপুরের গংগাচড়া চরাঞ্চলের কৃষক বেলাল, সাদেক, জয়নাল বলেন, ক্ষেতে ভাইরাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এই সময় সবজির দাম বেশি। এর ফলে সবজি চাষে কৃষকরা ঝুকে পড়ছে। এদিকে দিনে গরম থাকলেও মাঝরাতে মৃদু বাতাস এই ঠান্ডা লেগে যায়। তাই মাঝরাতের পর থেকে হালকা শীতের কাপড় গরম বইছে, আবার রাতে ঠান্ডার অনুভূতি বাড়তে থাকে। শেষ রাত থেকে শরীরে কম্বল দিয়ে ঘুমাতে হয়।</p> <p>রংপুরের নগরীর জয়নাল আবেদীন বলেন, সকালে আলাদা একটা বিশেষত্ব মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, ঘুম ঘুম চোখে খুব সকালে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বোঝার চেষ্টা করছিলাম মেঘ নাকি কুয়াশা! নিশ্চিত হলাম ঘনকুয়াশা পড়ছে। সাথে শীত শীত অনুভূত হচ্ছিল। কয়েকদিন আগের টানা বৃষ্টির কারণে মৃদু ঠান্ডা শীতের আগাম বার্তা জানিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। তাই এখন থেকে আমাদের শীতের প্রস্তুতি নিতে হবে। পুরোদমে শীত শুরু না হতেই সরকার যদি শীতবস্ত্র বিতরণ করে তাহলে হয়ত নিম্নআয়ের মানুষেরা শীত মোকাবেলা করতে পারবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729341627-b0f78ec8880ed83ed0a6579c0d2661db.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/19/1436826" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ার শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকেলে তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন এ সময় এ অঞ্চলের আবহাওয়া এ ধরনের থাকে। রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চলতি বছরে শীত বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। প্রতি দিনেরই শীত বাড়ছে।</p> <p>রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, রংপুরে আগাম শীতের অনুভতি হচ্ছে। এই শীতে গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষ কষ্টে না পায় এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শীত বস্ত্র ও খাবার ব্যবস্থা করার প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে।</p>