মৌসুম বদলের সময় আইসক্রিম খেতে মানা?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মৌসুম বদলের সময় আইসক্রিম খেতে মানা?
সংগৃহীত ছবি

আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠাণ্ডা কিছুটা গরম। মৌসুমও বদলাচ্ছে। রাতের দিকে আবার ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে। এই সময় অনেকেই বাচ্চাদের আইসক্রিম খেতে নিষেধ করেন।

এই পরিস্থিতিতে আইসক্রিম খেলে সন্তানের ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে বলে মনে করেন অনেক বাবা-মা। তাই সন্তানকে আইসক্রিম খেতে দেন না। তবে সত্যিই কি এই মৌসুমে আইসক্রিম খেলে সন্তান অসুস্থ হতে পারে? তার উত্তর নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বেশির ভাগ মানুষই মনে করেন আইসক্রিম খেলে সর্দি-কাশি লেগে যাবে। অসুস্থ হয়ে পড়বে সন্তান। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বলেই জানালেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতল পরিবেশে ঠাণ্ড ঠাণ্ডা আইসক্রিম খেতে কোনো সমস্যা নেই।

এর থেকে শরীরে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এই প্রসঙ্গে তারা বিদেশে প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও আইসক্রিম খাওয়ার উদাহরণ টানেন। তাই শীতকালে বা এই মৌসুম বদলের সময় সন্তানকে আইসক্রিম খাওয়ানোয় আদতে কোনো ক্ষতি নেই বলেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন
মৌসুমি বায়ু বিদায় শুরু, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা

মৌসুমি বায়ু বিদায় শুরু, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা

 

যে সময় আইসক্রিম দেবেন না

প্রচণ্ড গরমে ঘর্মাক্ত অবস্থায় সন্তানকে আইসক্রিম খেতে দেবেন না। এ পরিস্থিতিতে ঠাণ্ডা আইসক্রিমে কামড় দিলে গলায় কোল্ড ইনজুরি হতে পারে।

তা থেকে সন্তানের ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা থেকে যায় বলে জানালেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাই আইসক্রিম সব সময় খেতে হবে ঠাণ্ডা পরিবেশে। ঘামতে ঘামতে আইসক্রিম খেলে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি থাকে।

যেমন আইসক্রিম খাওয়াবেন

আইসক্রিম দেওয়ার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে বাবা-মায়েদের। যেমন আইসক্রিম যেন একেবারে জমাট বরফ না হয়। এতে ক্রিম বেশি এবং বরফ কম থাকলেই ভালো। তাতে আইসক্রিমে কামড় দিলেই দাঁত শিরশির করে উঠবে না। কোল্ড ইনজুরির সম্ভাবনাও কমবে। আর বাচ্চারাও উপভোগ করে সেই আইসক্রিম খেতে পারবে।

আরো পড়ুন
সন্তানের মুখে ঘা, দূর করবেন যেভাবে

সন্তানের মুখে ঘা, দূর করবেন যেভাবে

 

যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

সন্তানকে আইসক্রিম খেতে দেওয়ার আগে তার মান দেখে নেওয়া জরুরি। ভালো ব্র্যান্ডের আইসক্রিমই সব সময় বেছে নিবেন। কারণ সঠিক পদ্ধতি এবং হাইজিন মেনে আইসক্রিম না বানানো হলে বিপদ। কারণ তা থেকে একাধিক রোগ হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। আসলে দুধ জমাট বাঁধিয়েই তো আইসক্রিম তৈরি হয়। সেই দুধ খারাপ হয়ে থাকলে এবং তার আইসক্রিম খেলে অনেক রোগ পিছু নিতে পারে। এর থেকে ডায়ারিয়া, খাদ্যে বিষক্রিয়া, হেপাটাইটিস, জন্ডিস ও টাইফয়েড হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই স্থানীয় কোনো কম্পানির আইসক্রিম দেওয়ার আগে দুবার ভাববেন।

আরো পড়ুন
সন্তানের সফলতার জন্য যে দক্ষতা গড়ে তুলবেন

সন্তানের সফলতার জন্য যে দক্ষতা গড়ে তুলবেন

 

আর দাঁতের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আইসক্রিম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল খাইয়ে দিতে হবে সন্তানদের। তাতেই দাঁতের ক্ষতিও আটকানো যাবে। এ ছাড়া মাথায় রাখতে হবে, আইসক্রিমের কারণে ওবেসিটি হতে পারে। তাই যেসব শিশুর ওজন বেশির দিকে, তাদের আইসক্রিম কম দেওয়াই ভালো।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদে কেনাকাটায় যে সতর্কতা অবলম্বন করবেন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদে কেনাকাটায় যে সতর্কতা অবলম্বন করবেন
সংগৃহীত ছবি

ঈদ মানেই খুশি আর ঈদ মানেই আনন্দ। আর ঈদের আনন্দের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে কেনাকাটা। নতুন পোশাক, উপহারসামগ্রী, সুস্বাদু খাবার—সব মিলিয়ে ঈদের বাজার হয়ে ওঠে জমজমাট। তবে অতি উৎসাহ কিংবা অসতর্কতার ফলে অনেকেই প্রতারিত হন কিংবা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে ফেলেন।

সঠিক পরিকল্পনা এবং কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করলে আপনি ঈদের কেনাকাটায় হয়ে উঠতে পারেন বুদ্ধিমান ক্রেতা। তাই ঈদের কেনাকাটা সময় আপনি কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন তাই নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।

পরিকল্পনা করে নিন
ঈদের বাজারে যেকোনো পণ্যের চাহিদা থাকে বেশি, ফলে দামও তুলনামূলক বেশি হতে পারে। তাই আগেভাগেই একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন—কী কী কিনতে হবে, কোনটির কতটা প্রয়োজন এবং বাজেট কতটুকু হবে।

তালিকা তৈরি করলে আপনি অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার প্রবণতা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

বাজার যাচাই করুন
একই পণ্য বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। বিশেষ করে ঈদের সময় অনেক বিক্রেতা উচ্চমূল্য দাবি করেন। তাই এক দোকানে গিয়ে কেনার আগে কয়েকটি দোকান ঘুরে দাম যাচাই করুন।

অনলাইনে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট থেকেও দাম তুলনা করতে পারেন।

অফার ও ছাড়ের ফাঁদে পা দেবেন না
ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও দোকান ‘বিশেষ ছাড়’, ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ ইত্যাদি অফার দেয়। তবে সব অফারই আসলে লাভজনক নাও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে পুরোনো বা কম চাহিদাসম্পন্ন পণ্য বিক্রির জন্যই এমন অফার দেওয়া হয়। তাই অফার দেখলেই না কিনে পণ্যের গুণগত মান যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন।

নকল ও নিম্নমানের পণ্য এড়িয়ে চলুন
ঈদের সময়ে চাহিদার কারণে বাজারে নকল ও নিম্নমানের পণ্যের ছড়াছড়ি থাকে। বিশেষ করে প্রসাধনী, পোশাক, পারফিউম ও ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতারণা বেশি দেখা যায়। সঠিক ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে হলে নির্ভরযোগ্য দোকান থেকে কেনাকাটা করুন এবং সম্ভব হলে রসিদ সংগ্রহ করুন।

অনলাইন কেনাকাটায় সতর্ক থাকুন
অনলাইনে ঈদের কেনাকাটা এখন বেশ জনপ্রিয়। তবে ফেসবুক বা অনলাইন শপ থেকে কেনার আগে তাদের রিভিউ দেখে নিন, পণ্যের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করুন এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা থাকলে তা বেছে নিন।

কেনাকাটার সময় ঠান্ডা মাথায় ভাবুন
ঈদের কেনাকাটার সময় অনেকেই হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, যা পরে পছন্দ না হলে আফসোস করতে হয়। কোনো পোশাক বা পণ্য কেনার আগে ভেবে দেখুন সেটি আপনার প্রয়োজনীয় কিনা, মানসম্মত কিনা এবং দামের তুলনায় যথাযথ কিনা।

পরিবহন ও ভিড় সামলানোর প্রস্তুতি নিন
ঈদের আগে বাজার ও শপিং মলগুলো প্রচণ্ড ভিড় থাকে। তাই কেনাকাটার জন্য এমন সময় বেছে নিন, যখন তুলনামূলক কম ভিড় থাকবে। প্রয়োজনে নিজের বা পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়েও সচেতন থাকুন।

বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটায় বাড়তি মনোযোগ দিন
বাচ্চাদের পোশাক ও জুতা কেনার সময় মান ও আরামের বিষয়টি মাথায় রাখুন। অনেক সময় বেশি চকচকে বা স্টাইলিশ পোশাক দেখতে সুন্দর লাগলেও আরামদায়ক নাও হতে পারে।

বাজেটের সীমা বজায় রাখুন
ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকেই বাজেটের বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করেন, যা পরে আর্থিক চাপে পরিণত হয়। তাই নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করুন এবং অহেতুক খরচ এড়িয়ে চলুন।

হাসিমুখে কেনাকাটা করুন
ঈদের কেনাকাটা যেন আনন্দের কারণ হয়, উদ্বেগের নয়। দরদাম করার সময় নম্রতা বজায় রাখুন, দোকানদারদের সাথে ভদ্র আচরণ করুন। 

মেয়েদের কেনাকাটায় বাড়তি সতর্কতা
ঈদের সময় শপিং মল ও বাজারে প্রচণ্ড ভিড় হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে হয়রানি বা চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দলবেঁধে কেনাকাটা করা ভালো এবং সম্ভব হলে দিনের বেলায় কেনাকাটা করাই নিরাপদ। হ্যান্ডব্যাগ ও মূল্যবান জিনিসের নিরাপত্তার জন্য কেনাকাটার সময় ব্যাগে বেশি টাকা, গয়না বা মূল্যবান জিনিস রাখা উচিত নয়। ব্যাগ সামনে ধরে রাখলে এবং চেইন লাগানো থাকলে নিরাপদ থাকা যায়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হার্ট সুস্থ রাখতে পেয়ারা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
হার্ট সুস্থ রাখতে পেয়ারা
সংগৃহীত ছবি

গরমের দিনে হার্টের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অনেকে পেয়ারা খেয়ে থাকেন। এই ফলটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং গরমের সময়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।

পটাশিয়ামে ভরপুর
পেয়ারায় উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে। পেয়ারা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ
পেয়ারায় ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে হার্টকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

 

ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার
১০০ গ্রাম পেয়ারায় প্রায় ২২৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
পেয়ারা খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে থাকে। পেয়ারা এটি কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে সাহায্য করে।

যা হৃদরোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া পেয়ারার মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।

সূত্র: এই সময়

মন্তব্য

ডায়াবেটিক রোগীদের কি খেজুর খাওয়া নিরাপদ?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়াবেটিক রোগীদের কি খেজুর খাওয়া নিরাপদ?
সংগৃহীত ছবি

খেজুর একটি প্রাকৃতিক মিষ্টিসমৃদ্ধ ফল। যা সাধারণত শক্তি বৃদ্ধির জন্য খাওয়া হয়। যদিও এতে প্রাকৃতিকভাবে চিনির পরিমাণ বেশি। তবে এতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানও রয়েছে।

যা একে পরিশোধিত চিনির একটি ভালো বিকল্প করে তোলে। 

খেজুরের গ্লাইসেমিক সূচক (জিআই) কম থেকে মাঝারি। অর্থাৎ এটি শরীরে ধীরে ধীরে শর্করা প্রবাহিত করে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়ায় না। খেজুরে থাকা ফাইবার হজম ও গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করে দেয়।

এতে থাকা পলিফেনল প্রদাহ কমায়। এ ছাড়া খেজুরের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

চলুন জেনে নেই খেজুরের বিভিন্ন প্রকার।

আজওয়া খেজুর: ছোট, গাঢ় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, এতে চর্বি কম এবং প্রোটিন ও ফাইবার বেশি।

কিমিয়া খেজুর: নরম এবং মিষ্টি, এটি মিল্কশেক ও মিষ্টান্নে ব্যবহৃত হয়। তবে এগুলো অল্প পরিমাণে খাওয়া ভালো।

মেডজুল খেজুর: এটি খুবই মিষ্টি, তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

ডেগলেট নুর খেজুর: হালকা মিষ্টি এবং আধা-শুকনো। এতে ফাইবার ও প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে।

যা এনার্জি বার এবং স্ন্যাক্সে ব্যবহৃত হয়।

যারা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাদের জন্য খেজুর সঠিক পরিমাণে খাওয়া ভালো। প্রতিদিন ২-৩টি খেজুরের সঙ্গে বাদাম বা দই মিশিয়ে খেলে দেহে চিনির শোষণ ধীরগতির হয়। এ ছাড়া খেজুর ওটসের সাথে খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ভালো হয়। ইফতারিতে খেজুর খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকবে। এতে পেটও ভরবে এবং গ্লকোজও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

সূত্র: ক্লিভল্যান্ড

মন্তব্য

কাশি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কাশি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
সংগৃহীত ছবি

আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে গার্গল করলে কাশি ও গলা ব্যথা দুটোই কমে যায়। তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন, শুষ্ক বাতাস এবং ঠাণ্ডা থেকে গরম পরিবেশে প্রবেশ- এসবই সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়িয়ে তোলে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মধু 
সর্দি এবং কাশির জন্য পরীক্ষিত একটি ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে মধু। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সর্দি এবং কাশি নিরাময়ের জন্য মধু অনেক কার্যকর এবং এটি ওষুধের চেয়ে বেশি উপকারী হতে পারে।

আদা
চিকিৎসকদের মতে, কাশির সমস্যা দূর করতে আদা অত্যন্ত কার্যকর।

ছোট ছোট আদা টুকরোর সঙ্গে লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ পরপর খেলে কাশি কমে যায়। এ ছাড়া আদা চা করে খেলেও কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

লবঙ্গ
কাশির সমস্যায় উপকারী হতে পারে লবঙ্গ। কিছু টুকরো লবঙ্গ মুখে রেখে মাঝেমধ্যে একটু চাপ দিয়ে রস বের করে গিলে ফেললে গলা আরাম পায় এবং জীবাণু দূর হয়।

তুলসী
তুলসীপাতা ও মধু মিশিয়ে কাশি কমানোর জন্য একটি কার্যকর মিশ্রণ তৈরি করা যেতে পারে। দিনে দুই থেকে তিনবার এটি খেলে কাশি অনেকটা কমে যায়।

সূত্র : নিউজ ১৮

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ