<p>মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল। যে দল জিতবে তারাই নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন হবে। এমন সমীকরণে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩২ রানে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জিতেছে নিউজিল্যান্ড।</p> <p>প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পথে ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিংয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েছিলেন লরা উলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটস। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে সামনে থেকে নেতৃত্বও দিচ্ছিলেন অধিনায়ক উলভার্ট। তবে ১৭ রানে ব্রিটস আউট হওয়ার পরেই ম্যাচের গতিপথ যায় ঘুরে। একের পর এক উইকেট হারিয়ে এক সময় তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৭৭ রান। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস ছিল উলভার্টের।</p> <p>সেই ধাক্কা আর পরে সামলিয়ে উঠতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। নির্ধারিত ওভার শেষে পরে ৯ উইকেটে ১২৬ রানের বেশি আর করতে পারেনি তারা। ৩২ রানে হেরে টানা দ্বিতীয়বার খালি হাতে ফিরতে হলো তাদের। গতবারের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। অন্যদিকে তৃতীয়বার ফাইনাল খেলে সফল হয়েছে কিউইরা। প্রথমবারের মতো কোনো সংস্করণের বিশ্বকাপ জিতেছে তারা। </p> <p>এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে না পারলেও প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তিনটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে প্রোটিয়াদের ১৫৯ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। দলীয় ১৬ রানের মাথায় জর্জিয়া পিলিমার ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়েন সুজি বেটস ও অ্যামিলিয়া কার।</p> <p>ওপেনিংয়ে নেমে ৩২ রানের ইনিংস খেলে বেটস আউট হলে একটু চাপে পড়ে কিউইরা। কারণ চারে নেমে দ্রুতই ফিরে যান অধিনায়ক সোফি ডিভাইন (৬ রান)। তবে চতুর্থ উইকেটে দুর্দান্ত ৫৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন কার ও ব্রুক হ্যালিডে। তবে ১৪ রানের ব্যবধানে দুজনে দ্রুত ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। ব্রুকের ৩৮ রানের বিপরীতে ৪৩ রান করেন কার। শেষ দিকে ৬ বলে ১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ১৫৮ রানের স্কোর এনে দেন ম্যাডি গ্রিন।</p>