<p>বগুড়ার সোনাতলায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঙালী নদীর ওপর প্রায় ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পূর্ব সোনাতলার সঙ্গে পশ্চিম সোনাতলা এলাকার মানুষের যোগাযোগের সেতুবন্ধ স্থাপিত হয়। সেই সঙ্গে নদী পারাপারের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির সমাপ্তি ঘটে।</p> <p>সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে জোড়গাছা ইউনিয়নের হলিদাবগা এলাকায় বাঙালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের স্বপ্ন দেখছিল স্থানীয়রা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও এলাকাবাসীর সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে।</p> <p>এলাকাবাসীর সেই স্বপ্ন থেকেই বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণের নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে নদীপারের ১২ গ্রামের লোকজন। তাদের সেই উদ্যোগ থেকে সংগ্রহ করা হয় বাঁশ। ইতোমধ্যেই প্রায় এক হাজার ২০০ বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। সাঁকোটি নির্মাণে এলাকাবাসীদের পাশাপাশি বিত্তবানরা সহযোগিতার হাত বাড়ায়। সাঁকো নির্মাণ করতে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এটি নির্মিত হওয়ায় আশপাশের প্রায় ১২ গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিঙি নৌকা দিয়ে প্রতিনিয়ত নদী পারাপার হয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।</p> <p>হলিদাবগা গ্রামের নুরুজ্জামান বাদল, বাউল মুকুল, রোস্তম আলী মণ্ডল, ডা. আজাহার আলী, উপাধ্যক্ষ তরিকুল আলম স্বপন বলেন, এবার বাঁশ দিয়ে বাঙালী নদীর ওপর সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ইতোমধ্যেই সাঁকোর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।</p> <p>জোড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী বলেন, এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট। এই খেয়াঘাটের ওপর একটি হাট রয়েছে। এই খেয়াঘাটে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে এটি একটি বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হবে। </p> <p>সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বলেন, এখানে বাঙালী নদীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের দূরত্ব প্রায় ৩০০ মিটার। এখানে স্থানীয়দের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। যেটি একটি বিরল ঘটনা। এখানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করতে প্রায় দেড় শ কোটি টাকার প্রয়োজন। </p> <p>তিনি বলেন, রাজনৈতিক একজন প্রভাবশালী নেতার পক্ষেই এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ আনা কেবল মাত্র সম্ভব। বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।</p> <p>সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, সোনাতলা একটি বাণিজ্যিক এলাকা। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর ক্ষেত্রে যোগাযোগ একটি ফ্যাক্টর। সে ক্ষেত্রে ওই খেয়াঘাটে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা হবে।</p>