<p>যশোরের মণিরামপুর উপজলোর চিনাটোলা ঋষি পল্লীর অন্তত দেড় শ পরিবারেরহাজার খানেক মানুষ বাঁশ-বেত দিয়ে মোড়া তৈরি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। মোড়া তৈরি বংশপরম্পরায়ি তাদের পেশা। তাদের নিজস্ব কোনো জমিজমা নেই, মোড়া তৈরিই তাদের জীবন-জীবিকার পথ, বেঁচে থাকার অবলম্বন।</p> <p>মণিরামপুর উপজলোর চিনাটোলা গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে হরিহর নদ। এই নদের তীর ঘেঁষে ঋষি পল্লীতে অন্তত দেড় শ পরিবারে হাজার খানেক মানুষের বসবাস। এই পল্লীর বাসিন্দাদের মূল পেশা হলো মোড়া তৈরি করা। মোড়া তৈরি তাদের জীবন-জীবিকার মূল উৎস, বেঁচে থাকার অবলম্বন। পূর্বপুরুষের আদি এ পেশা আঁকড়ে ধরেই স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে নিয়েছেন তারা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জাতীয় পরিচয়পত্র করতে আসা ২ রোহিঙ্গাসহ আটক ৩" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732004451-a4dba9b67cf54c1c9da7b162dfbc1b74.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জাতীয় পরিচয়পত্র করতে আসা ২ রোহিঙ্গাসহ আটক ৩</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/19/1448321" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি পরিবারের নারী-পুরুষ, এমনকি তাদের সন্তানরাও মোড়া তৈরির কাজ করছে। গোবিন্দ দাস, নরেন দাস, অনিতা দাস ও শ্যামলী দাস সারিবদ্ধভাবে বসে আপন মনে মোড়া তৈরি করছেন। কেউ বেতি দিয়ে মোড়া তৈরি শুরু করেছেন। কেউ বা মোড়ার ফিনিশিং কাজটা করছেন। তারা জানান, বাঁশ (তল্লা), কট, বেত, সাইকেলের পুরনো টায়ার, রঙের সংমশ্রিণে ছাউনি করে টায়ার আড়া ও কোমর পেঁচিয়ে বাঁধাই করে বানানো প্রতি জোড়া মোড়া ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা লাভ হয়। এভাবে একজন দিনে তিন-চারটি মোড়া বানাতে পারেন। তাদের তৈরীকৃত মোড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, বাংলাবান্ধা, পঞ্চগড়, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা এসে কিনে নেন। আবার অনেক সময় মণিরামপুর থেকেও তারা পাইকারদের কাছে পাঠিয়ে দেন। এমনকি বিদেশেও যায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গাজীপুরে ফের শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732000376-d910c0bfa749cd12cea822ced3c1f8b7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গাজীপুরে ফের শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/19/1448305" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গোবিন্দাস বলেন, ‘বাঁশ-বেতের দাম বেশি, প্লাস্টিক এসে এ কেউ কিনতি চায় না, ব্যাচা-বিক্রি কমে গেছে। বাপ-দাদার পিশা ছাড়তি পারি না। কোনো রকম দুমুঠো খাইয়ে পরে বাঁচে আছি।’</p> <p>মোড়া কারিগর গৃহবধূ অনিতা দাস (৩০) বলেন, ‘জমি-জুমা নেই, মোড়াই আমাগে আশা-ভরসা’। বাঁচে থাহার একমাত্র পথ।’</p> <p>মোড়াশিল্পীদের প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক অধ্যাপক নারগিস পারভীন বলেন, ‘মোড়া তৈরি করা তাদের শখ নয়, বরং বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। তাদের বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত প্রয়োজন।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এবার চাকরিচ্যুত হলেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬২ জন কর্মকর্তা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1731995223-d82319912041449cd31bdb7e7569d171.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এবার চাকরিচ্যুত হলেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬২ জন কর্মকর্তা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/19/1448287" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মণিরামপুর মহিলা কলেজের অধ্যাপক রিপন আলী বলেন, ‘সরকারিভাবে অল্প লাভে ঋণ সহায়তা দিলে এ শিল্পের কারিগররা স্বাবলম্বী হবে এবং  শিল্পটি টিকে থাকবে।’</p> <p>উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘মোড়া তৈরির সাথে সংশ্লিষ্ট প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তালিকা তৈরি করে সমাজসেবা দপ্তরের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1731993293-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/19/1448280" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মণিরামপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মো. রেজাউল হক বলেন, ‘মোড়া তৈরির সাথে সংশ্লিষ্টরা খুব দরিদ্র ও অসহায়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হবে।’</p>