<p>জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় আগাম আমন ধান কাটা নিয়ে চলছে উৎসবমুখর পরিবেশ। এ বছর ধানের ভালো ফলন ও বাজারে উচ্চমূল্যের কারণে কৃষকদের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি। মাঠজুড়ে সোনালী ধানের শীষে ভরা পরিবেশ এবং কৃষকদের নিরন্তর ব্যস্ততা নতুন আশার আলো ছড়াচ্ছে। </p> <p>উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর উপজেলায় মোট ১২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে, যার মধ্যে হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষ ছিল উল্লেখযোগ্য।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আল্লাহর কাছে তালেবে ইলমের বিশেষ মর্যাদা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/14/1731575136-e4aeb399de717057fc25f556794de4e3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আল্লাহর কাছে তালেবে ইলমের বিশেষ মর্যাদা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Islamic-lifestylie/2024/11/14/1446548" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কালাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মাঠজুড়ে ধান কাটার ব্যস্ততা চলছে। ভালো আবহাওয়া,পর্যাপ্ত বৃষ্টি, এবং কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। উপজেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান, ৩০০০ হেক্টর জমিতে উপশী জাতের ধান এবং বিনা-১৬ ও ১৭ জাতের জমিতে ৩০০০ হেক্টর চাষ হয়েছে। এছাড়াও ব্রি-ধান ৭৫ ও ৮৭ জাতের ধান ৩,৫০০ হেক্টর জমিতে এবং আতব ধান ৬৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। মামুন ও আতব গোল্ডেন জাতের ধানও ১ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে।</p> <p>এ বছর ধানের বাজার দরে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় বাজারে আতব ধানের দাম ১ হাজার ৯০০ টাকা, আতব গোল্ডেন ১ হাজার৭৫০ টাকা, এবং মামুন ও ধানী গোল্ডেন ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে দারুণ উচ্ছ্বাস।</p> <p>কালাইয়ের কৃষক ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম, কিন্তু ফলন ভালো হওয়ায় এবং পোকামাকড়ের উপদ্রব না থাকায় আমাদের কষ্ট সার্থক হয়েছে। বাজার দরও সন্তোষজনক।’</p> <p>কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, এবার প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১৫ মণ ধান পেয়েছি। যদিও বিঘাপ্রতি খরচ ছিল ১০-১২ হাজার টাকা, তবে এই দামে ভালো লাভের আশা করছি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের বৈঠক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/14/1731574470-b48331eb38c53134d36ee1b29a372eec.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের বৈঠক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/14/1446542" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উদয়পুর বাজারের কৃষক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৮ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি এবং ইতোমধ্যে ২ বিঘার ধান ঘরে তুলেছি। দ্রুত বাকি ৬ বিঘার ধানও ঘরে তুলে আলু চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’</p> <p>কালাই সদর হাটের ধানের পাইকার শহিদুল আলম জানান, হাটে এখন নতুন ধানের সরবরাহ কম থাকায় দাম কমার সম্ভাবনা নেই, বরং কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অধিকাংশ কৃষক বাড়ি থেকেই ধান বিক্রি করছে, এবং আমরা ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায় ধান কিনছি।</p> <p>উপজেলা কৃষি অফিসার অরুণ চন্দ্র রায় জানান, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ধানের গাছ হেলে পড়েছি। তবে ধানের দানাগুলো শক্ত থাকায় হেলে পড়া গাছের তেমন ক্ষতি হয়নি। সময়মতো সঠিক পরামর্শ দেওয়ায় কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছেন।</p>