<p>হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমসি জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভুক্তভোগী চা শ্রমিক বিপুলা কৈরীর ছেলে রামু কৈরী এ মামলা দায়ের করেন।</p> <p>অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক হলেন, হাসপাতালের আরএমও মুমিন উদ্দিন চৌধুরী ও ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ড. সৌরভ বিশ্বাস।</p> <p>জানা যায়, চুনারুঘাটের গেলানী চা বাগানের শ্রমিক বিপুলা কৈরী (৬০) গুরুতর জখম হয়ে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় চিকিৎসকরা এক্সরে করতে বললে তিনি কোথায় এক্সরে করবেন তা জানতে চাইলে চিকিৎসকরা ১ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালেই এক্সরের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তাকে দেন ৪০০ টাকার রসিদ। ১০দিন পর তাকে যে ছাড়পত্র দেওয়া হয় সেখানে হাতে ফ্র্যাকচার আছে বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসকরা। এই ছাড়পত্র নিয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক এমসি তলব করেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে যে এমসি সরবরাহ করা হয় সেখানে বলা হয় আঘাত সাধারণ এবং কোনো ফ্রাকচার পাওয়া যায়নি। এই খবর জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান বিপুল কৈরী।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স থাকলেও নেই চালক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/22/1729597997-75f65f236a823e153c5ef76c9d45441e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স থাকলেও নেই চালক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/22/1437941" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এ ঘটনায় বুধবার তার ছেলে রামু কৈরী হাসপাতালের আরএমও মুমিন উদ্দিন চৌধুরী ও ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ড. সৌরভ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে সিভিল সার্জনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।</p> <p>রামু কৈরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ সাঈদ বলেন, হাসপাতালের এমসি জালিয়াতির কারণে দরিদ্র লোকজন ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। তাই সরকারি কাজে অবহেলা, তথ্য গোপন ও জালিয়াতির অভিযোগে দুই ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।</p>