<p>সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছেন ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনিস্টিটিউট হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ডা. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে। </p> <p>জানা যায়, সংবাদ সম্মেলনে একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক গতকাল একটি নিউজের জন্য বক্তব্য নিতে চাইলে হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান তাকে হুমকি দেন। একজন চিকিৎসক গণমাধ্যমকর্মীকে হুমকি দিতে পারেন কিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন রাখেন ওই সাংবাদিক। </p> <p>তা ছাড়া ন্যাশনাল হাপাতালের সঙ্গে ডা. মাহাবুবুর রহমান কলেজের সংঘর্ষে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ কীভাবে জড়িত হলো এমন প্রশ্ন করা হলে প্রশ্নটিও এড়িয়ে যান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হয়ে গেল সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা। </p> <p>সংবাদ সম্মেলনে থাকা সাংবাদিক ইমরান হোসাইন বলেন, ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মহিমা আক্তার শেফাকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় আমি বক্তব্য জানতে ফোন দিই। পরে শেফার বক্তব্য দেওয়া শেষ না করেই ফোন কেটে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর তার ভাই হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ডাক্তার ইমরান আমাকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকি দেন। ঘটনাটি আজ সংবাদ সম্মেলনে জানাই। এরপর সব সাংবাদিক এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চলে আসলে হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা আমাদের ওপর চড়াও হয়। তাদের ব্যবহার দেখে বিস্মিত। </p> <p>সংবাদ সম্মেলনে থাকা আরেক সাংবাদিক মুজাহিদ বিল্লাহ বলেন, সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার কাম্য নয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নই যদি না নিতে পারে তাহলে সাংবাদিকদের আসার অনুরোধ কেন জানানো হলো। </p> <p>এ বিষয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনিস্টিটিউটের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যারা জড়িত তাদের আমরা শাসন করেছি। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা হুটহাট কী করে ফেলে। ওদের মাথা গরম। ওদের পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের সাংবাদিকের কাছে ‘সরি’।</p> <p><br />  </p>