<p>চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার পায়েলকে হত্যার অভিযোগে স্বামী নাজাত ভূঁইয়া নিস্বর্গকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে উপজেলার পূর্ব রাজারগাঁও এলাকায় গত শনিবার সন্ধ্যার পর স্বামীর বসতঘর থেকে পায়েলের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।</p> <p>বাবা সাগর হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করেন, যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ একটি কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে জামাতা নিস্বর্গ। এদিকে, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনির হাত থেকে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী নাজাত ভূঁইয়া নিস্বর্গকে উদ্ধার করে। পরে রবিবার সন্ধ্যায় হত্যা মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।</p> <p>জানা গেছে, বিগত ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি কলেজছাত্রী সুমাইয়া আক্তার পায়েলকে বিয়ে করেন বেকার যুবক নাজাত ভূঁইয়া নিস্বর্গ। তার আগে বেশকিছু দিন তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পায়েলকে বিয়ে করার আগে নিস্বর্গের আগেও আরেক স্ত্রী এবং সন্তান ছিল। কিন্তু নিস্বর্গ বদমেজাজি এবং মাদকাসক্ত হওয়ায় সেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যত্র চলে যান।</p> <p>শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার কিছু আগে স্ত্রী পায়েলের সঙ্গে নিস্বর্গের কথা কাটাকাটি এবং ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে নিস্বর্গ স্ত্রী পায়েলকে গলা টিপে হত্যা করে শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। মেয়েকে হত্যার এমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাগর হোসেন চৌধুরী বলেন, মূলত যৌতুক না পেয়ে তার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে জামাতা নিস্বর্গ।</p> <p>ঘটনা সম্পর্কে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে নাজাত ভূঁইয়া নিস্বর্গ ও তার বাবা আব্দুল মান্নান ও মা জেসমিন আক্তারকে আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তবে নিস্বর্গকে গ্রেপ্তার করা গেলেও অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে বলেও জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।</p> <p>এদিকে, গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।</p>