<p>বহুল আলোচিত মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যার ঘটনায় করা মামলা থেকে প্রায় ২৩ বছর পর খালাস পেয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভি। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোসা. শাহীনুর আক্তার গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক রায়ে তাকে এ হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেন। </p> <p>হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পরে বহুল আলোচিত বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির দেশে ফেরার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। অশীতিপর বৃদ্ধা মাকে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকা অভি শিগগিরই দেশে ফিরছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ উজিরপুর উপজেলা জেপির সাবেক আহ্বায়ক শামসুল হক সিকদার জানান। </p> <p>কানাডায় অবস্থানরত অভির সঙ্গে ফোনে তার কথা হলে তিনি তার কাছে মাকে দেখার জন্য ব্যাকুলতা প্রকাশ করেন। হত্যা মামলায় আসামি হয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে বিদেশে থাকা অবস্থায় তিনি দুই ভাই ও এক বোনসহ অনেক স্বজন ও অনুসারী নেতাকর্মী-সমর্থককে হারিয়েছেন। শেষ বিদায়বেলায় তাদের মৃত মুখটিও দেখতে পারেননি অভি। বৃদ্ধা মাসহ এখনও তার দুই ভাই ও চার বোন রয়েছেন। মাসহ স্বজন ও নিজ এলাকা এবং দেশের মানুষের সান্নিধ্য বঞ্চিত অভি তাদের কাছে ফিরতে ব্যাকুল হয়ে আছেন। </p> <p>এদিকে  হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ার খবরে তার জন্মস্থান বরিশালের উজিরপুর উপজেলাসহ পুরনো নির্বাচনী এলাকায় তার ভক্ত অনুসারীরা নবরূপে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। অনেকেই ফেসবুকে তাকে দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। তারা গোলাম ফারুক অভি ১৯৯৬-২০০১ সালে বরিশাল-২ আসনে সংসদ সদস্য থাকাকালীন নির্বাচনী এলাকায় তার অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথাও তুলে ধরছেন। </p> <p>আবেগআপ্লুত তার অনুসারীরা কানাডায় ফোন দিয়ে তাকে দেশে ফিরে আসার কথা বলছেন। তিনিও ফিরে আসার বিষয়ে উদগ্রীব হয়ে আছেন বলে তাদের কাছে ব্যক্ত করছেন। উল্লেখ্য, গোলাম ফারুক অভি জাপার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বাবুগঞ্জ) আসনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন। </p> <p>পরে ২০০১ সালে তিনি এরশাদের জাপা ছেড়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপির প্রার্থী হয়ে সাইকেল প্রতীক নিয়ে বরিশাল-২ আসনে নির্বাচনে লড়ে হেরে যান। তবে আগামী নির্বাচনে তাকে নাটকীয় ভাবে বড় কোন রাজনৈতিক দলে দেখা যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে। </p> <p>জানা গেছে, তিনি এক সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তবে ফোনে সাড়া না মেলায় এ বিষয়ে কানাডায় অবস্থানরত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। <br /> প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা নদীর উপরে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-১’র ১১ নম্বর পিলারের নিচে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অনিন্দ্য সুন্দর মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব ওরফে তিন্নি হত্যার ঘটনায় ওই সময় দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ইন্টারপোলের রেড নোটিশে অভির নাম থাকলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাজধানীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুজন গ্রেপ্তার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/16/1736983255-aab311188b4cfc678fb5f645f2a09e93.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাজধানীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুজন গ্রেপ্তার</p> </div> </div> </div> </div> </div> <p>তবে সে সময় তিনি দাবি করেছিলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তিন্নি হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে তার নাম ছিল না। বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি জানতে পারেন, তাকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে তিনি দেশ ছেড়ে কানাডায় যান।</p>