পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় জমি ও বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আবু সালেহ হালাদার (৩৭) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তার পা বিচ্ছিন্ন করে গুরুতর অবস্থায় বসতঘরের পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ সময় সন্ত্রাসীরা নিহত আবু সালের ছোট ভাই মো. আবুল বাশার রুবেলকে কুপিয়ে জখম করে। সে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পাতলাখালী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আহত আবু সালেহ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথেই সে মারা যান।
পুলিশ আজ মঙ্গলবার এ ঘটনায় জড়িত রেক্সোনা বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছে। নিহত আবু সালেহ ভাণ্ডারিয়ার পাতলাখালী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে।
নিহত আবু সালেহের বোন আফসানা মিমি জানান, রাত আড়াইটার দিকে আমার চাচাতো ভাই মো. শহিদুল ইসলাম সুমন ও মো. রুম্মানের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন দলবদ্ধ হয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে হামলা চালায়। এদিন গভীর রাতে ভাই আবুল বাশার রুবেলের ঘরের দরজা ভেঙে সন্ত্রাসীরা ঘরে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আবু সালেহকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ডান পা বিচ্ছিন্ন করে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় ফেলে রেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
নিহত আবু সালেহের স্ত্রী লাভনী আক্তার জানান, আমরা ঘুমেছিলাম।
রাতে আমার দেবরের রুবেলের ডাক চিৎকার শুনে আমার স্বামী আবু সালেহ ও আমি ঘর থেকে বের হয়ে তার ঘরে গিয়ে দেখি সুমন ও আরো লোকজনে রুবেলকে কুপিয়ে ফেলে রেখেছে। আমরা ৯৯৯ ফোন দিলে ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমার স্বামী ও দেবরকে উদ্ধার করে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। পথেই আমার স্বামী আবু সালেহ মারা যায়।
এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ আনওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ সুমনের স্ত্রী রেক্সোনা বেগমকে আটক করা হয়েছে।
বাকি অপরাধীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।